চীন নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে বেশ কয়েকটি পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। সোমবার দেশটির রাজ্য কাউন্সিলের কাস্টমস ট্যারিফ কমিশনের দেওয়া এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় রয়টার্স।
দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বেশ কিছু পণ্যের শুল্কহার ও ক্যাটাগরি সামঞ্জস্য করতে রাজ্য কাউন্সিলের কাস্টমস ট্যারিফ কমিশন ‘২০২৬ শুল্ক সমন্বয় পরিকল্পনা’ জারি করেছে, যা আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। নতুন যুগের জন্য চীনা বৈশিষ্ট্যসহ শি জিনপিংয়ের সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারায় পরিচালিত এই পরিকল্পনাটি দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির চেতনাকে পুরোপুরি বাস্তবায়ন করে। এটি অস্থায়ী আমদানি শুল্কহার সামঞ্জস্য, শুল্কের সর্বোত্তম শ্রেণিবিভাগ, অগ্রাধিকারমূলক শুল্কহার বাস্তবায়ন, নতুন মানের উৎপাদনশীল শক্তি বিকাশে নেতৃত্ব প্রদান, উন্নত জীবনের জন্য জনগণের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ এবং উচ্চমানের উন্নয়নকে উৎসাহিত করছে।
ওয়েবসাইটে আরো বলা হয়েছে, দেশি ও আন্তর্জাতিক বাজারে সম্পদের সমন্বয়মূলক প্রভাব বৃদ্ধি এবং উচ্চমানের পণ্য সরবরাহ সম্প্রসারণের জন্য তিন ক্যাটাগরির ৯৩৫ পণ্যের ওপর মোস্ট ফেভারড ন্যাশন (এমএফএন) হারের চেয়ে কম অস্থায়ী আমদানি শুল্কহার প্রয়োগ করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে সিএনসি হাইড্রোলিক কুশন, বিশেষ আকৃতির কম্পোজিট কন্টাক্ট স্ট্রিপের মতো গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ ও উন্নত উপকরণ, লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির জন্য পুনর্ব্যবহৃত কালো পাউডার ও ভাঁজ না করা পাইরাইটের মতো সম্পদ এবং কৃত্রিম রক্তনালী ও নির্দিষ্ট সংক্রামক রোগের জন্য ব্যবহৃত ডায়াগনস্টিক কিটের মতো চিকিৎসাপণ্য রয়েছে। তবে চীনের বিশ্ববাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) যোগদানের প্রতিশ্রুতির জন্য মাইক্রো মোটর, প্রিন্টিং মেশিন ও সালফিউরিক অ্যাসিডের মতো পণ্যে অস্থায়ী আমদানি শুল্কহার কার্যকর হবে না। এক্ষেত্রে এমএফএন হার পুনর্বহাল করা হবে।
অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা ক্রমাগত বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক সমন্বিত উন্নয়নকে উৎসাহিত করতে ৩৪টি বাণিজ্যিক অংশীদারের সঙ্গে করা ২৪টি মুক্তবাণিজ্য চুক্তি ও অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্যের ওপর ভিত্তি করে আমদানি পণ্যের ওপর শুল্কহার কমানোর প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। ২০২৬ সালে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন-অগ্রগতিকে সমর্থন করার জন্য এবং বৃত্তাকার অর্থনীতি ও আন্ডার ফরেস্ট ইকোনমি উন্নত করার জন্য ইন্টেলিজেন্ট বায়োনিক রোবট, টেকসই বিমান জ্বালানি ও আন্ডার ফরেস্ট জিনসেংয়ের মতো পণ্যগুলোও যুক্ত করা হবে। এগুলোর সমন্বয় হলে দেশটিতে শুল্কহার কমানো পণ্যের সংখ্যা হবে আট হাজার ৯৭২টি।