সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অফ দ্য প্যারালাইজড (সিআরপি) ও মেটলাইফ ফাউন্ডেশন যৌথভাবে ১৫০ জন পক্ষাঘাতগ্রস্ত এবং অন্যান্য শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থান ও আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘জাগরণ’ নামে একটি দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি উদ্বোধন করেছে।
এই কর্মসূচির আওতায় অংশগ্রহণকারীদের কম্পিউটার ব্যবহার, ইলেকট্রনিকস ও মোবাইল ফোন সার্ভিসিং এবং পোশাক তৈরির বিষয়ে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
অংশগ্রহণকারীরা প্রশিক্ষণ শেষে সনদ পাবেন। পাশাপাশি, তাদেরকে ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু বা অন্যান্য আয়-বর্ধক কার্যক্রমে যুক্ত হতে প্রাথমিক অর্থায়ন সুবিধা প্রদান করা হবে। অন্যদিকে, বিশেষভাবে সক্ষম এই মানুষগুলোর জন্য পূর্ণাঙ্গ সহায়তা নিশ্চিত করতে সিআরপি প্রশিক্ষণকালীন সময়ে একটি সম্পূর্ণ অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অনুকূল পরিবেশে তাদেরকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও থেরাপি সেবা প্রদান করবে।
সম্প্রতি, গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কর্মসূচিটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সিআরপি’র প্রতিষ্ঠাতা ভ্যালেরি এ. টেলর বলেন, “সিআরপি-তে আমরা বিশ্বাস করি, শারীরিক সক্ষমতা যাই হোক না কেন, ব্যক্তিমাত্রই সম্মানজনক ও স্বাধীন জীবনযাপনের সুযোগ পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
‘জাগরণ’ কর্মসূচির মতো যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে পারি; সেই সাথে তাদের সক্ষম করে তুলতে পারি এবং তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তনের মাধ্যমে তাদের জীবনে সাফল্য নিয়ে আসতে পারি।”
মেটলাইফ বাংলাদেশের সিইও আলা আহমদ তার বক্তব্যে বলেন, “জাগরণ প্রকল্পটি মেটলাইফ ফাউন্ডেশনের গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগগুলোর একটি। এটি বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের সহায়তা করার লক্ষ্যে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ যার মাধ্যমে তারা জীবিকা নির্বাহ ও জীবনমান উন্নত করতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে সক্ষম হবেন।”
সিআরপি’র নির্বাহী পরিচালক ড. সোহরাব হোসেন বলেন, “অন্তর্ভুক্তিমূলক দক্ষতা উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের প্রতি আমাদের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে, ‘জাগরণ’ কর্মসূচিটি তারই প্রতিফলন।
বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের বাস্তব দক্ষতা ও প্রয়োজনীয় রিসোর্স প্রদান করে আমরা শুধু তাদের জীবিকা উন্নত করতে ভূমিকা রাখছি না, পাশাপাশি একটি অধিক অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনেও সহায়তা করছি।”
অনুষ্ঠানে সিআরপি এবং মেটলাইফ বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।