রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলের দরবারে হামলা, লুটপাট ও কবর থেকে লাশ তুলে পোড়ানো ঘটনার আড়াই মাস পর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাজবাড়ীর আদালতে নিহত নুরুল হকের শ্যালিকা শিরিনা (৫২) বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৯৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৪ থেকে ৫ শতাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ আগস্ট বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগল। ওই দিন রাতে ভক্তরা গোয়ালন্দ দরবার শরীফের মাটি থেকে কিছুটা উঁচু স্থানে তার লাশ দাফন করেন। এরপর থেকেই ‘তৌহিদি জনতা’ ব্যানারে একটি চক্র উদ্দেশ্যপ্রণোদিত-ভাবে হামলার পরিকল্পনা করতে থাকে এবং এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। প্রশাসন একাধিকবার বৈঠক করে সমঝোতার চেষ্টা করলেও দুষ্কৃতিকারীরা নানা অজুহাতে হামলা ও লুটপাটের প্রস্তুতি নেয়।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বাদীপক্ষ চরম নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকায় সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রিট পিটিশন (নং ১৫২৫৯/২০২৫) দায়ের করেন। আদালত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিলে এবং ঝুঁকি প্রশমিত হলে বাদী আদালতের শরণাপন্ন হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
এর আগে, ঘটনার পরপরই পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৩ থেকে সাড়ে ৪ হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করে। একইভাবে নিহত ভক্ত রাসেল মোল্লার বাবা মো. আজাদ মোল্লা বাদী হয়ে আরো ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই দুটি মামলার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ এখন পর্যন্ত ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।