হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

বাঁশখালীর সাগরতীরের ঝাউবন পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা

মুহিব্বুল্লাহ ছানুবী, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম)

বাঁশখালীতে বঙ্গোপসাগরে জেগে ওঠা চরে ঝাউবন। আমার দেশ

বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেঁষে পশ্চিম বাঁশখালীর গন্ডামারা, বাহারছড়া, রত্নপুর ও খানখানাবাদ সীমানায় জেগে ওঠা বেলাভূমিতে খুলে দিতে পারে পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনার দ্বার। এখানে গড়ে উঠেছে মনোমুগ্ধকর ঝাউবন। যা সবার দৃষ্টি কেড়ে নেয়।

প্রায় ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলীয় সমুদ্র সৈকতের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন হচ্ছে এই ঝাউবন, প্যারাবন ও বাইন বাগান। এখানে পর্যটন শিল্প গড়ে তোলা হলে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার সম্ভাবনা রয়েছে ।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা এই ঝাউবন কেটে উজাড় করে সেখানে মৎস্য চাষের পাঁয়তারা করছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন পরিবেশবাদীরা । তারা এই ঝাউবন রক্ষার দাবি জানিয়েছেন ।

প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এবং স্থানীয় বন বিভাগ কর্তৃক রোপিত হাজার হাজার ঝাউগাছ বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে স্থানীয় দোসররা কেটে লবণ মাঠ ও চিংড়িঘের তৈরি করলেও অনেকেই এর প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায় হলেও এখনো ঘাপটি মেরে থাকা একটি কুচক্রীমহল দৃষ্টিনন্দন ওই ঝাউগাছ নতুন করে কেটে লবণ মাঠ ও চিংড়িঘের সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিবেশ ও পর্যটন আকর্ষণের স্বার্থে উক্ত ঝাউবন বাঁচিয়ে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর।

বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেঁষে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা সারি সারি সুউচ্চ ঝাউগাছের বাহারি ডালপালা সবার মন কেড়ে নেয়। বেড়িবাঁধের পাশে জমাটবদ্ধ চরে গড়ে উঠেছে হাজারো বৃক্ষের বিশাল বন ঝাউবন। এরই মাঝে স্বমহিমায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে অভিজাত ঝাউবাগান। ঝাউবনের পাশেই জেগে উঠেছে বিশাল চর। আর তখনই সমুদ্রের বুকে বাসা বেঁধে থাকা হাজারো বৈচিত্র্যময় পাখি উড়ে এসে ভিড় জমায় ঝাউবনের পাদদেশে। সমুদ্রের যৌবন জোয়ারের ক্ষণে ক্ষণে উতলে ওঠা ঢেউয়ের অপূর্ব দোলা, পাখিদের কিচিরমিচির কলতান, ঝাউবনের শিরশির রব যে কি আনন্দের তা বলে বুঝানো যাবে না। পাশে বনের ভেতর থেকে ডেকে ওঠা শিয়ালের হুক্কা হুয়া ডাক ঝাউবনের আগুন্তুক দর্শকদের এক বাড়তি আনন্দের জোগান দেয়। সকালের শিশির ভেজা ঝাউবনে যখন শীতের মিষ্টি রোদ পড়ে, তখন মনে হবে হাজারো মুক্তার দাঁত খিলখিল করে হাসছে পর্যটকদের আগমনের পদধ্বনি শুনে। তার কোমল ডানাগুলো যখন উত্তরা হিমেল হাওয়ায় ছন্দময় নড়ে উঠে, তখন মনে হয় ঝাউবন পর্যটকদের স্বাগত জানাচ্ছে। বিকালের সূর্য যখন তার শেষ যাত্রার তল্পিতল্পা গোছাতে ব্যস্ত থাকে তখন বেদনাবিধুর এই মন্দা সময়ে ঝাউবন লাভ করে তার শৈল্পিক পূর্ণতা। মায়াময় বিকালের নিস্তেজ অরুর রবির ধূসর আভায় ঝাউবনের শ্রী অনেকাংশেই বেড়ে যায়। প্রাকৃতিক রূপ সুষমার আঁধার ঢেউ তোলা বিস্তীর্ণ সমভূমি বাঁশখালীর মায়াময় প্রাকৃতিক দৃশ্যপট ঝাউবন দেখার জন্য প্রকৃতিপ্রেমি দর্শকদের হাতছানি দেয় ঝাউবন।

গন্ডামারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লেয়াকত আলী বলেন, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে যে সমস্ত স্বীকৃত পর্যটন স্পট যথা কক্সবাজার, কুয়াকাটা, পতেঙ্গা ও আনোয়ারার পার্কির চরের চেয়ে আকর্ষণীয় হচ্ছে বাঁশখালীর উপকূলীয় ঝাউবন বা বাইন বাগান। তিনি ঝাউবন রক্ষা এবং নতুন করে বাগান সৃষ্টির জন্য সরকার ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যথাযথ দৃষ্টি কামনা করেন।

বাঁশখালী উপকূলীয় ফরেস্ট রেঞ্জার মাহমুদুল হাসান রাসেল আমার দেশকে বলেন, খানখানাবাদ, বাহারছড়া ও রত্নপুরে বর্তমানে অনেকগুলো দৃষ্টিনন্দন ঝাউগাছ রয়েছে। গন্ডামারায় জেগে ওঠা চরে নতুন করে ১০০ হেক্টর ভূমিতে ঝাউবন সৃষ্টির পরিকল্পনা আছে এবং তা ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাবর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

নওগাঁয় বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী, উদ্যোগ নেই মশা নিধনের

মধুখালীতে দুই নদীভাঙনে ভিটামাটি ছাড়া পাঁচ শতাধিক পরিবার

শীতের আগমনে বোচাগঞ্জে খেজুর রস ও খাঁটি গুড়ের নানা উৎসব

আড়াই যুগ ধরে পরিত্যক্ত অর্ধশতাধিক ভবন, অপসারণে নেই উদ্যোগ

ফসলি জমি নষ্ট করে নদী খনন, প্রতিবাদে নীলফামারীতে মশাল মিছিল

ড্রাইভারে ‘জিম্মি’ কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগ

আজ ৬ ডিসেম্বর নবাবগঞ্জ হানাদারমুক্ত দিবস

আগারগাঁও ও নারায়ণগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণ, দগ্ধ ১০

সারা দেশে ইনসাফ-ন্যায়ের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে

‘তরে যেখানেই পাব, পা কেটে ফেলব’ উপজেলা ছাত্রদল আহ্বায়কের হুমকি