মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের বিস্তীর্ণ আড়িয়াল বিলে শামুক কুড়িয়ে জীবিকা নির্বাহের সুযোগ পেয়েছেন শত শত মানুষ। এই বিলপাড়ের মানুষ শামুক কুড়িয়ে বেঁচে থাকার পথ খুঁজে পেয়েছেন। শামুক কুড়িয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন বিলপাড়ের মানুষ।
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের বিস্তীর্ণ আড়িয়াল বিলের পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। বর্ষার শেষ দিকে যখন পানির স্তর নেমে আসে, তখন বিলের বুকজুড়ে দেখা যায় শামুক কুড়ানো মানুষের কর্মব্যস্ততা। ভোরের আলো ফুটতেই বিভিন্ন গ্রামের মানুষ নেমে পড়ছেন শামুক কুড়াতে।
জানা গেছে, স্থানীয়রা এসব শামুক পাইকারদের কাছে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। প্রতি বস্তা শামুক বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। একেকজন শ্রমিক দিনে এক হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় করছেন। ফলে আড়িয়াল বিলের আশপাশের নিম্ন আয়ের পরিবারের মুখে হাসি ফুটেছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, বর্ষা মৌসুমে জমিতে দীর্ঘদিন পানি থাকায় চাষাবাদ করা সম্ভব হয় না। তাই বিকল্প পেশা হিসেবে তারা শামুক কুড়ানোর পথ বেছে নিয়েছেন। শামুক সংগ্রহ করে তা স্থানীয় পাইকারদের কাছে বিক্রি করা হয়। এসব শামুক মূলত মাছের খাবার, হাঁস-মুরগির খাদ্য এবং সার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
শামুক বিক্রেতা সুমন বলেন, ‘ভোরে নৌকা নিয়ে বিলে যাই, সারা দিন শামুক কুড়িয়ে বিকালে বিক্রি করি। এতে দিনে ভালো আয় হয়, সংসারের খরচও চলে যায়।’
পাইকার জমির হোসেন জানান, ‘এখন বিল এলাকায় শামুকের চাহিদা বেড়েছে। প্রতিদিন গড়ে কয়েক টন শামুক সংগ্রহ হয়। স্থানীয় অনেক বেকার যুবক এখন এই কাজে যুক্ত হয়েছেন।’
স্থানীয় প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আড়িয়াল বিলের আশপাশে শামুক কুড়ানো এখন এক মৌসুমি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে পরিণত হয়েছে। এটি এলাকার দরিদ্র পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতায় বড় ভূমিকা রাখছে।’