আবারও মিয়ানমারের আরাকান আর্মির ছোড়া গুলি এসে পড়লো বাংলাদেশের ভূখণ্ডে। গুলিটি টেকনাফের একটি বসতঘরের টিনের চালা ভেদ করে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেছে। এতে কেউ হতাহত না হলেও সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
রোববার সকালের দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ২ নম্বর ওয়ার্ডের আমতলী গ্রামে আইয়ুব ইসলামের বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মোহাম্মদ রাব্বি।
তিনি জানান, রোববার সকালে হোয়াইক্যং আমতলীতে আমার বসতঘরের পূর্ব দিকে মিয়ানমার সীমান্তে অল্প কিছুক্ষণ গোলাগুলির বিকট শব্দ শুনতে পাই। এ সময় আমার বাড়ির টিনের চালে একটি আওয়াজ হয়। ঘর থেকে বের হয়ে টিনের ওপর উঠে দেখি চালাটি ছিদ্র।
তিনি আরও জানান, সকালে গুলিটি খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে আমি দোকানে চলে আসি। পরে দুপুরের দিকে বসতঘরের ভেতরের দেয়ালে গুলিটি পাওয়া যায়। সীমান্ত থেকে আমার বাড়ির দূরত্ব প্রায় আড়াই কিলোমিটার হবে। হাইওয়ে সড়কের পরে আমার বাড়ি। “এত দূর থেকে যদি এভাবে আমাদের বসতঘরে গুলি এসে পড়ে, তা নিয়ে আমরা আতঙ্কিত।”
গতকাল শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তেচ্ছিব্রিজ সীমান্তঘেঁষা এলাকায় একই ধরনের ঘটনা ঘটে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমেদ আনোয়ারী জানান, গতকাল শনিবার বিকেলে মিয়ানমার সীমান্ত থেকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ৩ নম্বর ওয়ার্ড তেচ্ছিব্রিজের একটি কম্পিউটারের দোকানে গুলি এসে পড়ে। একই সময় ছেনুয়ারা বেগম নামে এক মহিলা তার বাড়ির উঠানে হাঁটাহাঁটি করার সময় তার পায়ে আরও একটি গুলি এসে লাগে।
এবং আজ রবিবার সকালে ২ নম্বর ওয়ার্ডের আমতলী গ্রামের আইয়ুব ইসলামের বসতঘরের টিনের চালা ছিদ্র করে বসতঘরে একটি গুলি ঢুকে পড়ে। এমন ঘটনায় তিনি প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে নজরদারির আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে গোলাগুলির শব্দ প্রায় প্রতিদিনই শোনা যায়। তবে আজ গুলি এপারে এসে পড়েছে, এতে জনগণের মধ্যে চরম ভয়ের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরও জানান, হোয়াইক্যং তেচ্ছিব্রিজ এলাকায় মায়ানমার থেকে ছোড়া গুলি এসে বসতঘরে পড়ে এক নারী আহত হয়েছে বলেও তিনি শুনেছেন।