জনগণের সচেতনতা ও সেবাদানকারী সকল প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
রোববার সকালে গুলশানে ডিএনসিসির প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় মোহাম্মদ এজাজ বলেন, “এ বছর বর্ষা মৌসুমের শুরুতে আমরা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সভা করেছি। সভায় বিশেষজ্ঞরা যে পরামর্শ দিয়েছেন, সেগুলো সারা বছর ধরে বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছি।”
তিনি বলেন, “সাম্প্রতিক তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বিগত বছরের তুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। তবে ডেঙ্গুতে একটি মৃত্যুও আমাদের কাম্য নয়। স্বল্প জনবল নিয়েও আমরা সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।”
ডিএনসিসি প্রশাসক আরও জানান, “আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী জনস্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতি হাজারে ২.৩ জন কর্মীর প্রয়োজন, কিন্তু আমাদের রয়েছে প্রতি ১১ হাজারে একজন কর্মী—যা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী মাঠপর্যায়ে সেবা কার্যক্রম জোরদার করতে ডিএনসিসি এলাকায় ৭ জন পরিদর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অঃ দাঃ) মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, কীটতত্ত্ববিদ প্রফেসর মো. রাশেদুল ইসলাম, স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা ও হাসপাতালের প্রতিনিধি এবং ডিএনসিসির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।