চীন ও রাশিয়ার সাম্প্রতিক যৌথ যুদ্ধবিমান টহল নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ন্যাটো। এ বিষয়ে একমত হয়েছেন ন্যাটো প্রধান মার্ক রুটে এবং জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি। বুধবার রাতে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
টোকিও থেকে এএফপি জানায়, তাইওয়ান ইস্যুতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির মন্তব্যে বেইজিং ক্ষুব্ধ হওয়ায় টোকিও-বেইজিং সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন রয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই মঙ্গলবার যৌথ টহল চালানো হয়।
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, উভয় পক্ষ ঘটনার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং একে অপরের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। এই বিবৃতিটি ন্যাটো প্রধান রুটে এবং কোইজুমির মধ্যে ১৫ মিনিটের ভিডিও কনফারেন্সের পর প্রকাশ করা হয়।
কনফারেন্সে কোইজুমি রুটেকে জানান, সম্প্রতি চীনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ান সংলগ্ন আকাশে জাপানি বিমানের দিকে রাডার লক করেছে। টোকিওর তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাশিয়ার দুটি টু-৯৫ পারমাণু সক্ষম বোমারু বিমান জাপান সাগর থেকে উড়ে পূর্ব চীন সাগরে চীনের দুটি এইচ-৬ বোমারু বিমানের সঙ্গে মিলিত হয়ে যৌথভাবে টহল চালায়। এ ঘটনায় জাপান জরুরি ভিত্তিতে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে।
এদিন দক্ষিণ কোরিয়া জানায়, রাশিয়া ও চীনের যুদ্ধবিমান তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলেও প্রবেশ করে, তখন সিউলও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে। চীন পরে জানায়, রাশিয়ার সঙ্গে এই মহড়া তাদের ‘বার্ষিক সহযোগিতা পরিকল্পনার’ অংশ। রাশিয়া বলেছে, এটি একটি নিয়মিত মহড়া, যা আট ঘণ্টা ধরে চলে।
গত মাসে জাপানের প্রধানমন্ত্রী তাকাইচি জানিয়েছিলেন, তাইওয়ানে চীনের হামলা হলে জাপান সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করবে। অন্যদিকে বেইজিং তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ দাবি করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগের হুমকি দেয়।
এসআর

