হোম > আইন-আদালত

হাসিনা-কামালের রায়ের দিন ধার্য হবে আজ

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা

আমার দেশ অনলাইন

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ হবে আজ বৃহস্পতিবার ।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলাটি বর্তমানে রায়ের অপেক্ষার তালিকায় ১ নম্বরে আছে।

এদিকে, বুধবার ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম আবারও পলাতক হাসিনার সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেছে।

ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার (আজ) মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসিনার রায়ের তারিখ পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১২ মে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনে জমা দিয়েছিল তদন্ত সংস্থা। এরপর ১ জুন রাষ্ট্রপক্ষ হাসিনাকে ট্রাইব্যুনালের প্রধান আসামি হিসেবে উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দায়ের করে। পরে ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

একপর্যায়ে এ মামলায় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্য উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন করেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। ট্রাইব্যুনাল আবেদন মঞ্জুর করার পর তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন।

ঐতিহাসিক এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ শহীদ পরিবারের অনেকে। এছাড়া স্টার উইটনেস হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন আমার দেশ-এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমান এবং এনসিপির আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া নাহিদ ইসলাম। লিখিত সাক্ষ্য দেন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন উমর। সব মিলিয়ে এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ৫৪ জন।

শেখ হাসিনাসহ এ মামলায় তিনজনের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়, ষড়যন্ত্র, উসকানি, হত্যা, পরিকল্পনাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ গঠন করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

প্রথম অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। ওই বক্তব্যে তিনি আন্দোলনকারীদের রাজাকারের বাচ্চা, রাজাকারের নাতি-পুতি বলে উল্লেখ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে কামাল ও মামুনসহ তৎকালীন সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ‘প্ররোচনা, সহায়তা ও সম্পৃক্ততায়’ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও সশস্ত্র ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীরা’ ব্যাপক মাত্রায় ও পদ্ধতিগতভাবে নিরীহ ও নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর আক্রমণ করে তাদের হতাহত করে।

দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়, হাসিনা হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের ‘হত্যা করে নির্মূলের নির্দেশ’ দেন, যা বাস্তবায়ন করেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক মামুন ।

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাইদ হত্যার ঘটনায় তৃতীয় অভিযোগটি আনা হয়।

৪ নম্বর অভিযোগে গত বছরের ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক আন্দোলনকারী ছয়জনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, হত্যার নির্দেশ, প্ররোচনা, উসকানি, সহায়তা, ষড়যন্ত্র ও সম্পৃক্ততার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন হাসিনাসহ তিন আসামি।

পঞ্চম অভিযোগে বলা হয়, ৫ আগস্ট ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে আসার সময় আশুলিয়ায় ছাত্রদের গুলি করে হত্যা করে লাশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনার নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনাসহ তিন আসামি মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।

বর্তমানে ভারতে পালিয়ে থাকা হাসিনার রায় ঘিরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে নাশকতার চেষ্টা করছে।

জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: হাসিনার রায় ১৭ নভেম্বর

সংবিধান পঞ্চদশ সংশোধনী রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি

হাসিনার রায় ঘোষণার তারিখ ঘিরে ট্রাইব্যুনালে কড়া নিরাপত্তা

ট্রাইব্যুনালে আনা হলো হাসিনার মামলার রাজসাক্ষী মামুনকে

ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের চিঠি

প্রকাশ্যে গুলি চালানোর নির্দেশে আসকের উদ্বেগ প্রকাশ

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মখা আলমগীরসহ ৭ জনের নামে দুদকের মামলা

হাইকোর্ট বিভাগে ৬৭ বেঞ্চ পুনর্গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি

দুই মামলায় খালাস পেলেন যুবদল নেতা ইসহাক সরকার

হিরো আলমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি