কবিতা
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামার ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো শিগগিরই ভাঙা হবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নির্ধারিত সীমার বাইরের ভবনগুলোর উচ্চতা কমানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শিগগিরই সেগুলো ভাঙার কাজ শুরু করবে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এ নিয়ে ইতোমধ্যে রাজউকের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেছে বেবিচক। রাজউক বলেছে, শিগগির আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক হবে। সেই বৈঠকে নির্ধারণ করা হবে ভবন ভাঙার ক্ষতিপূরণ কোনো সংস্থা বহন করবে। এরপর ভাঙার কাজ শুরু হবে।
সূত্র জানায়, চারিদিকে উঁচু ভবনের কারণে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামা নিরাপদ নয়। যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সম্প্রতি মাইলস্টোন স্কুলের ওপর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত দুর্ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।
বিমানবন্দরের কাছাকাছি উঁচু ভবনগুলো উড্ডয়ন ও অবতরণের সময় বিমানের জন্য মারাত্মক বাধা সৃষ্টি করছে। জরুরি অবতরণ বা প্রতিকূল আবহাওয়ায় এটি ঝুঁকি আরো বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। অবৈধ ভবনগুলো বিমানবন্দরের রাডার এবং অন্যান্য নেভিগেশন সিস্টেমে সংকেত পাঠাতে ও গ্রহণ করতে বাধা দিতে পারে, যা বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণকে ব্যাহত করে।
বেবিচকের নিয়ম অনুযায়ী, বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামার নিরাপত্তার জন্য রানওয়ের ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্টাকেল লিমিটেশন সারফেস (প্রতিবন্ধকতা সীমাবদ্ধকারী তল) প্রতিষ্ঠা করতে হয়। এখানে দূরত্ব ভেদে সর্বোচ্চ ৫০০ ফুট পর্যন্ত উচ্চতা পেয়ে থাকে। রানওয়ের মধ্য রেখা বা রানওয়ের দুপাশে ৪৬০ ফুট পর্যন্ত উচ্চতাসম্পন্ন ভবন হতে পারে। রানওয়ের খুব কাছাকাছি দূরত্বে শূন্য উচ্চতা হয়ে থাকে। অর্থাৎ দূরত্ব ভেদে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন উচ্চতা পেয়ে থাকে ভবনগুলো। বিমানবন্দর থেকে যত কাছে হবে উচ্চতা তত কম হবে। তবে প্রভাব খাটিয়ে তিনতলার অনুমোদন নিয়ে ছয়-সাততলা পর্যন্ত ভবন করে ফেলা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, বিমানবন্দরের চারপাশে নির্দিষ্ট উচ্চতার বেশি কোনো কাঠামো নির্মাণ নিষিদ্ধ। এই নিয়ম লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বেবিচক বহুবার স্থানীয় প্রশাসন, রাজউক ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়ে অবৈধ নির্মাণ বন্ধের অনুরোধ করেছে। তবে, স্থানীয় প্রভাবশালী মহল এবং কিছু অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে এই নির্মাণকাজ চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেবিচকের একজন কর্মকর্তা বলেন, বিমানবন্দরের ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে বহুতল ভবন নির্মাণ করতে হলে বেবিচকের অনুমতি নিতে হয়। বেবিচক বিমানবন্দরের দূরত্ব অনুযায়ী ভবনের উচ্চতা নির্ধারণ করে অনুমতিপত্র দেয়। এরপর রাজউক ও অন্যান্য দপ্তর থেকে অনুমোদন নিয়ে ভবন নির্মাণ শুরু করতে হয়। কিন্তু অনেক ভবনের ক্ষেত্রে এই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটে।
সূত্র জানায়, বেবিচক থেকে এরই মধ্যে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের কাছাকাছি ছয়টি ‘অধিক উচ্চতার’ ভবন চিহ্নিত করেছে। অনুমোদনের চেয়েও প্রায় দ্বিগুণ উচ্চতার ভবন নির্মাণ করায় এগুলো ফ্লাইট ওঠানামায় ঝুঁকি তৈরি করছে। এসব ভবন উত্তরায় প্রিয়াংকা রানওয়ে সিটি নামের আবাসন প্রকল্পের ১ ও ৩ নম্বর রোডে অবস্থিত। প্লট নম্বর ২৬.৯, ১৩, ৩০, ৩৬ ও ৫১। বেবিচক এই বিল্ডিংগুলোর অতিরিক্ত উচ্চতা নিয়ে রাজউককে ইতোমধ্যে মিটিং করে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে।
তবে উত্তরা ১, ৫ ও ১৫ নম্বর সেক্টর, দলিপাড়া, উলুদাহা, চন্ডালভোগ, পাকুরিয়া, নিকুঞ্জ ও খিলক্ষেতসহ আরো কিছু এলাকায় যেসব উঁচু ভবন আছে, সেগুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। এসব এলাকার স্থান দিয়ে বিমান ওঠানামা করছে। এমন এলাকায় বিমান চলাচলের সময় অল্প কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি বা বৈমানিকের ভুল সিদ্ধান্তে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে।
অ্যাভিয়েশন বিশ্লেষক কাজী ওয়াহিদুল আলম আমার দেশকে বলেন, ‘আমাদের বড় সমস্যা রানওয়ে। একটি রানওয়ের থাকায় একসঙ্গে উড়োজাহাজ ওঠানামা করতে সমস্যা হচ্ছে। ফলে যোগাযোগ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিভিন্ন সেবায় পিছিয়ে পড়ছি আমরা।’ তিনি বলেন, একটি রানওয়ে নির্ভর করেই ওঠানামা করছে সামরিক-বেসামরিক বিমান। আর উত্তর পাশ থেকে উড়ছে হেলিকপ্টার। এটা সিভিল অ্যাভিয়েশন নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলেও জায়গা ও আর্থিক সামর্থ্যের অভাব রয়েছে। চট্টগ্রাম বিমানবন্দর সমুদ্রের কাছাকাছি আছে, অতটাও ঘন জনবসতিপূর্ণ নয়। এটি একটি বিকল্প হতে পারে।
এদিকে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরের আশপাশে নো ফ্লাই জোন এলাকায় গত ১০ বছরে নিয়মের ব্যত্যয় করে কমপক্ষে ৫২৫টি উঁচু ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এসব ভবন ভাঙতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) সম্প্রতি চিঠি দিয়েছে বেবিচক।
জানতে চাইলে বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক বলেন, ভবন ভাঙার কোনো অনুমতি সিভিল অ্যাভিয়েশনের যেহেতু নেই, তাই আমরা এ বিষয়ে বারবার রাজউককে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। এখন ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব রাজউকের।
বিমানবন্দরের আশপাশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণের অনুমোদন বিষয়ে জানতে চাইলে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, মাইলস্টোন স্কুলের আশপাশে কোনো অবৈধ উঁচু ভবন নেই। সেখানে ১৫০ ফুট পর্যন্ত ভবন নির্মাণের অনুমোদন আছে এবং বাস্তবে স্কুলটির উচ্চতা রয়েছে ১৩৫ ফুট।
রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, বিমানবন্দরের আশপাশের ভবনে বেবিচকের নির্ধারিত সীমার চেয়ে রাজউক কর্তৃক অতিরিক্ত উচ্চতা দেওয়া হয় না। বাউনিয়া মৌজার প্রিয়াংকা রানওয়ে সিটির ছয়টি ভবনের উচ্চতা বেবিচকের নির্ধারিত উচ্চতার চেয়ে রাজউক আরো কমিয়ে দিয়েছে। প্রিয়াংকার ২৬ নম্বর প্লটের উচ্চতা বেবিচক দাখিল করেছিল ৮ হাজার ২৪ ফুট। সেখানে রাজউক দিয়েছে ৭ হাজার ৯৪৯ ফুট। যেহেতু ভবনগুলোতে ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হয়েছে, সে কারণে ব্যত্যয় করা উচ্চতা অপসারণ করা হবে।
রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সময় কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ভবন বানিয়েছে। আমরা এখান থেকে সরে আসতে চাই। নিয়মনীতির মধ্যে আসতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘আমরা শিগগির আন্তমন্ত্রণালয় মিটিং ডেকেছি। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে ভবনগুলোর ভাঙার ব্যয় ও ক্ষতিপূরণ রাজউক নাকি বেবিচক বহন করবে। সেটি নির্ধারিত হলেই আমরা কাজ শুরু করব। এছাড়া শূন্য উচ্চতাসম্পন্ন ভবনগুলো এখান থেকে অন্যত্র খোলা জায়গায় সরিয়ে দেওয়া হবে। শাহজালালের আশপাশের জলাভূমিগুলোও পুনরুদ্ধার করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামার ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো শিগগিরই ভাঙা হবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নির্ধারিত সীমার বাইরের ভবনগুলোর উচ্চতা কমানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শিগগিরই সেগুলো ভাঙার কাজ শুরু করবে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এ নিয়ে ইতোমধ্যে রাজউকের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেছে বেবিচক। রাজউক বলেছে, শিগগির আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক হবে। সেই বৈঠকে নির্ধারণ করা হবে ভবন ভাঙার ক্ষতিপূরণ কোনো সংস্থা বহন করবে। এরপর ভাঙার কাজ শুরু হবে।
সূত্র জানায়, চারিদিকে উঁচু ভবনের কারণে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামা নিরাপদ নয়। যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সম্প্রতি মাইলস্টোন স্কুলের ওপর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত দুর্ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।
বিমানবন্দরের কাছাকাছি উঁচু ভবনগুলো উড্ডয়ন ও অবতরণের সময় বিমানের জন্য মারাত্মক বাধা সৃষ্টি করছে। জরুরি অবতরণ বা প্রতিকূল আবহাওয়ায় এটি ঝুঁকি আরো বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। অবৈধ ভবনগুলো বিমানবন্দরের রাডার এবং অন্যান্য নেভিগেশন সিস্টেমে সংকেত পাঠাতে ও গ্রহণ করতে বাধা দিতে পারে, যা বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণকে ব্যাহত করে।
বেবিচকের নিয়ম অনুযায়ী, বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামার নিরাপত্তার জন্য রানওয়ের ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্টাকেল লিমিটেশন সারফেস (প্রতিবন্ধকতা সীমাবদ্ধকারী তল) প্রতিষ্ঠা করতে হয়। এখানে দূরত্ব ভেদে সর্বোচ্চ ৫০০ ফুট পর্যন্ত উচ্চতা পেয়ে থাকে। রানওয়ের মধ্য রেখা বা রানওয়ের দুপাশে ৪৬০ ফুট পর্যন্ত উচ্চতাসম্পন্ন ভবন হতে পারে। রানওয়ের খুব কাছাকাছি দূরত্বে শূন্য উচ্চতা হয়ে থাকে। অর্থাৎ দূরত্ব ভেদে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন উচ্চতা পেয়ে থাকে ভবনগুলো। বিমানবন্দর থেকে যত কাছে হবে উচ্চতা তত কম হবে। তবে প্রভাব খাটিয়ে তিনতলার অনুমোদন নিয়ে ছয়-সাততলা পর্যন্ত ভবন করে ফেলা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, বিমানবন্দরের চারপাশে নির্দিষ্ট উচ্চতার বেশি কোনো কাঠামো নির্মাণ নিষিদ্ধ। এই নিয়ম লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বেবিচক বহুবার স্থানীয় প্রশাসন, রাজউক ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়ে অবৈধ নির্মাণ বন্ধের অনুরোধ করেছে। তবে, স্থানীয় প্রভাবশালী মহল এবং কিছু অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে এই নির্মাণকাজ চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেবিচকের একজন কর্মকর্তা বলেন, বিমানবন্দরের ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে বহুতল ভবন নির্মাণ করতে হলে বেবিচকের অনুমতি নিতে হয়। বেবিচক বিমানবন্দরের দূরত্ব অনুযায়ী ভবনের উচ্চতা নির্ধারণ করে অনুমতিপত্র দেয়। এরপর রাজউক ও অন্যান্য দপ্তর থেকে অনুমোদন নিয়ে ভবন নির্মাণ শুরু করতে হয়। কিন্তু অনেক ভবনের ক্ষেত্রে এই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটে।
সূত্র জানায়, বেবিচক থেকে এরই মধ্যে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের কাছাকাছি ছয়টি ‘অধিক উচ্চতার’ ভবন চিহ্নিত করেছে। অনুমোদনের চেয়েও প্রায় দ্বিগুণ উচ্চতার ভবন নির্মাণ করায় এগুলো ফ্লাইট ওঠানামায় ঝুঁকি তৈরি করছে। এসব ভবন উত্তরায় প্রিয়াংকা রানওয়ে সিটি নামের আবাসন প্রকল্পের ১ ও ৩ নম্বর রোডে অবস্থিত। প্লট নম্বর ২৬.৯, ১৩, ৩০, ৩৬ ও ৫১। বেবিচক এই বিল্ডিংগুলোর অতিরিক্ত উচ্চতা নিয়ে রাজউককে ইতোমধ্যে মিটিং করে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে।
তবে উত্তরা ১, ৫ ও ১৫ নম্বর সেক্টর, দলিপাড়া, উলুদাহা, চন্ডালভোগ, পাকুরিয়া, নিকুঞ্জ ও খিলক্ষেতসহ আরো কিছু এলাকায় যেসব উঁচু ভবন আছে, সেগুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। এসব এলাকার স্থান দিয়ে বিমান ওঠানামা করছে। এমন এলাকায় বিমান চলাচলের সময় অল্প কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি বা বৈমানিকের ভুল সিদ্ধান্তে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে।
অ্যাভিয়েশন বিশ্লেষক কাজী ওয়াহিদুল আলম আমার দেশকে বলেন, ‘আমাদের বড় সমস্যা রানওয়ে। একটি রানওয়ের থাকায় একসঙ্গে উড়োজাহাজ ওঠানামা করতে সমস্যা হচ্ছে। ফলে যোগাযোগ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিভিন্ন সেবায় পিছিয়ে পড়ছি আমরা।’ তিনি বলেন, একটি রানওয়ে নির্ভর করেই ওঠানামা করছে সামরিক-বেসামরিক বিমান। আর উত্তর পাশ থেকে উড়ছে হেলিকপ্টার। এটা সিভিল অ্যাভিয়েশন নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলেও জায়গা ও আর্থিক সামর্থ্যের অভাব রয়েছে। চট্টগ্রাম বিমানবন্দর সমুদ্রের কাছাকাছি আছে, অতটাও ঘন জনবসতিপূর্ণ নয়। এটি একটি বিকল্প হতে পারে।
এদিকে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরের আশপাশে নো ফ্লাই জোন এলাকায় গত ১০ বছরে নিয়মের ব্যত্যয় করে কমপক্ষে ৫২৫টি উঁচু ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এসব ভবন ভাঙতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) সম্প্রতি চিঠি দিয়েছে বেবিচক।
জানতে চাইলে বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক বলেন, ভবন ভাঙার কোনো অনুমতি সিভিল অ্যাভিয়েশনের যেহেতু নেই, তাই আমরা এ বিষয়ে বারবার রাজউককে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। এখন ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব রাজউকের।
বিমানবন্দরের আশপাশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণের অনুমোদন বিষয়ে জানতে চাইলে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, মাইলস্টোন স্কুলের আশপাশে কোনো অবৈধ উঁচু ভবন নেই। সেখানে ১৫০ ফুট পর্যন্ত ভবন নির্মাণের অনুমোদন আছে এবং বাস্তবে স্কুলটির উচ্চতা রয়েছে ১৩৫ ফুট।
রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, বিমানবন্দরের আশপাশের ভবনে বেবিচকের নির্ধারিত সীমার চেয়ে রাজউক কর্তৃক অতিরিক্ত উচ্চতা দেওয়া হয় না। বাউনিয়া মৌজার প্রিয়াংকা রানওয়ে সিটির ছয়টি ভবনের উচ্চতা বেবিচকের নির্ধারিত উচ্চতার চেয়ে রাজউক আরো কমিয়ে দিয়েছে। প্রিয়াংকার ২৬ নম্বর প্লটের উচ্চতা বেবিচক দাখিল করেছিল ৮ হাজার ২৪ ফুট। সেখানে রাজউক দিয়েছে ৭ হাজার ৯৪৯ ফুট। যেহেতু ভবনগুলোতে ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হয়েছে, সে কারণে ব্যত্যয় করা উচ্চতা অপসারণ করা হবে।
রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সময় কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ভবন বানিয়েছে। আমরা এখান থেকে সরে আসতে চাই। নিয়মনীতির মধ্যে আসতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘আমরা শিগগির আন্তমন্ত্রণালয় মিটিং ডেকেছি। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে ভবনগুলোর ভাঙার ব্যয় ও ক্ষতিপূরণ রাজউক নাকি বেবিচক বহন করবে। সেটি নির্ধারিত হলেই আমরা কাজ শুরু করব। এছাড়া শূন্য উচ্চতাসম্পন্ন ভবনগুলো এখান থেকে অন্যত্র খোলা জায়গায় সরিয়ে দেওয়া হবে। শাহজালালের আশপাশের জলাভূমিগুলোও পুনরুদ্ধার করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে বিভিন্ন মেরূকরণ। এ নির্বাচনে কোন দল ক্ষমতায় আসবে, কোন দল কার সঙ্গে সমঝোতা বা জোট করে ভোট করবেÑএসব বিষয় নিয়ে আলোচনা ও তৎপরতাও জোরদার হচ্ছে। বিশেষ করে ইসলামি দলগুলোকে নিয়ে সাধারণ ভোটারদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মহলে বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেনীলের দেশখ্যাত নীলফামারী দীর্ঘদিন শোষণ করেছিল ইংরেজরা। তাদের স্থানীয় নিপীড়ক নীলকরদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলেন উত্তরের এই জেলার চাষিরা। ২০০ বছর পর সেই নিষ্ঠুর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করেন আওয়ামী ‘কসাই’খ্যাত আসাদুজ্জামান নূর।
২০ ঘণ্টা আগেআগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় জেলা প্রশাসকদেরই (ডিসি) রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ হিসেবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার দুজন বিভাগীয় কমিশনার এবং ৬৪ জন ডিসিসহ ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।
২ দিন আগেবছরের প্রায় ১০ মাস পার হলেও মাধ্যমিক স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ শুরু হয়নি। এমনকি পাঠ্যবইয়ের কনটেন্টও পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি; এখনো চলছে পরিবর্তন-পরিমার্জনের কাজ। এছাড়া ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনও মেলেনি এখনো।
২ দিন আগে