আন্তর্জাতিক ডেস্ক
একই মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের গোল্ডেন বুট, বর্ষসেরা খেলোয়াড়, লিভারপুলের সেরা খেলোয়াড়সহ পাঁচটি মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার জিতেছেন মোহাম্মদ সালাহ। নিজেকে শুধু ইউরোপেই নয়, গোটা বিশ্বের অন্যতম সফল আরব ও আফ্রিকান ফুটবলার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ‘মিশরীয় রাজা’ নামে খ্যাত এই তারকা ক্রীড়াবিদ বহু তরুণের অনুপ্রেরণা হলেও গাজার চলমান সংকটে তার নীরবতা নিয়ে আরব দুনিয়া ও ভক্তদের মাঝে বাড়ছে হতাশা।
যেখানে বিশ্ব ফুটবলের অনেক তারকাই ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়েছেন, সালাহকে বরং বেশিরভাগ সময় নীরব থাকতে দেখা গেছে। কখনো কখনো তিনি এমন ব্র্যান্ডের প্রচারণায়ও অংশ নিয়েছেন যেগুলো ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্কিত — যা বয়কট, ডিভেস্টমেন্ট অ্যান্ড স্যাঙ্কশনস (বিডিএস) আন্দোলনের লক্ষ্যবস্তু। এতে অনেক আরব ভক্তের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে, যারা চেয়েছিল তাদের সবচেয়ে পরিচিত মুখটি নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি আরও দৃঢ় অবস্থান নেবে।
সম্প্রতি ফিলিস্তিনি কিংবদন্তি সালমান ওবায়েদের হত্যার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সালাহ প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। তিনি ওবায়েদের মৃত্যুর জন্য দায়ীদের প্রশ্নবিদ্ধ করে নীরবতার প্রাচীরে একটি ফাটল ধরান। তবে সেই মুহূর্তটিও বেশি স্থায়ী হয়নি। ওবায়েদের স্ত্রী সালাহর প্রতি আরও জোরালো সংহতির আহ্বান জানান, কিন্তু তারকা খেলোয়াড় পরবর্তীতে আর কিছু বলেননি। ফলে প্রশ্ন উঠেছে—এই অবস্থান কি শুধুই প্রতীকী ছিল?
এই প্রসঙ্গে সালাহর সংযম অনেক বেশি চোখে পড়ে, কারণ ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা কিংবা রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার অ্যান্টোনিও রুডিগার পর্যন্ত গাজায় ইসরাইলি সহিংসতার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ইউরোপ এবং ল্যাটিন আমেরিকার খেলোয়াড়রাও মাঠে ফিলিস্তিনি পতাকা তুলেছেন কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি অবস্থান নিয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে সালাহর নীরবতা আরও স্পষ্ট ও বিতর্কিত হয়ে উঠেছে।
‘মিশরীয় রাজা’ হিসেবে সালাহ কেবল ক্রীড়াঙ্গনের নয়, আরব ও মুসলিম বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক প্রতীকও বটে। তার জনপ্রিয়তা ও প্রভাব শুধু গোল কিংবা ট্রফিতে সীমাবদ্ধ নয়—এটি এক ধরনের নৈতিক দায়বদ্ধতার সঙ্গেও জড়িত। জাতিসংঘের ভাষায় গাজায় যা চলছে, তা ‘গণহত্যার পাঠ্যপুস্তক উদাহরণ’। সেখানে সালাহর মতো একজন ব্যক্তিত্বের নীরবতা হতাশাজনক এবং প্রশ্নবিদ্ধ।
সমালোচকদের মতে, সালাহ হয়তো ভাবেন এই নীরবতা তার ক্যারিয়ার ও ইমেজ রক্ষা করবে। তবে ইতিহাস বলে, সত্যিকারের নায়করা শুধু মাঠে নয়, ন্যায়বিচারের প্রশ্নেও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন। যেমনটি করেছিলেন কিংবদন্তি বক্সার মোহাম্মদ আলী—যিনি শুধু খেলার জন্য নয়, ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জন্যও স্মরণীয়।
মোহাম্মদ সালাহ এখন এমনই এক নৈতিক পরীক্ষার মুখোমুখি। তিনি কি শুধু একজন রেকর্ড ব্রেকিং স্ট্রাইকার হিসেবেই স্মরণীয় থাকবেন, নাকি এমন এক আরব নায়ক হিসেবে যিনি নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়ানোর সাহস দেখিয়েছিলেন?
বিশ্লেষকরা বলছেন ,গাজার জন্য একটি শব্দ, একটি অবস্থান তার জনপ্রিয়তাকে কলঙ্কিত করবে না বরং উঁচু করবে। কারণ সত্যিকারের রাজার পরিচয় শুধু জয় আর গোলেই নয়—মানবতা ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানোর মধ্যেই নিহিত।
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর
একই মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের গোল্ডেন বুট, বর্ষসেরা খেলোয়াড়, লিভারপুলের সেরা খেলোয়াড়সহ পাঁচটি মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার জিতেছেন মোহাম্মদ সালাহ। নিজেকে শুধু ইউরোপেই নয়, গোটা বিশ্বের অন্যতম সফল আরব ও আফ্রিকান ফুটবলার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ‘মিশরীয় রাজা’ নামে খ্যাত এই তারকা ক্রীড়াবিদ বহু তরুণের অনুপ্রেরণা হলেও গাজার চলমান সংকটে তার নীরবতা নিয়ে আরব দুনিয়া ও ভক্তদের মাঝে বাড়ছে হতাশা।
যেখানে বিশ্ব ফুটবলের অনেক তারকাই ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়েছেন, সালাহকে বরং বেশিরভাগ সময় নীরব থাকতে দেখা গেছে। কখনো কখনো তিনি এমন ব্র্যান্ডের প্রচারণায়ও অংশ নিয়েছেন যেগুলো ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্কিত — যা বয়কট, ডিভেস্টমেন্ট অ্যান্ড স্যাঙ্কশনস (বিডিএস) আন্দোলনের লক্ষ্যবস্তু। এতে অনেক আরব ভক্তের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে, যারা চেয়েছিল তাদের সবচেয়ে পরিচিত মুখটি নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি আরও দৃঢ় অবস্থান নেবে।
সম্প্রতি ফিলিস্তিনি কিংবদন্তি সালমান ওবায়েদের হত্যার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সালাহ প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। তিনি ওবায়েদের মৃত্যুর জন্য দায়ীদের প্রশ্নবিদ্ধ করে নীরবতার প্রাচীরে একটি ফাটল ধরান। তবে সেই মুহূর্তটিও বেশি স্থায়ী হয়নি। ওবায়েদের স্ত্রী সালাহর প্রতি আরও জোরালো সংহতির আহ্বান জানান, কিন্তু তারকা খেলোয়াড় পরবর্তীতে আর কিছু বলেননি। ফলে প্রশ্ন উঠেছে—এই অবস্থান কি শুধুই প্রতীকী ছিল?
এই প্রসঙ্গে সালাহর সংযম অনেক বেশি চোখে পড়ে, কারণ ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা কিংবা রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার অ্যান্টোনিও রুডিগার পর্যন্ত গাজায় ইসরাইলি সহিংসতার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ইউরোপ এবং ল্যাটিন আমেরিকার খেলোয়াড়রাও মাঠে ফিলিস্তিনি পতাকা তুলেছেন কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি অবস্থান নিয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে সালাহর নীরবতা আরও স্পষ্ট ও বিতর্কিত হয়ে উঠেছে।
‘মিশরীয় রাজা’ হিসেবে সালাহ কেবল ক্রীড়াঙ্গনের নয়, আরব ও মুসলিম বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক প্রতীকও বটে। তার জনপ্রিয়তা ও প্রভাব শুধু গোল কিংবা ট্রফিতে সীমাবদ্ধ নয়—এটি এক ধরনের নৈতিক দায়বদ্ধতার সঙ্গেও জড়িত। জাতিসংঘের ভাষায় গাজায় যা চলছে, তা ‘গণহত্যার পাঠ্যপুস্তক উদাহরণ’। সেখানে সালাহর মতো একজন ব্যক্তিত্বের নীরবতা হতাশাজনক এবং প্রশ্নবিদ্ধ।
সমালোচকদের মতে, সালাহ হয়তো ভাবেন এই নীরবতা তার ক্যারিয়ার ও ইমেজ রক্ষা করবে। তবে ইতিহাস বলে, সত্যিকারের নায়করা শুধু মাঠে নয়, ন্যায়বিচারের প্রশ্নেও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন। যেমনটি করেছিলেন কিংবদন্তি বক্সার মোহাম্মদ আলী—যিনি শুধু খেলার জন্য নয়, ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জন্যও স্মরণীয়।
মোহাম্মদ সালাহ এখন এমনই এক নৈতিক পরীক্ষার মুখোমুখি। তিনি কি শুধু একজন রেকর্ড ব্রেকিং স্ট্রাইকার হিসেবেই স্মরণীয় থাকবেন, নাকি এমন এক আরব নায়ক হিসেবে যিনি নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়ানোর সাহস দেখিয়েছিলেন?
বিশ্লেষকরা বলছেন ,গাজার জন্য একটি শব্দ, একটি অবস্থান তার জনপ্রিয়তাকে কলঙ্কিত করবে না বরং উঁচু করবে। কারণ সত্যিকারের রাজার পরিচয় শুধু জয় আর গোলেই নয়—মানবতা ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানোর মধ্যেই নিহিত।
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর
ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি শিল্পনগরী এলাকা কানপুর। গত ৪ সেপ্টেম্বর কানপুরের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা সৈয়দ নগরে ঈদে মিলাদুন্নবি উদ্যাপন উপলক্ষে সন্ধ্যায় একটি সাইনবোর্ড টাঙানো হয়।
৩২ মিনিট আগেসম্প্রতি বায়ু দূষণ কমানোর জন্য রাজধানীতে পেট্রোলচালিত মোটরবাইকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভিয়েতনাম প্রশাসন। যা ২০২৬ সালের মাঝামাঝি থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। তবে, পরিকল্পিত এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ৪.৬ বিলিয়ন ডলারের বাজার হারাবে বলে আশঙ্কা করছে জাপান সরকার এবং দেশের কিছু শীর্ষস্থানীয় নির্মাতা।
৪৪ মিনিট আগেগাজায় সাফল্য অর্জনের জন্য যে অনুকূল পরিস্থিতি পেয়েছিল ট্রাম্পের প্রধান কূটনৈতিক মধ্যস্থতাকারী স্টিভ উইটকফ ও তার দল, সেটা ইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষেত্রে তৈরি করা কঠিন হতে পারে, কারণ এই যুদ্ধ প্রায় চার বছর ধরে চলছে।
১ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে, তারা মঙ্গলবার গভীর রাতে ব্রায়ানস্ক সীমান্ত অঞ্চলে একটি রাশিয়ান রাসায়নিক কারখানায় যুক্তরাজ্যের সরবরাহকৃত স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করেছে।
২ ঘণ্টা আগে