ইসলামি ধারার ডিজিটাল ব্যাংক খুলতে চায় আকিজ রিসোর্স। ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই প্রতিষ্ঠানটি ‘মুনাফা ডিজিটাল ব্যাংক’ নামে একটি ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করবে।
বৃহস্পতিবার আকিজ হাউসে ‘বাংলাদেশে ডিজিটাল ব্যাংকিং বিষয়ক’ মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান আকিজ রিসোর্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ জসিম উদ্দিন।
জসিম উদ্দিন বলেন, আকিজ রিসোর্স বিশ্বাস করে ব্যাংকিং শুধু লেনদেন নয়, এটি মানুষের আর্থিক ক্ষমতায়ন ও সামাজিক অগ্রগতির হাতিয়ার। আমাদের ঐতিহ্যের শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আমরা এমন একটি ডিজিটাল ব্যাংক তৈরি করতে চাই, যা প্রযুক্তি, নৈতিকতা ও মানবিকতার সমন্বয়ে পরিচালিত হবে। গ্রামের অনেক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও কৃষক যারা ঋণ পাচ্ছেন না তাদের কাছে ঋণ পৌঁছে যাবে।
তিনি আরো বলেন, আকিজ গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ৮৫ বছরের অভিজ্ঞতা ও সুনাম জড়িয়ে আছে। আমরা এমন কিছু করতে চাই না, যাতে সুনাম ক্ষুণ্ণ হবে। এজন্য আমরা এমন বিদেশি পার্টনার খুঁজছি যারা শুধু মূলধন নয়, বরং ভালো প্র্যাকটিসও নিয়ে আসবে। শুধু ইসলামি ধারার হলেই আমরা ডিজিটাল ব্যাংক চালু করব। উত্তরাধিকার সূত্রে এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মুনাফা ডিজিটাল ব্যাংক হবে বাংলাদেশের প্রথম শরিয়াসম্মত সম্পূর্ণ সুদমুক্ত ও পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক। এই ব্যাংকের মূল লক্ষ্য নৈতিক, স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধ ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা- যেখানে গ্রাহকরা সার্ভিস চার্জ ছাড়াই সব ধরনের ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা পাবেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে ফিরোজ কবির বলেন, বর্তমানে দেশে ৬১টি ব্যাংক, ৩৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ১৩টি এমএফএস কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে দেশের ৯১ শতাংশ মানুষ এখনো পূর্ণাঙ্গ ব্যাংকিং সুবিধার বাইরে। আমরা বিশাল এই জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে ডিজিটাল ব্যাংক গঠনের উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা যদি ডিজিটাল ব্যাংক নিয়ে আসি তাহলে আগামী পাঁচ বছরে দুই কোটি গ্রাহক ও ১০ কোটি টাকা এসএমই লোন এবং ২৫ লাখ রেমিট্যান্স অ্যাকাউন্ট খোলার টার্গেট নিয়েছি।
চিফ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অফিসার তৌফিক হাসান বলেন, আমরা এমন এক ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা গড়ে তুলতে চাই, যা সবার জন্য উন্মুক্ত। প্রযুক্তির সহায়তায় দেশের প্রতিটি নাগরিক যেন ব্যাংকিংয়ের আওতায় আসে-এটাই আমাদের লক্ষ্য।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন চিফ পিপল অফিসার আফসার উদ্দিন এবং আই-বিওএস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী এসকে জায়েদ বিন রশিদ।