মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বিদেশি ওষুধ কোম্পানিগুলোর মূল্য নির্ধারণ নীতি নিয়ে তদন্ত শুরু করতে যাচ্ছে। এতে বৈশ্বিক বাণিজ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৭৪ সালের ট্রেড অ্যাক্টের ধারা ৩০১ এর আওতায় তদন্তটি পরিচালিত হবে। এতে দেখা হবে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য অংশীদার দেশগুলো ওষুধ প্রকৃত মূল্যে দিচ্ছে কি না।
এই তদন্তের ফলে হোয়াইট হাউস যেকোনো আমদানি পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, এতে আবারও শুরু হতে পারে বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ—যা কয়েকদিন আগেই কিছুটা প্রশমিত হয়েছিল।
তদন্তের বিষয় জানতে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস যোগাযোগ করলেও এখন পর্যন্ত হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি ট্রাম্পের অস্থির বাণিজ্যনীতিরই আরেক অধ্যায়। তাঁর নীতির কারণে আগেও যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে দীর্ঘ বাণিজ্যযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল এবং ইউরোপ ও এশিয়ার মিত্র দেশগুলোর পণ্যের ওপরও উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছিল।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের রোগীরা প্রেসক্রিপশন ওষুধের জন্য বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় সর্বোচ্চ দাম পরিশোধ করেন—অন্যান্য উন্নত দেশের তুলনায় প্রায় তিনগুণ পর্যন্ত বেশি।
ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন, উন্নত দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় অনেক কম দামে ওষুধ কিনছে। গত সপ্তাহে তিনি বলেন, লন্ডনে একটি ওষুধ ১৩০ ডলারে কেনা যায়, কিন্তু একই ওষুধ নিউইয়র্কে কিনতে লাগে এক হাজার ৩০০ ডলার।
এ বছরের শুরুর দিকে ট্রাম্প ১৭টি বড় ওষুধ কোম্পানির প্রধানদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে নির্দেশ দেন যে, তারা যেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসক্রিপশন ওষুধের দাম অন্যান্য দেশের তুলনায় সমান পর্যায়ে নামিয়ে আনে।
গত মাসে ট্রাম্প নতুন করে হুমকি দিয়ে বলেন, যদি ওষুধ কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন কারখানা না গড়ে তোলে, তাহলে ব্র্যান্ডেড ওষুধ আমদানির ওপর ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হবে।
তবে এখন পর্যন্ত সেই শুল্ক কার্যকর হয়নি। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কোম্পানিগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ ও দাম কমানোর জন্য কিছু সময় দেওয়া হবে।