হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে কমেছে জলদস্যুতা

সোহাগ কুমার বিশ্বাস, চট্টগ্রাম

নিরাপত্তা টহল জোরদারের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোয় চট্টগ্রাম উপকূলের ৬৪ নটিক্যাল মাইল জলসীমায় জলদস্যুতা একেবারে শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। এজন্য চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব নিরাপত্তা টিমের পাশাপাশি নৌ-বাহিনী ও কোস্টগার্ডের বিশেষায়িত টিম যৌথভাবে কাজ করেছে। এমনকি সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে বহির্নোঙরের বিশাল একটি অংশকে। অবশ্য আন্তর্জাতিক সংস্থা রিক্যাপ চলতি বছর ২টি জলদস্যুতার তথ্য দিলেও বন্দরের অনুসন্ধানে এর সত্যতা মেলেনি।

রিক্যাপের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসে এশিয়ার বিভিন্ন নৌ অঞ্চলে ৯৫টি দস্যুতার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের জলসীমায় ২টি মার্চেন্ট শিপে ডাকাতি হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আগের বছর ২০২৪ সালে এই ডাকাতির সংখ্যা ছিল ১০টি।

বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, বহির্নোঙরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে। চলতি বছর রিক্যাপ যে দুটি ঘটনার কথা জানিয়েছে সঙ্গে সঙ্গে বিশেষায়িত টিম ওই ঘটনাগুলো অনুসন্ধান করেছে কিন্তু অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। আগের বছরের ঘটনাগুলোও অনুসন্ধান করা হয়েছে কিন্তু সেগুলোও বড় ধরনের কোনো ডাকাতির ঘটনা ছিল না।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক জানান, কয়েক বছর ধরে রিক্যাপের তথ্যকে গুরুত্ব দিয়ে পাইরেসি বন্ধে কাজ করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ও চ্যালেঞ্জের কাজটি করা হয়েছে বহির্নোঙরকে পাওয়ারফুল সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।

এতে চট্টগ্রাম বন্দর ভবনে বসেই বহির্নোঙরের আলফা-ব্রেভো এবং চার্লি অ্যাংকরেজে অবস্থানরত পণ্য বোঝাই মার্চেন্ট শিপগুলো যেমন দেখা যায়, তেমনি কর্ণফুলী নদীর মোহনা হয়ে বন্দর চ্যানেল এবং আশপাশের নৌ অঞ্চলের মাছ ধরা নৌকা এবং ট্রলারগুলোর গতিবিধিও থাকছে নজরদারিতে।

মূলত ছোট ছোট এসব মাছ ধরা নৌকা এবং ট্রলারগুলো দিয়েই মার্চেন্ট শিপ থেকে রশি কিংবা ছোট-খাট পণ্য চুরির চেষ্টার অভিযোগ থাকায় এই আধুনিক নজরদারির ব্যবস্থা নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এতে খুব ভালো ফল এসেছে।

২০১০ সাল থেকে পর পর তিন বছর মার্চেন্ট শিপে দস্যুতা বেড়ে যাওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরকে এক প্রকার কালো তালিকাভুক্ত করেছিল রিক্যাপ। পরবর্তী বছরগুলোতে পরিস্থিতির উন্নতি হলে সেই তালিকা থেকে বন্দরকে বাদ দেওয়া হয়।

এমনকি ২০১৯ সালের পর চুরির অভিযোগ একেবারেই শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা হয়েছিল। করোনার শেষ সময় থেকে বহির্নোঙরে অবস্থান করা জাহাজগুলোতে ডাকাতির ঘটনা বাড়লেও এ বছর ফের হ্রাস পেয়েছে। এই ধারা ধরে রাখতে চায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।

নৌ-বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সোমালিয়া আর আফ্রিকায় যে ধরনের জাহাজ ডাকাতি হয় বাংলাদেশের জলসীমায় তা হয় না। এখানে যেটি হয় সেটি সাধারণ চুরির সঙ্গে তুলনা করা যায়।

কিন্তু যেহেতু ঘটনাটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তাই বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। জাহাজের একটি দড়ি কেটে নিয়ে গেলেও ওই জাহাজের ক্যাপ্টেন যখন রিক্যাপকে রিপোর্ট করে তখন সেটিকে পাইরেসি নামেই অভিহিত করা হয়। এতে আতঙ্ক ছড়ায় সমুদ্র বাণিজ্যে।

মার্চেন্ট মেরিন অফিসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী জানান, পণ্য নিয়ে আসা মার্চেন্ট শিপগুলোতে দস্যুতার ঘটনা ঘটলে বন্দরের সুনাম নষ্ট হয়। এ কারণে জাহাজ ভাড়াও বেড়ে যায়।

এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে জাতীয় অর্থনীতির ওপর। তাই জলসীমার নিরাপত্তা রক্ষায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আর কোস্টগার্ডকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কারণ আমাদের বহির্নোঙর ও কর্ণফুলী চ্যানেলে নানা ধরনের ছোট-বড় নৌযান চলাচল করে। কোন নৌযান কী উদ্দেশ্যে সাগরে এসেছে তা নির্ধারণ করা কঠিন। তাই বহির্নোঙরে ডাকাতি বন্ধ করতে হলে নজরদারির বিকল্প নেই।

খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য বিভিন্ন স্থানে দোয়া মাহফিল

সিলেট রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট সেলিম, সেক্রেটারি মাহবুব

শেরপুরে ১ লাখ ৫৭ হাজার জাল টাকাসহ গ্রেপ্তার ৩

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে সকলের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হবে

দ্রুত দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে: স্বাস্থ্যের ডিজি

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ফেনীতে আমার দেশ পাঠক মেলার উদ্যোগে দোয়া

লালমনিরহাটে গ্রাম আদালত বিষয়ে কর্মশালা

ভুল অপারেশনে মৃত্যুর অভিযোগে মামলা নিতে পুলিশের গড়িমসি

মেহেরপুরে ১০ স্বর্ণের বার উদ্ধার, ভারতীয়সহ আটক ২

‘খালেদা জিয়াকে দেশের প্রয়োজনে হায়াত বাড়িয়ে দাও’