দৈনিক আমার দেশ সংবাদের জেরে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও অনিয়মের অভিযোগে আলোচিত কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার মরিচ্যা বাজারে নির্মাণাধীন ১৫ কোটি টাকার মডেল মসজিদ তদন্তে এসেছেন মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক গণপূর্ত অধিদপ্তরের মো. শহিদুল আলম এবং উপ-প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ ফেরদৌস-উজ-জামান।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে তারা নির্মাণাধীন মসজিদটি ঘুরে দেখেন এবং কাজের গুণগত-মান যাচাই করেন। এ সময় নির্মাণে ব্যবহৃত সামগ্রীর নমুনাও সংগ্রহ করা হয়।
এর আগে স্থানীয় মুসল্লিদের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৩০ অক্টোবর দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় ‘নিম্নমানের সামগ্রীতে ১৫ কোটি টাকার মডেল মসজিদ নির্মাণ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
মুসল্লিদের স্থানীয়দের অভিযোগ ছিলো, প্রকল্প নকশা অনুযায়ী দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় মার্বেল বসানোর কথা থাকলেও কেবল দ্বিতীয় তলায় মার্বেল ব্যবহার করা হয়েছে। বাকি দুই তলায় মার্বেলের পরিবর্তে টাইলস বসানোর পরিকল্পনা চলছে। এছাড়া প্রকল্পে থাকা বিদ্যুৎ ট্রান্সফরমার, জেনারেটর, সামনের গেইট, পুকুর সংস্কার এবং অতিরিক্ত অজুখানা নির্মাণ ছাড়াই কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা করছেন৷ আজ এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং বাজেট যা যা আছে সবগুলো কাজ সম্পন্ন করবেন৷ সেসব কাজ বাজেটে নাই সেসব দাবি গুরুত্ব-সহকারে করে দেওয়ার অশ্বত্ব করেন তদন্ত টিম৷
তদন্ত-কালে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী, হলদিয়া-পালং ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মনজুর আলম, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি দেলোয়ার হোসেন মিন্টু, স্থানীয় মুসল্লি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। তবে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার প্রতিবেদক কে না জানিয়ে গোপনে এই তদন্ত সেরেছেন কক্সবাজার গণপূর্ত অধিদপ্তর।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক মো. শহিদুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগগুলো আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। যদি কোনো অনিয়ম পাওয়া যায়, তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, স্থানীয় মুসল্লিরা দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ ও প্রকল্পের গুণগত-মান নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।