নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লুক্সন ২০২৪ সালের এপ্রিলে শিক্ষার্থীদের নতুন কিছু শেখাতে এবং শ্রেণিকক্ষে বিশৃঙ্খলা দূর করতে মোবাইল ফোন ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন। অনেকেই বলেছেন, এটি মোটেও খারাপ সংবাদ নয়। বিশেষত, একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন বাস্তবায়নের জন্য প্রতিরোধ একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিশ্বের আরও অনেক দেশ— যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের কিছু রাজ্যও এমন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে। নিউজিল্যান্ডে নিষেধাজ্ঞার এক বছর শিক্ষার্থীরা তাদের অভাবনীয় অনুভূতির কথা তুলে ধরেছেন।
শিক্ষার্থীর উপর পরিচালিত গবেষণায়, ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মন্তব্যে বলা হয়েছে, ফোন নিষেধাজ্ঞা ‘ক্লাস চলাকালীন সময়ের জন্য অনেক ভালো’ এবং এর ফলে তার স্কুলের কাজে অনেক উন্নতি হয়েছে। তারা এমন ছাত্রীকেও খুঁজে পেয়েছে যে বলেছে যে এই নিষেধাজ্ঞা তাদের ফোন ব্যবহার থেকে বিরতি দিয়েছে, ‘অন্যথায়, আমরা দিন রাত সব সময় ফোনে থাকি, যা আমাদের মনের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়।’
নিউজল্যান্ডের শিক্ষামন্ত্রী এরিকা স্ট্যানফোর্ড বলেছেন, ফোন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ‘শিক্ষক, অধ্যক্ষ এবং অভিভাবকদের কাছ থেকে অপ্রতিরোধ্য ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছে যে বাচ্চারা তাদের শেখার উপর অনেক বেশি মনোযোগী, তারা এখন আরো বেশি বই পড়ে এবং বাইরের খেলাধুলায় বেশি সময় ব্যয় করে।’
তিনি আরো বলেছেন, ‘মোবাইল ফোনের ব্যবহার বাদ দিলে ক্লাসে আরো মনোযোগী হওয়া যায়, এতে শিক্ষার্থীদের সাফল্য নিশ্চিত হয়। আর এতে স্বাস্থ্যও ভালো থাকে’
তবে অনেক শিক্ষার্থীর এই নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে মিশ্র অনুভূতি দিয়েছে। কিছু শিক্ষার্থীরা বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা নতুন সমস্যার সৃষ্টি করেছে।
প্রথমত, কিছু শিক্ষার্থী দিনের বেলায় তাদের বাবা-মা বা গার্ডিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে চাপ এবং উদ্বিগ্ন বোধ করে। এছাড়াও তারা বলেছিল, নিয়মগুলো কিছুটা অস্পষ্ট বা এতে ন্যায্যতা ছিল না। কিছু শিক্ষক কঠোর ছিলেন, অন্যরা ছিলেন না। এবং কখনো কখনো, শিক্ষকরা ক্লাসে তাদের ফোন ব্যবহার করতেন, কিন্তু শিক্ষার্থীরা তা করতে পারত না।

