জামালপুরে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে অপহরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মেলান্দহের চারজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–১ এর বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—মেলান্দহ উপজেলার ভাংগুনী ডাঙ্গা গ্রামের মোন্নাফের ছেলে মজনু মিয়া (৩২), ইমান আলীর ছেলে জহুরুল ইসলাম (২৮), রান্ধনিগাছা এলাকার মৃত হাতেম আলী খন্দকারের ছেলে হানিফ উদ্দিন (৪০) এবং আবুল কাশেমের ছেলে মমিন মিয়া (৩৩)।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফজলুল হক জানান, ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি মেলান্দহ উপজেলার রান্ধনিগাছা গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে মোছা. হাবিবা আক্তার চৈতী জামালপুর সদর উপজেলার রশিদপুর এলাকা থেকে বাবার বাড়ির পথে রওনা দেন। পথে চার আসামি মিলে জোরপূর্বক তাকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়।
ঘটনাটি জানাজানি হলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে হানিফ উদ্দিনের বাড়ি থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। পরদিন চৈতীর বাবা চারজনকে আসামি করে জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ তদন্ত, সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে আদালত আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। আদালত রায়ে আরও উল্লেখ করেন, আদায়কৃত জরিমানার অর্থ ভুক্তভোগী চৈতীর নিকট হস্তান্তর করতে হবে।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফজলুল হক এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট গোলাম নবী।