ওয়াসিম সিদ্দিকী
দুর্যোগকালীন উদ্ধার তৎপরতাসহ নানা প্রয়োজনে প্রথম ও প্রধানত ডাক পড়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের। জনবহুল এই দেশের ঝুঁকিপূর্ণ অবকাঠামোর প্রেক্ষাপটে ফায়ার সার্ভিসের কাছে দেশের মানুষের প্রত্যাশা আকাশচুম্বী। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণে যে পরিমাণ সক্ষমতা দরকার, তার কতটুকু তাদের রয়েছে- সেটা এক বিরাট প্রশ্ন।
প্রায় ৩৪ বছর আগের জনবল কাঠামোতে শুধু নেই আর নেই নিয়েই চলছে ফায়ার সার্ভিস। স্বল্পতা রয়েছে ইকুইপমেন্টের। নেই কোনো আধুনিক ফায়ার প্রশিক্ষণ একাডেমি। অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে নেই কোনো ফরেনসিক ল্যাব। যন্ত্রপাতি ও গাড়ি মেইনটেন্যান্সে নেই পর্যাপ্ত বাজেট। কাজের সর্বোচ্চটুকু বের করে আনার জন্যে সর্বোপরি নৈতিক মনোবল উন্নত করার ব্যবস্থাও নেই।
সাধারণত নির্দিষ্ট এলাকার জনসংখ্যা, অবকাঠামো, আয়তন, দূরত্ব, দুর্গম ইত্যাদি বিবেচনায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন করা হয়ে থাকে।
জানা গেছে, ঢাকাসহ সারা দেশে সর্বসাকল্যে ৫৩৭টি ফায়ার স্টেশন রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়। বর্তমানে এই সংখ্যা উন্নীত করে ৯১০টি ফায়ার স্টেশন স্থাপনের প্রক্রিয়া চলমান। তবে দেশের প্রেক্ষাপটে সেটিও পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, অন্তত প্রতি ১০ কিলোমিটার এলাকায় একটি করে ফায়ার স্টেশন থাকা দরকার। জনঘনত্ব ও অবকাঠামো বিবেচনায় অনেক ক্ষেত্রে আরো কম দূরত্বে স্টেশন স্থাপনের প্রয়োজন হতে পারে। এ ছাড়া শিল্প এলাকায় গুরুত্ব বিবেচনায় আবাসিক এলাকার চাইতে বেশি পরিমাণে স্টেশন স্থাপন করতে হয়। এক্ষেত্রে প্রতি পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় একটি করে ফায়ার স্টেশন থাকা দরকার।
উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সর্বনিম্ন ৭৫৬ জন থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ব্যক্তির জন্যে একজন ফায়ার ফাইটার (কর্মী) থাকা দরকার। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে রয়েছে প্রতি প্রায় ১২ হাজারে একজন। অনেক ক্ষেত্রে এখনো চলছে সেই ১৯৭১ সালের অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ঢাকার লালবাগ ফায়ার স্টেশনে ১৯৭১ সালে ২২ জন জনবল ছিল। ৫৪ বছর পরেও সেই একই পরিমাণ জনবল নিয়ে কাজ করছে স্টেশনটি। অথচ এই দীর্ঘ সময়ে লালবাগ ফায়ার স্টেশনের আওতাধীন এলাকার জনসংখ্যা, জনঘনত্ব, অবকাঠামো বেড়েছে কয়েক গুণ। দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বেড়েছে বহুগুণ। কিন্তু সে অনুযায়ী বাড়েনি জনবল, অবকাঠামো ও ইকুইপমেন্ট।
ইউএনডিপির সুপারিশ অনুযায়ী, ২০২১ সালের ২৮ মার্চ ৩১ হাজার জনবলের প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। যদিও ফায়ার সার্ভিসের হিসাবমতে, অন্তত ৪০ হাজার জনবল দরকার। ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় চার বছর ধরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঝুলে আছে জনবল বাড়ানোর প্রস্তাবনা। অত্যন্ত জীবনঘনিষ্ঠ একটি সংস্থার কাজ এভাবে বছরের পর বছর ঝুলে থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংস্থাটি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিনিয়ত বাড়ছে কাজের পরিধি। সে অনুযায়ী জনবল, ইকুইপমেন্ট ও অবকাঠামোর স্বল্পতা রয়েছে। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসে সারা বাংলাদেশে ১৪ হাজার ৫৭০ জন জনবল রয়েছেন। অসুস্থতা, ছুটি, অফিসিয়াল কার্যক্রমের কারণে ৩০ শতাংশ জনবল বাদ দিলে অপারেশনাল কাজের জন্য ৭০ শতাংশ জনবল থাকে। জনসংখ্যা ও অবকাঠামো বিবেচনায় এই জনবল খুবই অপ্রতুল। উন্নয়নশীল দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করলেও এই জনবল যৎসামান্য।
জানা গেছে, দেশে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিÑ এই দুই ধরনের ফায়ার স্টেশন রয়েছে। বর্তমানে প্রথম শ্রেণির ফায়ার স্টেশনে ৩৫ জন করে জনবল রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেলে সেখান থেকে পাঁচজন করে একটি গঠন করে পরিস্থিতি বিবেচনায় একটি স্টেশন থেকে একাধিক টিম পাঠানো হয়। দ্বিতীয় শ্রেণির ফায়ার স্টেশনে ২৪ জন করে জনবল রয়েছে। প্রতিটি ফায়ার স্টেশনে আগুন নেভানোর ইকুইপমেন্ট রয়েছে পানিবাহী দুটি পাম্প টানা একটি গাড়ি।
গুরুত্ব বিবেচনায় উঁচু ভবন থেকে উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য উদ্ধারকারী যন্ত্র টিটিএল (টার্ন টেবেল লেডার)। সারা দেশের জন্য বিভিন্ন উচ্চতার ৪১টি টিটিএল রয়েছে। ৫০ ফুট থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২২৩ ফুট উচ্চতার ‘টিটিএল’ রয়েছে। সর্বোচ্চ উচ্চতার টিটিএল রয়েছে পাঁচটি। বহুতল ভবন সমৃদ্ধ শহরগুলোতে বড় টিটিএল রাখা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর স্টেশনে রয়েছে দুটি, তেজগাঁও স্টেশনে একটি, চট্টগ্রামে একটি, খুলনায় একটি এবং সিলেটে একটি টিটিএল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় অন্তত ২০০ স্টেশনে এই ‘টিটিএল’ থাকা দরকার।
জানা গেছে, নদীতীরবর্তী স্থাপনার দুর্ঘটনা মোকাবিলা ও লঞ্চসহ নৌযান দুর্ঘটনার কাজে নিয়োজিত রয়েছে ১৯টি ল্যান্ড কাম নৌ ফায়ার স্টেশন। তবে এই সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।
প্রায় ৩৪ বছর আগের ১৯৮১ সালের টেবিল অব অর্গানাইজেশন অ্যান্ড ইকুইপমেন্টের (টিওঅ্যান্ডই) আওতায় জনবল কাঠামো নিয়ে চলছে ফায়ার সার্ভিস। এই ৩৪ বছরে জনসংখ্যা, অবকাঠামো ও নানা ধরনের প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগের ঝুঁকি বেড়েছে। তবে সে অনুপাতে বাড়েনি জনবল, ইকুইপমেন্ট ও ফায়ার স্টেশন। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এই প্রতিষ্ঠানটিতে নেই কোনো আধুনিক ফায়ার প্রশিক্ষণ একাডেমি। মান্ধাতার আমলের একটি প্রশিক্ষণ সেন্টার থাকলেও সেটি নামমাত্র। অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে নেই কোনো ফরেনসিক ল্যাব। যন্ত্রপাতি ও গাড়ি মেইনটেন্যান্সে নেই পর্যাপ্ত বাজেট। যে কারণে প্রয়োজনের তুলনায় স্বল্প যন্ত্রপাতিও ঠিকমতো কাজে লাগানো যাচ্ছে না। মেইনটেন্যান্সের অভাবে অনেক যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কাজের সর্বোচ্চটুকু বের করে আনার জন্যে সর্বোপরি নৈতিক মনোবল উন্নত করার ব্যবস্থা নেই।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সেই মহকুমা জেলার আদলে ২১টি জেলা নিয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। অথচ যেকোনো সভায় জেলা প্রশাসকসহ অন্যান্য সংস্থার জেলা প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন অনেক নিচের গ্রেডের একজন ফায়ার কর্মকর্তা। কারণ তাদের জেলাপর্যায়ের অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তাদের সমমান দেওয়া হচ্ছে না, যা রীতিমতো বিস্ময়কর ও অপমানজনক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সার্বিক বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী আমার দেশকে বলেন, সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন আমাদের সদস্যরা। বিশেষ করে জনবল বাড়ানো, ফরেনসিক ল্যাব স্থাপন করা এবং আধুনিক প্রশিক্ষণ একাডেমি জরুরি ভিত্তিতে চালু করা প্রয়োজন। মেইনটেন্যান্স বাজেট বাড়ানোও সময়ের দাবি।
দুর্যোগকালীন উদ্ধার তৎপরতাসহ নানা প্রয়োজনে প্রথম ও প্রধানত ডাক পড়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের। জনবহুল এই দেশের ঝুঁকিপূর্ণ অবকাঠামোর প্রেক্ষাপটে ফায়ার সার্ভিসের কাছে দেশের মানুষের প্রত্যাশা আকাশচুম্বী। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণে যে পরিমাণ সক্ষমতা দরকার, তার কতটুকু তাদের রয়েছে- সেটা এক বিরাট প্রশ্ন।
প্রায় ৩৪ বছর আগের জনবল কাঠামোতে শুধু নেই আর নেই নিয়েই চলছে ফায়ার সার্ভিস। স্বল্পতা রয়েছে ইকুইপমেন্টের। নেই কোনো আধুনিক ফায়ার প্রশিক্ষণ একাডেমি। অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে নেই কোনো ফরেনসিক ল্যাব। যন্ত্রপাতি ও গাড়ি মেইনটেন্যান্সে নেই পর্যাপ্ত বাজেট। কাজের সর্বোচ্চটুকু বের করে আনার জন্যে সর্বোপরি নৈতিক মনোবল উন্নত করার ব্যবস্থাও নেই।
সাধারণত নির্দিষ্ট এলাকার জনসংখ্যা, অবকাঠামো, আয়তন, দূরত্ব, দুর্গম ইত্যাদি বিবেচনায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন করা হয়ে থাকে।
জানা গেছে, ঢাকাসহ সারা দেশে সর্বসাকল্যে ৫৩৭টি ফায়ার স্টেশন রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়। বর্তমানে এই সংখ্যা উন্নীত করে ৯১০টি ফায়ার স্টেশন স্থাপনের প্রক্রিয়া চলমান। তবে দেশের প্রেক্ষাপটে সেটিও পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, অন্তত প্রতি ১০ কিলোমিটার এলাকায় একটি করে ফায়ার স্টেশন থাকা দরকার। জনঘনত্ব ও অবকাঠামো বিবেচনায় অনেক ক্ষেত্রে আরো কম দূরত্বে স্টেশন স্থাপনের প্রয়োজন হতে পারে। এ ছাড়া শিল্প এলাকায় গুরুত্ব বিবেচনায় আবাসিক এলাকার চাইতে বেশি পরিমাণে স্টেশন স্থাপন করতে হয়। এক্ষেত্রে প্রতি পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় একটি করে ফায়ার স্টেশন থাকা দরকার।
উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সর্বনিম্ন ৭৫৬ জন থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ব্যক্তির জন্যে একজন ফায়ার ফাইটার (কর্মী) থাকা দরকার। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে রয়েছে প্রতি প্রায় ১২ হাজারে একজন। অনেক ক্ষেত্রে এখনো চলছে সেই ১৯৭১ সালের অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ঢাকার লালবাগ ফায়ার স্টেশনে ১৯৭১ সালে ২২ জন জনবল ছিল। ৫৪ বছর পরেও সেই একই পরিমাণ জনবল নিয়ে কাজ করছে স্টেশনটি। অথচ এই দীর্ঘ সময়ে লালবাগ ফায়ার স্টেশনের আওতাধীন এলাকার জনসংখ্যা, জনঘনত্ব, অবকাঠামো বেড়েছে কয়েক গুণ। দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বেড়েছে বহুগুণ। কিন্তু সে অনুযায়ী বাড়েনি জনবল, অবকাঠামো ও ইকুইপমেন্ট।
ইউএনডিপির সুপারিশ অনুযায়ী, ২০২১ সালের ২৮ মার্চ ৩১ হাজার জনবলের প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। যদিও ফায়ার সার্ভিসের হিসাবমতে, অন্তত ৪০ হাজার জনবল দরকার। ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় চার বছর ধরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঝুলে আছে জনবল বাড়ানোর প্রস্তাবনা। অত্যন্ত জীবনঘনিষ্ঠ একটি সংস্থার কাজ এভাবে বছরের পর বছর ঝুলে থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংস্থাটি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিনিয়ত বাড়ছে কাজের পরিধি। সে অনুযায়ী জনবল, ইকুইপমেন্ট ও অবকাঠামোর স্বল্পতা রয়েছে। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসে সারা বাংলাদেশে ১৪ হাজার ৫৭০ জন জনবল রয়েছেন। অসুস্থতা, ছুটি, অফিসিয়াল কার্যক্রমের কারণে ৩০ শতাংশ জনবল বাদ দিলে অপারেশনাল কাজের জন্য ৭০ শতাংশ জনবল থাকে। জনসংখ্যা ও অবকাঠামো বিবেচনায় এই জনবল খুবই অপ্রতুল। উন্নয়নশীল দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করলেও এই জনবল যৎসামান্য।
জানা গেছে, দেশে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিÑ এই দুই ধরনের ফায়ার স্টেশন রয়েছে। বর্তমানে প্রথম শ্রেণির ফায়ার স্টেশনে ৩৫ জন করে জনবল রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেলে সেখান থেকে পাঁচজন করে একটি গঠন করে পরিস্থিতি বিবেচনায় একটি স্টেশন থেকে একাধিক টিম পাঠানো হয়। দ্বিতীয় শ্রেণির ফায়ার স্টেশনে ২৪ জন করে জনবল রয়েছে। প্রতিটি ফায়ার স্টেশনে আগুন নেভানোর ইকুইপমেন্ট রয়েছে পানিবাহী দুটি পাম্প টানা একটি গাড়ি।
গুরুত্ব বিবেচনায় উঁচু ভবন থেকে উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য উদ্ধারকারী যন্ত্র টিটিএল (টার্ন টেবেল লেডার)। সারা দেশের জন্য বিভিন্ন উচ্চতার ৪১টি টিটিএল রয়েছে। ৫০ ফুট থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২২৩ ফুট উচ্চতার ‘টিটিএল’ রয়েছে। সর্বোচ্চ উচ্চতার টিটিএল রয়েছে পাঁচটি। বহুতল ভবন সমৃদ্ধ শহরগুলোতে বড় টিটিএল রাখা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর স্টেশনে রয়েছে দুটি, তেজগাঁও স্টেশনে একটি, চট্টগ্রামে একটি, খুলনায় একটি এবং সিলেটে একটি টিটিএল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় অন্তত ২০০ স্টেশনে এই ‘টিটিএল’ থাকা দরকার।
জানা গেছে, নদীতীরবর্তী স্থাপনার দুর্ঘটনা মোকাবিলা ও লঞ্চসহ নৌযান দুর্ঘটনার কাজে নিয়োজিত রয়েছে ১৯টি ল্যান্ড কাম নৌ ফায়ার স্টেশন। তবে এই সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।
প্রায় ৩৪ বছর আগের ১৯৮১ সালের টেবিল অব অর্গানাইজেশন অ্যান্ড ইকুইপমেন্টের (টিওঅ্যান্ডই) আওতায় জনবল কাঠামো নিয়ে চলছে ফায়ার সার্ভিস। এই ৩৪ বছরে জনসংখ্যা, অবকাঠামো ও নানা ধরনের প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগের ঝুঁকি বেড়েছে। তবে সে অনুপাতে বাড়েনি জনবল, ইকুইপমেন্ট ও ফায়ার স্টেশন। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এই প্রতিষ্ঠানটিতে নেই কোনো আধুনিক ফায়ার প্রশিক্ষণ একাডেমি। মান্ধাতার আমলের একটি প্রশিক্ষণ সেন্টার থাকলেও সেটি নামমাত্র। অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে নেই কোনো ফরেনসিক ল্যাব। যন্ত্রপাতি ও গাড়ি মেইনটেন্যান্সে নেই পর্যাপ্ত বাজেট। যে কারণে প্রয়োজনের তুলনায় স্বল্প যন্ত্রপাতিও ঠিকমতো কাজে লাগানো যাচ্ছে না। মেইনটেন্যান্সের অভাবে অনেক যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কাজের সর্বোচ্চটুকু বের করে আনার জন্যে সর্বোপরি নৈতিক মনোবল উন্নত করার ব্যবস্থা নেই।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সেই মহকুমা জেলার আদলে ২১টি জেলা নিয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। অথচ যেকোনো সভায় জেলা প্রশাসকসহ অন্যান্য সংস্থার জেলা প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন অনেক নিচের গ্রেডের একজন ফায়ার কর্মকর্তা। কারণ তাদের জেলাপর্যায়ের অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তাদের সমমান দেওয়া হচ্ছে না, যা রীতিমতো বিস্ময়কর ও অপমানজনক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সার্বিক বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী আমার দেশকে বলেন, সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন আমাদের সদস্যরা। বিশেষ করে জনবল বাড়ানো, ফরেনসিক ল্যাব স্থাপন করা এবং আধুনিক প্রশিক্ষণ একাডেমি জরুরি ভিত্তিতে চালু করা প্রয়োজন। মেইনটেন্যান্স বাজেট বাড়ানোও সময়ের দাবি।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে বিভিন্ন মেরূকরণ। এ নির্বাচনে কোন দল ক্ষমতায় আসবে, কোন দল কার সঙ্গে সমঝোতা বা জোট করে ভোট করবেÑএসব বিষয় নিয়ে আলোচনা ও তৎপরতাও জোরদার হচ্ছে। বিশেষ করে ইসলামি দলগুলোকে নিয়ে সাধারণ ভোটারদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মহলে বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেনীলের দেশখ্যাত নীলফামারী দীর্ঘদিন শোষণ করেছিল ইংরেজরা। তাদের স্থানীয় নিপীড়ক নীলকরদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলেন উত্তরের এই জেলার চাষিরা। ২০০ বছর পর সেই নিষ্ঠুর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করেন আওয়ামী ‘কসাই’খ্যাত আসাদুজ্জামান নূর।
১১ ঘণ্টা আগেআগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় জেলা প্রশাসকদেরই (ডিসি) রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ হিসেবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার দুজন বিভাগীয় কমিশনার এবং ৬৪ জন ডিসিসহ ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।
১ দিন আগেবছরের প্রায় ১০ মাস পার হলেও মাধ্যমিক স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ শুরু হয়নি। এমনকি পাঠ্যবইয়ের কনটেন্টও পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি; এখনো চলছে পরিবর্তন-পরিমার্জনের কাজ। এছাড়া ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনও মেলেনি এখনো।
১ দিন আগে