ইরান কেবল একটি রাষ্ট্র নয়, বরং তার চেয়েও বেশি কিছু। এটি একটি প্রাচীন, আত্মসচেতন সভ্যতা যা গড়ে উঠেছে শতাব্দীর দর্শন, শিল্পকলা আর আধ্যাত্মিক পরিশীলনের মধ্য দিয়ে। এই সভ্যতা সর্বদাই রাজনৈতিক এবং নৈতিক বৈশিষ্ট্য দ্বারা প্রভাবিত। এমনকি আধুনিক ভূ-রাজনীতির অস্থির দৃশ্যপটেও তা সমবেগে চলমান। পশ্চিমাদের মতো ইরান ভণ্ডামিকে তার অভ্যাসে পরিণত করেনি।
ইরান ইতিহাসকে মনে রাখে এবং সে অনুযায়ী কাজ করে। ইরানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সম্পর্ক স্বচ্ছ ও সার্বভৌমত্বের চেতনা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, এর মধ্যে কোনো বশ্যতার মনোভাব নেই। তারপরও, পশ্চিমা মিডিয়া আর তাদের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকরা ইরানকে ইচ্ছাকৃতভাবে দুষ্ট রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপন করে।
ইরানের পররাষ্ট্রনীতি প্রতিরোধের নীতিতে নির্মিত- যেখানে তারা সর্বদাই আধিপত্য, দখল, ঔপনিবেশিক অহংকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। হিজবুল্লাহ আর হামাসের প্রতি ইরানের সমর্থন কখনোই অন্ধ সাম্প্রদায়িকতা ছিল না; বরং তা ছিল মর্যাদা রক্ষার লড়াই।
ইসরাইলের আধিপত্যের বিরুদ্ধে এমন একটি ঢাল যারা ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো বর্বর গণহত্যার বিরুদ্ধের তাদের কথা এবং কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ইরানের এই সংহতি আগ্রাসনের নয়; বরং তার নৈতিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। ইসরাইল যেখানে আত্মরক্ষার কথা বলে সেখানে শরণার্থী শিবির এবং হাসপাতালগুলোতে বোমাবর্ষণ করে। ইরান সেখানে সেই ভারসাম্যহীন ধারণাকে এখনো জীবন্ত রেখেছে, যার মূলমন্ত্র হচ্ছে দুর্বলের সংগঠিত প্রতিরোধ শক্তিশালীদেরকেও প্রতিহত করতে সক্ষম।
আইএইএ এবং জবাবদিহিতা
পশ্চিমা গণমাধ্যমের শিরোনামেগুলোতে প্রায়শই আইএইএ-এর সঙ্গে ইরানের সম্পর্ককে ব্যঙ্গচিত্রে উপস্থাপন করা হয়, যেখানে গোপনীয়তা, দ্বন্দ্ব আর অবিশ্বাসই মূল বিষয়। তবে বাস্তবতা এতটা সরল নয়। বৈশ্বিক আমলাতান্ত্রিক প্রতিযোগিতার সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক যতই অসম হোক না কেন, এই দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ভেতরেও রয়েছে ইরানের সহযোগিতা, যাচাইকরণ এবং ধারাবাহিক প্রযুক্তিগত সম্পৃক্ততার গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
বর্তমান সময়ে আন্তর্জাতিক সুরক্ষা ব্যবস্থার কাঠামো গড়ে উঠেছে অবিশ্বাস নিয়ন্ত্রণের অস্ত্র হিসেবে। তাই যেখানে মতভেদ দেখা দেয়, সেখানে সমাধান খোঁজা হয় প্রযুক্তিগত পরিদর্শন, অ্যাক্সেস প্রোটোকল আর তাদের ঘিরে থাকা রাজনৈতিক আলাপ–আলোচনার মধ্য দিয়ে।
ইরান বরাবরই জোর দিয়ে বলেছে—সম্মতি মানেই আত্মসমর্পণ নয়। ইরানের আলোচকরা সবসময়ই মর্যাদার প্রতি তাদের সভ্যতার দাবিকে সামনে রেখে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। তারা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রের সার্বভৌম মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রেখেই আন্তর্জাতিক কাঠামোর সঙ্গে কাজ করা সম্ভব। ইরানের এক কূটনীতিক বলেছেন, ‘আধিপত্যের আগে মর্যাদা’ আর এটাই তাদের নৈতিক অবস্থান।
জাতিসংঘ নিরপেক্ষ তদারকির ওপর অনেকবারই গুরুত্ব দিয়েছে। তারা সতর্ক করে বলেছে, প্রযুক্তিগত যাচাইকরণ প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক অস্ত্র বানালে তা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করে দিবে- যার ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোর অস্তিত্ব সংকটে পড়ে যায়। জবাবদিহিতাকে অবশ্যই সার্বজনীন হতে হবে, পক্ষপাতমূলক নয়; নতুবা সুরক্ষা ব্যবস্থা নিজেই বৈষম্যের হাতিয়ার হয়ে উঠবে।
সভ্যতার লেন্স
ওয়াশিংটনের চোখ দিয়ে ইরানের সম্পর্ক পড়া যায় না। ইসলামী প্রজাতন্ত্র পারস্য থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে এমন একটি বিশ্বদৃষ্টি পেয়েছে- যেখানে সম্পর্ক তৈরি হয় সততা দিয়ে আর তাদের সংযমের মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায় ক্ষমতা।
আধুনিক ইতিহাসের কোথাও ইরান অন্য কোনো দেশকে আক্রমণ বা উপনিবেশ স্থাপন করেছে এমনো কোনো ঘটনা নেই। এর পরিবর্তে ইরান নিজেই প্রতিপক্ষের আক্রমণ, নিষেধাজ্ঞা এবং একঘরে থাকার নির্জনতা সহ্য করেছে। তারপরেও ইরানের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার প্রতিষ্ঠার দৃঢ়তা পশ্চিমা বিশ্বকে অস্থির করে তুলেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন পারমাণবিক চুক্তিটি ছিঁড়ে ফেলে ইরানকে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ দেওয়ায় গর্ববোধ করেন। তখন তিনি যে কেবল ইরানকেই শাস্তি দিচ্ছিলেন তা নয়; বরং তিনি বিশ্ব কূটনীতির প্রতি অবজ্ঞা পোষণ করেছেন।
এছাড়াও ইরানের জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে ড্রোন দিয়ে হত্যার মার্কিন নাটকে একটি অন্ধকার দিক ফুটে উঠেছে। যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেই পরিচয় উঠে এসেছে, যারা বিশ্বাস করে আইনি বৈধতা কেবল অন্যদের জন্য প্রযোজ্য, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নয়।
বিশ্বকে এক কিনারায় ঠেলে দিয়ে ট্রাম্প শুধু ইরানের কৌশলগত অবস্থানকেই ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেননি। সেই সাথে, তিনি নিজেকে নৈতিকভাবে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে ফেলেছেন অথচ এক সময় তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পেতে চেয়েছিলেন।
প্রতিরোধের অধিকার
ইরানের যদি সত্যিই পারমাণবিক সক্ষমতার প্রচেষ্টার পথ বেছেও নেয়, তবে তা আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটের বাইরে বিচার করা যায় না। কেননা ইসরাইলের কাছে একটি অঘোষিত পারমাণবিক অস্ত্রাগার রয়েছে, আর এর পাশাপাশি তারা পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতেও (এনপিটি) স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তারপরেও তাদেরকে আইএইএ-এর কাছে কোনো জবাব দিতে হয় না।
এছাড়াও ইসরাইল পশ্চিমাদের ঢাল বানিয়ে যুদ্ধ করছে, দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে এমনকি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে। যখন গাজা জ্বলছে আর সে সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো বিশ্বের পরাশক্তিগুলো তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। পরাশক্তিগুলোর এমন নীরবতা শতাব্দীর বর্বরতার পক্ষে সর্বোচ্চ সমর্থন।
তাহলে এমন একটি পরিবেশে, ইরানকে কেন প্রতিরোধকারী হিসেবে স্বীকৃতি দিবে না? যেখানে পশ্চিমাদের এক চোখা নৈতিকতা আর দুর্বলদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হলেও প্রতিরোধকারী ইসরাইল ঠিকই বেঁচে আছে। আর এমন পরিস্থিতিতে ইসরাইলের পারমাণবিক মর্যাদা রক্ষা করে ইরানকে নিরস্ত্রীকরণ করার দাবি, মূলত বিশ্বব্যাপী পশ্চিমের বর্ণবাদকেই স্থায়ী করে।
পশ্চিমা ভণ্ডামির বিরুদ্ধে আহ্বান
পশ্চিমারা ইসরাইল আর সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি করার সময় বিশ্বকে মানবাধিকার সম্পর্কে সবক দেয়। তারা শিশুদের অনাহারকে অজুহাত হিসেবে দেখিয়ে গাজায় সন্ত্রাসের নিন্দা করে। একইসাথে তারা ইরানকে আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে চলার দাবি করে, অন্যদিকে নিজেরা ইচ্ছামতো তা লঙ্ঘন করে।
শতাব্দীর পর শতাব্দী চলা ঔপনিবেশিক মনোভাবের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে তাদের এই ভণ্ডামি কাঠামো। যে শক্তিগুলো একসময় এশিয়া আর আফ্রিকার দেশগুলোতে ব্যাপক লুটপাট চালিয়েছি, সেই একই শক্তিগুলো এখন গণতন্ত্র আর শান্তির বার্তা শোনায়। ইরান কিংবা তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ জটিলতা যাই থাকুক না কেন, তারা কখনো এই নৈতিক উপনিবেশবাদ বশ্যতা স্বীকার করে না।
কায়রো থেকে ম্যানিলা পর্যন্ত স্বৈরশাসকরা ইরানকে কর্তৃত্ববাদী হিসেবে অভিযুক্ত করে, তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে এই নিষেধাজ্ঞা জনগণকে নির্যাতন করার জন্য নয় বরং ওয়াশিংটনের নির্দেশ অমান্য করার কারণে। ইরানের প্রাপ্ত শাস্তি তার ত্রুটির জন্য নয় বরং নতজানু না হওয়ার জন্য।
সভ্যতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ
গাজায় ইসরাইলের চলমান কর্মকাণ্ডকে পশ্চিমা দ্বৈত নীতির অশ্লীল প্রদর্শন বলা যায়। বিশ্ব দেখছে ধ্বংসস্তূপে কীভাবে শিশুরা চাপা পড়ছে, হাসপাতালগুলোতে কত শত বোমাবর্ষণ হচ্ছে এবং শরণার্থীরা অনাহারে আছে - অথচ এগুলোকে নিরাপত্তার অধিকার হিসেবে ন্যায্যভাবে দেখানো হচ্ছে। আন্তর্জাতিক আইনের প্রতিটি নীতি এখানে পদদলিত হচ্ছে, তারপরেও কোনো নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয়। ইউক্রেনের দুর্দশায় যে সরকারগুলো একসময় কেঁদেছিল, তারাই এখন ফিলিস্তিনে গণহত্যায় অর্থ যোগাচ্ছে।
এই বর্বরতার প্রতি ইরানের নিন্দা চরমপন্থা নয়; বরং সভ্যতার ভাষায় এটিকে বলা যায় বর্বরতার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো। যখন তথাকথিত একদল সভ্য সমাজ বর্বরের মতো আচরণ করে, তখন নীতিগত স্পষ্টতা অবশ্যই অন্য কোথাও থেকেই আসতে হবে। হয়তো তা আসবে তেহরান থেকে নয়তো বৈরুত থেকে কিংবা শরণার্থী শিবির থেকে, যেখানে মানবতা এখনো মরেনি।
প্রতিরোধের ভবিষ্যত
হিজবুল্লাহ থেকে শুরু করে হুথি পর্যন্ত ইরানের জোট কোনো বিশৃঙ্খলা নয় বরং সংহতির প্রতিনিধিত্ব করে। যারা পশ্চিমা আধিপত্যের বিরুদ্ধে একটি প্রতি-ব্যবস্থা তৈরি করেছে। তারা ইসরাইল কিংবা তার পৃষ্ঠপোষকদের দাবি করা একচেটিয়া সহিংসতার পথে বাঁধা সৃষ্টি করে। এই জোটের কর্মকাণ্ড পশ্চিমা সাম্রাজ্যের ভীত কাঁপিয়ে দেয়।
তারা ভয় করে যে, তাদের ক্ষমতা বিকেন্দ্রীভূত হয়ে যেতে পারে কিংবা প্রতিরোধ দলের নেটওয়ার্ক গড়ে উঠতে পারে অথবা নতুন ধারণা তৈরির ভয় যে পশ্চিমা অনুমোদিত কাঠামোর বাইরেও ন্যায়বিচারের অনুসন্ধান করা যেতে পারে।
অসামঞ্জস্য বা অসমতার অর্থ এটাই। ইরান বুঝে যে গণহত্যাকারী রাষ্ট্রের সাথে লড়াই কখনো প্রতিসম বা সাদৃশ্যপূর্ণ হতে পারে না। সভ্যতাকে কখনো কখনো তার প্রচলিত উপায়ের বাইরে গিয়ে নিজেকে রক্ষা করতে হয়। তাই নৈতিকতার বোঝা দখলদারিত্ব প্রতিরোধকারীদের উপর চাপে না বরং তাদের উপর বর্তায়, যারা এটিকে অর্থায়ন করে এবং ন্যায্যতা দেয় ।
একটি অদম্য সভ্যতা
চূড়ান্ত বিশ্লেষণে বলা যায় ইরানের গল্পটা শুধু পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা বা ভূ-রাজনৈতিক খেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। বরং এটি এমন একটি জনগণ এবং সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত, যারা বশ্যতা স্বীকার করতে অস্বীকার করে।
পার্সেপোলিস থেকে তেহরান কিংবা কবি থেকে বিপ্লবী পর্যন্ত, ইরান ধারাবাহিকতার এমন একটি অনুভূতি বা আবেগ রক্ষা করে চলছে, যা কোনো সাম্রাজ্য মুছে ফেলতে পারে না। ইরানের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বিতর্ক থাকতে পারে কিংবা এর শাসনব্যবস্থা অসম্পূর্ণ হতে পারে কিন্তু এর সভ্যতার বিষয়ে কোনো প্রশ্ন নেই, এটি অক্ষত রয়েছে সেই আগের মতোই।
এর বিপরীতে, পশ্চিমারা অস্ত্র চুক্তি কিংবা তেল চুক্তির জন্য তাদের নীতি-নৈতিকতাকে বিনিময় করে ফেলে। অন্যদিকে ইরান এমন নয় যারা সভ্যতাকে হুমকি দেয় বরং তারা তাদের লালন করা সভ্যতার নামে বোমা ফাটায়।
অলঙ্কারশাস্ত্রের প্রতিধ্বনি
ইরানের ক্যারিয়ার কূটনীতিক এবং শিক্ষাবিদ ছিলেন মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত ইরানের কৌশলগত বিষয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি তার কূটনৈতিক স্মৃতিকথা এবং সাক্ষাৎকারে জোর দিয়ে বলেছেন, ‘রাষ্ট্র সর্বাবস্থায়ই তার মর্যাদা এবং প্রতিরোধের কথা বলে প্রথমে, তারপর রয়েছে বাহ্যিক ভঙ্গি বা প্রদর্শন; আর যদি সম্মান ছাড়া আলোচনায় বসা হয় তাহলে তা শুধু সংঘাতকেই বাড়িয়ে তোলে।
জাতিসংঘের একজন মুখপাত্রের নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধানের ভাষায় সতর্ক করে বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইনের পক্ষপাতমূলক প্রয়োগ বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানগুলোর আস্থা নষ্ট করে। এগুলো কোনো একক রাষ্ট্রের জন্য স্বস্তিদায়ক নয় বরং এগুলি মনে করিয়ে দেয় যদি প্রতিরোধকে সীমাবদ্ধ করা হয়, তবে সেই সীমাবদ্ধতা অবশ্যই সর্বজনীন এবং ন্যায়সঙ্গত হতে হবে, নয়তো সেই প্রতিরোধ বিশেষাধিকারে পরিণত হয়।
ইরানের প্রতিরোধ বিদ্রোহের নয়। বরং এটি মনে করিয়ে দেয় সেই ন্যায়বিচার, সার্বভৌমত্বকে যারা গণহত্যা চালানো শক্তির কখনো সামনে মাথা নত করে না।
মিডল ইস্ট মনিটর-এ প্রকাশিত রঞ্জন সলোমনের নিবন্ধটি ভাষান্তর করেছেন মো. মাহফুজুর রহমান।

