পাকিস্তানের পাঞ্জাবে ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যার সতর্কবার্তা জারি

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২৫, ১২: ৩৩

খাইবার পাখতুনখোয়ায় আকস্মিক বন্যায় তিন শতাধিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনা, অবকাঠামো ধ্বংস, সড়ক ও রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এনডিএমএ ভ্রমণে সতর্কবার্তা দিয়েছে। পর্যটকদের অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পাশাপাশি ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পাঞ্জাবের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (পিডিএমএ) জানিয়েছে, রোববার থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত সারা প্রদেশে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৭ থেকে ২৩ আগস্টের মধ্যে পাঞ্জাবে প্রবল ঝড়ো বৃষ্টি এবং উওর পাঞ্জাবে মেঘের বিস্ফোরণের আশঙ্কা রয়েছে।

এনডিএমএ জানিয়েছে, তোরঘর, বাটগ্রাম, শাঙলা, লোয়ার কোহিস্তান, তত্তাপানি, গিলজিত, হুনজাসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যা ও ভূমিধসের তীব্র ঝুঁকি রয়েছে। পর্যটকদের সতর্ক থাকতে ও অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।

পিডিএমএ জানিয়েছে, ১৭ থেকে ১৯ আগস্টের মধ্যে চেনাব ও ঝিলম নদীতে মাঝারি থেকে বড় ধরণের বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া সিন্ধু, শতলুজ, ঝিলম ও চেনাব নদীতে পানির প্রবাহ বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।

পিডিএমএ’র মুখপাত্র বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সব প্রস্তুতি আগে থেকেই সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংবেদনশীল স্থানে উদ্ধারকর্মীদের মোতায়েন এবং হাসপাতালে পর্যাপ্ত কর্মী উপস্থিত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, এনডিএমএ গিলগিত-বালতিস্তানের মতো পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধস ও বন্যার ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করে পর্যটকদের অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলেছে।

যেভাবে চলছে উদ্ধারকাজ

প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় পাকিস্তানের জাতীয় সংস্থা ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এনডিএমএ) জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এনডিএমএ–এর একটি দল ত্রাণ কার্যক্রম তদারকির জন্য পেশোয়ারে পৌঁছেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পিডিএমএসহ সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন, রেসকিউ ১১২২ ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।

এনডিএমএ বলেছে, তারা খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রাদেশিক সরকার ও পিডিএমএকে পূর্ণ সহযোগিতা দেবে।

সংস্থার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা প্রাদেশিক সরকারকে ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ করছি এবং এনডিএমএ সব সংশ্লিষ্ট বেসামরিক ও সামরিক সংস্থার সঙ্গে পূর্ণ সমন্বয় বজায় রাখছে।’

এনডিএমএ আরো জানিয়েছে, ‘উত্তরাঞ্চলে সম্ভাব্য বৃষ্টির কারণে ভূমিধসের ঘটনা আরো বাড়তে পারে।’

সংস্থাটি জনগণকে বৃষ্টি ও বন্যার সময় সতর্ক থাকতে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছে। একই সঙ্গে পর্যটকদের আগামী পাঁচ থেকে ছয় দিন দুর্গত অঞ্চলে ভ্রমণ না করার আহ্বান জানিয়েছে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত