মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় অভিযুক্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৫ কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের সময় ৩ দিন পেছানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম।
রোববার (২৬ অক্টোবর) প্রসিকিউশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে আগামী ২৩ নভেম্বর এবং রামপুরায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দুই জনকে হাজিরে ২৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা ৩ মামলার মধ্যে দু’টি আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা। এছাড়া অপর মামলাটি করা হয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায়। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ২৫ জন সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তাকে। যাদের মধ্যে ১৫ জন সেনা কর্মকর্তা এখনো কর্মরত। এছাড়া ৯ জন অবসরে ও একজন এলপিআরে (অবসরোত্তর ছুটিতে) আছেন।
ব্রিফিংয়ে সেনা সদস্যদের ট্রাইব্যুনালে হাজিরের দিন পরিবর্তনের আবেদনের কথা উল্লেখ করে প্রসিকিউটর তামীম বলেন, গুম-নির্যাতনের দুই মামলার পরবর্তী তারিখ ছিল আগামী ২০ নভেম্বর। প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে রোববার এ মামলার তারিখ পরিবর্তনের জন্য একটি আবেদন করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২৩ নভেম্বর এ দুই মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন। এ সময় প্রসিকিউশনের নিজস্ব জটিলতার (ডিফিকাল্টি) কারণে এই সময়ের আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে রাজধানীর রামপুরায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অপর মামলায় ২ সেনা কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে। আগামী ৫ নভেম্বর এ মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারিত ছিল। তবে সেই সময়ও পরিবর্তনের আবেদন করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল আবেদন মঞ্জুর করে এ মামলার পরবর্তী তারিখ ২৪ নভেম্বর ধার্য করেছেন বলেও জানান প্রসিকিউটর।