হোম > সারা দেশ > ঢাকা

কালীগঙ্গা নদীতে বালু উত্তোলনে হুমকিতে ২৮ কোটি টাকার প্রকল্প

রফিকুল ইসলাম, শিবালয় (মানিকগঞ্জ)

মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওরের তরা এলাকা কালীগঙ্গা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে পড়েছে। নদীভাঙন রোধে ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নেওয়া হয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদী তীর রক্ষা প্রকল্প। ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদী পাড়ের মানুষজন।

বালু উত্তোলনকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা। কিছু বললেই, মারপিটের শিকার হচ্ছেন তারা। এ নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ বিষয়ে ‘নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্প’ বাস্তবায়নকারী মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ও জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু অদ্যাবধিও কোনো প্রতিকার মেলেনি বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, একদিকে নদী ভাঙন রোধে চলছে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ‘নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে’র ব্লক বসানোর কাজ। অপরদিকে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পের পাশেই চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। বালু উত্তোলনকারীরা ইজারা শর্ত ভঙ্গ করে তাদের নির্ধারিত এলাকার বাইরে গিয়ে চারটি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। এভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে সরকারের ‘নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে’র কোটি কোটি টাকা ভেস্তে যাবে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। এছাড়া হুমকিতে পড়বে নদী তীর এলাকার মানুষের বাড়ি-ঘর, স্কুল, মসজিদ-মাদরাসা, তরা সেতুসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ।

জানা গেছে, কালীগঙ্গা নদীর ভাঙন হতে রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের ‘নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের’ প্যাকেজ নং-৪ এর আওতায় ঘিওরের তরা শ্মশানঘাট এলাকায় ঢাকার নোনা ট্রেডার্স ১৪ কোটি ২১ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে ৫০০ মিটার কাজের শতকরা ৯০ শতাংশ সম্পন্ন করেছে। চলমান এই কাজের মধ্যে প্রকল্প এলাকার পাশেই অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে ১৫০ মিটার এলাকার সিসি ব্লক নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সিসি ব্লকের বাকি অংশও নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।

এদিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের তরা সেতু এলাকার দুই পাশে ‘নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের’ প্যাকেজ নং-৫ এর আওতায় আরো একটি প্রকল্প রয়েছে। এখানেও সমপরিমাণ টাকায় সমপরিমাণ জায়গায় সিসি ব্লক বাসনো কাজের দরপত্র আহ্বানের কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে। এখানেও বালু উত্তোলনের কারণে নদী ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে এবং নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজে ব্যাঘাত ব্যাঘাত ঘটবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। অর্থাৎ শুধু বালু উত্তোলনের কারণেই সরকারের ২৮ কোটি টাকার প্রকল্কের বাস্তবায়িত কাজ নদীতে ভেসে যাচ্ছে।

এসব বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাংবাদিকদের জানান, আমাদের নদী তীর সংরক্ষণ কাজ চলমান রয়েছে। আগামী জুন পর্যন্ত কাজটি চলবে। এই সময়ের মধ্যে তীর হতে পানি নেমে গেলে আমরা ব্লকগুলো যথাস্থানে স্থাপন করে দিব। তবে তীর ঘেষে বালু উত্তোলন করায় নদী ভাঙনের কথা স্বীকার করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাতিশাতুল ইসলাম বলেছেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ওখানে মোবাইল পরিচালনা করা হয়েছে। এই বালু মাটির ব্যাপারে আমরা প্রচণ্ড শক্ত অবস্থানে আছি। এসিল্যান্ড এলে মোবাইলকোর্ট আরো দূশ্যমান হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

বেরোবির সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

লৌহজংয়ে বেতন পাচ্ছেন না দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা

ভবানীপুর রেলপথের শতকোটি টাকার সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে

চিকিৎসক ও জনবল সংকটে খুঁড়িয়ে চলছে স্বাস্থ্যসেবা

খালের পর রাস্তাও দখল আ.লীগ নেতা ফরিদের

হকারদের দখলে ফুটপাত তীব্র যানজটে ভোগান্তি

দিনমজুরের নামে ২৭ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে রহস্য

৮০০ কোটি টাকা লোকসানের শঙ্কায় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা

খুলনায় বিএনপি অফিসে হামলা-গুলি, স্কুল শিক্ষক নিহত

চরফ্যাশনে নারী উদ্যোক্তা অবরুদ্ধ, গ্রাহকদের অভিযোগ টাকা মেরে পালাচ্ছে