হোম > সারা দেশ > ঢাকা

বিএনপির অ্যাড. সাখাওয়াতের নির্দেশে আদালত প্রাঙ্গণে জাতীয় বক্সিং প্লেয়ারকে হামলা

উপজেলা প্রতিনিধি, ফতুল্লা (নারায়ণগঞ্জ)

নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালত প্রাঙ্গণে বাদি ও তার স্ত্রী-সন্তানদের উপর প্রকাশ্যে হামলার ঘটনা ঘটেছে। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের নির্দেশে তার জুনিয়র আইনজীবী ও মুহুরী এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।

রোববার দুপুর ১২টায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় ব্যবসায়ী মো. ইরফান মিয়া (৫০), তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা এবং তাদের ছেলে বক্সিং প্লেয়ার মো. জিদান (১৮) ও আব্দুল্লাহ (৫) আহত হন।

তাদের মধ্যে জিদানকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ব্যবসায়ী ইরফান মিয়ার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যেখানে তিনি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন ছাড়াও তার জুনিয়র আইনজীবী খোরশেদ আলম, আল-আমিন এবং সহকারী (মুহুরি) হিরণ বাদশাকে অভিযুক্ত করেছেন।

অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর (ওসি তদন্ত) আনোয়ার হোসেন।

আদালত প্রাঙ্গণে বাদি ও তার পরিবারের উপর নির্মম এ হামলার ভিডিও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। ওই ভিডিওতে ইরফান ও তার পরিবারের সদস্যদের মারধর করা কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যে সাখাওয়াত হোসেনের ঘনিষ্ঠ অনুসারী খোরশেদ আলম, আল-আমিন এবং মুহুরি হিরণ বাদশাকেও দেখা যায়।

যা দেখে নেটিজেনরা কঠোর সমালোচনা করেন বিএনপির এ সিনিয়র আইনজীবীর।

আহত রাজিয়া জানান, আমার স্বামী ইরফান মিয়া অপর এক ব্যবসায়ী ইসমাইলের কাছে স্যানেটারি পণ্য বিক্রির ২৫ লাখ টাকা পাওনা। গত এক বছর যাবৎ তিনি এই বকেয়া পরিশোধ করছেন না, উল্টো তাদের হুমকি দেন। এই ঘটনায় কয়েকমাস আগে নারায়ণগঞ্জের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলাও করেন। মামলাটি আসামিপক্ষের হয়ে বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান লড়ছেন।

তিনি আরো বলেন, ওই মামলায় রোববার আদালতে হাজিরা থাকায় আমার স্বামীর সাথে আদালতে যাই। আদালত প্রাঙ্গণে আমাদের দেখতে পেয়ে সাখাওয়াত হোসেনের নির্দেশে তার জুনিয়র আইনজীবী ও সহকারী মিলে হামলা চালান।

আহত মো. জিদান বলেন, আমার বাবাকে দেখতে পেয়েই হুমকি-ধমকি দিতে শুরু করেন সাখাওয়াত হোসেন। পরে তিনি তার জুনিয়রদের নির্দেশ দিলে তারা আমার বাবাকে মারধর করতে শুরু করে। আমি ঠেকাতে গেলে আমাকেও আঘাত করে। আমি একজন জাতীয় পর্যায়ের বক্সিং প্লেয়ার, আমি আমার মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছি। আমি আমার ক্যারিয়ার নিয়েও শঙ্কিত।

এ ব্যাপারে কথা বলতে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আমার কোনো প্রতিপক্ষ সংসদ সদস্য প্রার্থীর ইন্ধনে ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এ ঘটনা সম্পর্কে আমি জানি না। যারা অভিযোগকারী তাদের সঙ্গে আমার কখনো সাক্ষাৎ হয়নি। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ভিন্নখাতে নিতে আমার ক্লিন ইমেজকে নষ্ট করার চেষ্টা করছে।

ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, এই ঘটনায় আহত পরিবারের একজন সদস্য থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তাধীন আছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গুলশান কার্যালয়ে বিএনপি নেতার জয় বাংলা স্লোগান

রাজনৈতিক এলিটদের মাধ্যমে স্বৈরাচারের দোসররা ভারতে পালিয়েছে

কলা ঘুষ নেওয়ায় কর্মকর্তাকে বদলি

মিয়ানমার থেকে ফের গুলি এসে পড়লো টেকনাফে বসতঘরে

চিহ্নিত আ.লীগ নেতাদের বিএনপিতে পদ দেয়ার প্রতিবাদে মশাল মিছিল

নেই দাদা-দাদীও, কালামের দুই সন্তানকে দেখবে কে?

জুলাইযোদ্ধাদের তালিকায় ভুয়া নাম অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন

শাপলা কিভাবে আদায় করতে হয় এনসিপি জানে: সারজিস

মসজিদে আমির হামজাকে ‘রাজনৈতিক বক্তব্য’ দিতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

সাজিদ হত্যার তদন্তে আরো সময় চেয়েছে সিআইডি