কী বলছেন প্রসিকিউটর
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছিল গত বুধবার (২২ অক্টোবর)। দেশের ইতিহাসে এই প্রথম সিভিল আদালতে বিচারের মুখোমুখি করার পর প্রশ্ন উঠে অভিযুক্ত ওই ১৫ সেনা কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত নাকি কর্মরত?
রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম।
ব্রিফিংকালে এক সাংবাদিক প্রসিকিউটরকে প্রশ্ন করেন যে- সংশোধিত আইন অনুযায়ী, ফরমাল চার্জ বা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হলে সেনা কর্মকর্তাদের চাকরি থাকার কথা নয়। কিন্তু আপনি সেনা কর্মকর্তাদের সার্ভিং বলছেন। তাহলে তাদের চাকরিচ্যুত নাকি কর্মরত, কোনটি বলা হবে?
উত্তরে প্রসিকিউটর বলেন, আইনে যেমনটা বলা আছে, সেটিই আইনের ব্যাখ্যা। তবে সেনা সদর দপ্তর এখন সিদ্ধান্ত নেবে যে, কবে থেকে এসব সেনা কর্মকর্তার ক্ষেত্রে এই আইন প্রয়োগ করা হবে। তবে যতক্ষণ আইন প্রয়োগ না করা হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তো তাদের সার্ভিং (কর্মরত) বলাই যেতে পারে।
সেনা সদর দপ্তর আইন প্রয়োগ না করা পর্যন্ত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক ৩ মামলার আসামি ২৫ সেনা কর্মকর্তার মধ্যে ১৫ জন কর্মরত বিবেচিত হবেন বলেও জানান তিনি।