রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার হারিয়ারকুটি ও সয়ার ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনেশ্বরী নদীর কালুরঘাটে সেতু না থাকায় ২০টি গ্রামের মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
জানা গেছে, তারাগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই ঘাটটি স্থানীয়দের জন্য একমাত্র চলাচলের মাধ্যম। এখানে দীর্ঘদিন ধরে খেয়াঘাটের মাধ্যমে যাতায়াত হলেও স্থায়ী ব্রিজের অভাবে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে কয়েক হাজার গ্রামবাসী। শুকনো মৌসুমে স্থানীয়রা বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে নদী পারাপার হন। তবে বর্ষায় নদীর পানি বেড়ে গেলে সেই সাঁকো তলিয়ে যায়। তখন নৌকা বা কলার গাছের ভেলায় নদী পারাপার ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। ফলে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য সঠিক সময়ে বাজারে পৌঁছাতে পারে না। অন্যদিকে, শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যেতে সমস্যায় পড়েন এবং চিকিৎসক ও চাকরিজীবীরা সময়মতো অফিস বা ক্লিনিকে পৌঁছাতে পারেন না।
স্থানীয়দের মধ্যে চিলাপাক, পাটানি পাড়া, দোলাপাড়া, বানিয়াপাড়া, উজিয়াল, মেনানগর, কালুরঘাট, ডাঙ্গাপাড়া, প্রামাণিকপাড়া, মণ্ডলপাড়া, মাসুয়াপাড়াসহ প্রায় ২০টি গ্রামের বাসিন্দা রয়েছেন, যাদের চলাচল এ ঘাটের ওপর নির্ভরশীল।
সরেজমিনে গেলে একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, পূর্বের একাধিক নেতা এই ঘাটে সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে খেয়াঘাটের ওপর নির্ভর করে চলাচল করলেও স্থায়ী সেতুর অভাবে প্রতিনিয়ত বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে গ্রামবাসীকে।
হারিয়ারকুটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুমারেশ রায় এবং সয়ার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আল ইবাদাত হোসেন পাইলট জানান, এখানে স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের বিষয়টি একাধিকবার উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় আলোচনা হয়েছে।