বরিশাল নগরীর সদর রোডে নিজস্ব জমিতে মুসলিম ইনস্টিটিউটের ইসলামিক রিচার্স সেন্টার ও মসজিদ নির্মাণ কার্যক্রম সম্পন্নের লক্ষে সর্বস্তরের আলেম-ওলামাদের সমন্বয়ে ওলামা জোট গঠন করা হয়েছে।
শনিবার রাতে সদররোডস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে জোট গঠন সভায় প্রায় শতাধিক আলেম, ইমাম ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জামেয়া মাহমুদিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব (অব.) মোহাম্মদ ইব্রাহীম এবং অতিরিক্ত সচিব (অব.), মো. নুরুল আলম, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. আলতাফ উদ্দিন আহমেদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক (অব.) একেএম ফজলুর রহমান, বিএম কলেজের ইসলামী শিক্ষা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মোহাম্মদ আবদুর রব, জামে কসাই মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা কাজী আ. মান্নান, হোসাইনিয়া মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মুফতি আ. কাদের কাসেমী, হজ্ব অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মাওলানা শাহাদাত হোসেন, জাতীয় ইমাম সমিতির মহানগর সভাপতি ডা. হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মামুন, কাজীপাড়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা নুরুল হক, পাওয়ার হাউস জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আ. গফফার, ইমাম সমিতি মহানগরীর সভাপতি মাওলানা আহম্মদ আলী, পুলিশ লাইন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মেস বাহুর রহমান, আমির কুটির জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শফিকুর রহমান প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, এই জমিটি মুসলিম ইনস্টিটিউটের। জমিদাতা এখানে মুসলমানদের সন্তানদের জন্য ইসলামিক রিচার্স সেন্টার করার উদ্দেশ্যে দান করেছিলেন। তাই এখানে মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণ করা গহবে।
এছাড়া এখানে কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রকল্প, তালিমুল কোরআন, নিরক্ষরতা দূরীকরণ, ইসলামিক পাঠাগার, দারিদ্র বিমোচনে কর্মসূচি, ছিন্নমূল শিশু শিক্ষাক্রম, সমাজ কল্যাণ বিভাগ, আইসিটি পরিসংখ্যান, বস্ত্র বিতরণ সহ নানা কল্যাণমুখী প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, যারা এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের বাধা দিচ্ছে তারা আইনগতভাবে অবৈধ। বরিশালের সর্বস্তরের আলেম ওলামারা সাধারণ জনগণকে সাথে নিয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। ক্ষেত্রে বাঁধাদানকারীসহ সকলের সহযোগিতার আহ্বান জানান তারা।