হোম > সারা দেশ > রাজশাহী

৮ কুকুরছানা হত্যায় মামলা: গ্রেপ্তার সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রী

উপজেলা প্রতিনিধি, ঈশ্বরদী (পাবনা)

মায়ের স্নেহমাখা চোখের আড়ালে লুকিয়ে থাকা আটটি নিষ্পাপ প্রাণ, যাদের জন্মই হয়েছিল মানুষের সান্নিধ্যে বাঁচার জন্য, সেই কুকুরছানাগুলোর অসহায়ের মতো মৃত্যু দেখে শিউরে উঠেছে ঈশ্বরদীর মানুষ। বাজারের ব্যাগে ভরে তাদের পুকুরে ডুবিয়ে হত্যার মর্মান্তিক ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে স্থানীয় জনসাধারণ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে বস্তাবন্দি ছানাগুলোর যন্ত্রণামুখর ছবি—আর মুহূর্তেই দেশজুড়ে দানা বাধে নিন্দার ঝড়।

ঘটনার ভয়াবহতা উপলব্ধি করে প্রাণীসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার ফোনে নির্দেশ দেন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। তার নির্দেশেই দ্রুত নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকও ফোন করে মামলা গ্রহণে বিশেষ নির্দেশনা দেন।

অবশেষে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে প্রাণী কল্যাণ আইন–২০১৯ এর ৭ ধারায় মামলা দায়ের করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন। মামলায় একমাত্র আসামি করা হয় ক্ষুদ্র কৃষক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়নের স্ত্রী নিশি রহমান (৩৮)–কে।

মঙ্গলবার রাত দেড়টা। ঈশ্বরদী পৌরসভার রহিমপুর গার্লস স্কুলের পাশের একটি বাড়িতে তখন টান টান উত্তেজনা। পুলিশ দরজায় কড়া নাড়তেই খুলে দাঁড়ান নিশি। দৃশ্যটি দেখে স্থানীয়দের চোখে-মুখে তখন শুধু অবিশ্বাস—একজন শিক্ষিত সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রীই এত অমানবিক হতে পারেন!

ঈশ্বরদী থানার ওসি আ স ম আব্দুন নূর বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত নৃশংস। মামলার পরপরই অভিযান চালিয়ে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি।

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার সরকার জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে বুধবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

এদিকে ঘটনাটির পরপরই অভিযুক্তের স্বামী নয়নকে সরকারি কোয়ার্টার খালি করার নির্দেশ দেয় প্রশাসন। ঈশ্বরদী ইউএনও মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। তাদের বাসা ছাড়তে বলা হয়েছিল, এবং মঙ্গলবারই তারা কোয়ার্টার খালি করেছেন।

অভিযুক্ত নিশি রহমানের বক্তব্য মানুষের ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি দাবি করেন, বাচ্চাগুলো সিঁড়ির পাশে থাকতো, খুব ডিস্টার্ব করত। তাই বাজারের ব্যাগে ভরে পুকুরের পাশে সজিনার গাছের গোড়ায় রেখে আসি। আমি নিজে পুকুরে ফেলিনি।

কিন্তু তার কথা কতটা সত্য, সেটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে স্বামী নয়নকে ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

মা কুকুরটি এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে সেই পুকুরপাড়ে—অস্থির, শোকার্ত। যেন খুঁজে ফিরছে তার হারানো সন্তানদের। মানুষের অমানবিকতার এই নির্মম চিত্র যেন আবারও মনে করিয়ে দিল—প্রাণিরাও জীবন্ত সত্তা, তাদেরও বেদনা আছে, যন্ত্রণায় তারা কাঁদে।

ঈশ্বরদীর এই ঘটনা শুধু কয়েকটি কুকুরছানার মৃত্যু নয়—এটি মানবিকতার বিরুদ্ধে একটি দৃষ্টান্তমূলক অপরাধ। স্থানীয়দের আকুতি—দোষীদের যেন উদাহরণযোগ্য শাস্তি নিশ্চিত হয়, যাতে আর কোনো নিষ্পাপ প্রাণ মানুষের নিষ্ঠুরতার বলি না হয়।

শিশু ওয়ার্ডে নেই জায়গা, নিউমোনিয়া-ডায়রিয়ায় বিপর্যস্ত বরগুনা

৯৯৯ নম্বরে ফোনকলে আটকে পড়া দুই শিশু উদ্ধার

নবাবগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে জামায়াত

হাসিনার নির্দেশেই আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে: ড. রেজা কিবরিয়া

সততা, সাহস আর আপনাদের দোয়া ছাড়া আমার কিছু নেই: হাসনাত আব্দুল্লাহ

হাফেজা আমেনার চোখের চিকিৎসায় সহায়তার হাত বাড়ান

হাসিনা আমাকে হত্যার জন্য গুম করেছিলো: সালাহউদ্দিন আহমদ

হিমঘরে জমে থাকা ভারতীয় নাগরিকের লাশ প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে সৎকার

জামিন পেলেও দেশে ফেরা হচ্ছে না অন্তঃসত্ত্বা সোনালিসহ ৬ ভারতীয়র

সাঘাটায় নতুন ইউএনও আশরাফুল কবিরের যোগদান