রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা কোনো প্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বন্ধ করে দেয়ায় সারা দেশে বিপুলসংখ্যক গ্রাহক ও উদ্যোক্তা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। ক্ষতিপূরণসহ দ্রুত সেবা চালুর দাবি জানিয়েছে এজেন্ট ঐক্য পরিষদ।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন তারা তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। সংগঠনের আহ্বায়ক মো. আবু সাইদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০২৫ সালের ২০ জুন মাসে কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই অগ্রণী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা বন্ধ করে দেয়। ফলে প্রায় ১০ লাখ ৫০ হাজার গ্রাহক এবং পাঁচ লাখ অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবহারকারী বিপাকে পড়েন। বিশেষ করে ভাতাভোগী, কৃষক, শ্রমিক, প্রবাসী ও রেমিট্যান্স গ্রাহকদের ওপর এর ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে। ২০১৬ সাল থেকে পরিচালিত এ সেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ৫৬৭টি এজেন্ট আউটলেট এবং প্রায় তিন হাজার কর্মকর্তা–কর্মচারীর জীবিকা অনিশ্চয়তার মুখে।
আবু সাইদ জানান, দীর্ঘদিনের বকেয়া বিল পরিশোধ ও সার্ভার চালু না হওয়ায় তারা ২৪ নভেম্বর থেকে টানা দশ দিন অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে আমরণ অবস্থান করছেন। এটি তাদের পঞ্চম দফা আন্দোলন।
তাদের অভিযোগ, ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গেলে অনেক সময় অবমাননাকর আচরণের শিকার হতে হয়। এমনকি বলা হয়েছে— এজেন্ট উদ্যোক্তারা গেটে মারা গেলেও সমাধান হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো তিনটি দাবি হলো— ১. সব বকেয়া পরিশোধ, ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং অনতিবিলম্বে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু। হাইকোর্টেরর আদেশ দ্রুত বাস্তবায়ন এবং আপিল বিভাগের আপত্তি প্রত্যাহার।
২. নারী ও তরুণ উদ্যোক্তাদের ক্ষতির জন্য ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদত্যাগ ও দায়ীদের বিরুদ্ধে বিচার। ৩. চলমান আরবিট্রেশন মামলা বারবার পেছানো বন্ধ করে দ্রুত নিষ্পত্তি।
আহ্বায়ক আবু সাইদ জানান, প্রতিটি আউটলেট চালাতে মাসে ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা ব্যয় হয়। সেবা বন্ধ থাকায় এই ব্যয় এখন উদ্যোক্তাদের ব্যক্তিগত অর্থ থেকে বহন করতে হচ্ছে। আমরা উদ্যোক্তারা নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছি, অনেকেই পথের ভিখারি হওয়ার উপক্রম।