ফ্যাসিস্টেদের পুনর্বাসনের অভিযোগ
টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিএনপি কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও টাঙ্গাইল-৮ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খানের বিরুদ্ধে আওয়ামী ফ্যাসিস্টের দোসরদের দলীয় কার্যক্রমে সামনের সারিতে এনে পুনর্বাসনের প্রতিবাদ করায় নেতাদের সাথে বিমাতাসুলভ আচরণের অভিযোগ এনে একযোগে দল থেকে পদত্যাগ করেছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান সাজু, সাধারণ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাসেদ মাস্টারসহ ছয় নেতা।
পদত্যাগ করা অন্য নেতারা হলেন উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান, গজারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রউফ, বহুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ, বহুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাদল।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাধারণ সম্পাদকসহ পাঁচ নেতার পদত্যাগপত্র ছড়িয়ে পড়ে। রাতেই ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয় সামাজিক মাধ্যমে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে পদত্যাগের পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি-তর্ক। সামাজিক মাধ্যমের পাশাপাশি উপজেলায় টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয় এই পদত্যাগ ইস্যু। বেলা দুইটার দিকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) শাহজাহান সাজু একই অভিযোগ এনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের একযোগে পদত্যাগ বিএনপি প্রার্থী আহমেদ আযম খানকে বেকায়দায় ফেলতে পারে বলে দাবি করেন বিএনপি সংশ্লিষ্টরা।
বহুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাদল বলেন, ‘আমি অনেক আগেই পদত্যাগ করেছিলাম, আজ প্রকাশ করেছি। নেতার কাছে অনেক অভিযোগ করেছি, কোনো বিচার পাইনি, তাই পদত্যাগ করেছি।
পদত্যাগ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল বলেন, সামনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে একটা গভীর ষড়যন্ত্র চলছে, কারও ষড়যন্ত্রের পাতা ফাঁদে পা দেয়া উচিত হবে না। এতে সর্বশেষ দলই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এসব ফাঁদে পা না দিয়ে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করবেন। দলের সত্যিকারের কর্মী যারা তারা দলের এই দুঃসময়ে ঐক্যবদ্ধ থাকবেন।
বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান ও টাঙ্গাইল-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান আমার দেশকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে, বিএনপি'র বিরুদ্ধে, ধানের শীষের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। জনগণ এবার ঐক্যবদ্ধ আছে, কোনো ষড়যন্ত্রই ধানের শীষের বিজয় ঠেকাতে পারবে না।