হোম > আইন-আদালত

প্রতারণা মামলায় জামিন পেলেন গ্রামীণ ফোনের সিইওসহ ৩ জন

স্টাফ রিপোর্টার

প্রতারণা ও অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রামীণ ফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমানসহ তিন জন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন।

রোববার দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রৌনক জাহান তাকির আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে তারা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের পাঁচ হাজার টাকার মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

জামিন পাওয়া অন্যান্যরা হলেন- ট্রাস্টি বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফজলুল হক, চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার (চিফ সিএইচআরও) সাইয়িদা হোসেন আসামি পক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এদিন আদালতে আসামি পক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী, খোরশেদ মিয়া আলম, নজরুল ইসলামসহ অনেকে জামিন চেয়ে শুনানি করেন।

শুনানিতে তারা বলেন, গ্রামীণ ফোনের গুরুত্বপূর্ণ তিন জনের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৪০৬, ৪২০, ৩৮০, ১০৯ ধারায় ওয়েলফেয়ার ফান্ডের ৮ লাখ ২৮ হাজার ৯৯৮ টাকা পাওনার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদী বলেছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা টাকা পরিশোধ করছেন না। এ অভিযোগে প্রেক্ষিতে আদালত সমন জারি করেন। মামলার এই অভিযোগ মিথ্যা। যার কারণে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। আদালত ন্যায় বিচার করেছেন।

আসামিদের জামিনের বিরোধিতা করে বাদি পক্ষের আইনজীবী রোকেয়া আক্তার (রোকশনা) বলেন, গ্রামীণফোনের কাছে মামলার বাদী ২০১০, ১১, ১২ সালের টাকা পাওনা রয়েছে। মূল পাওনা হচ্ছে, গ্রামীণ ফোনের কাছে। উনি পাওনা টাকার জন্য একাধিকবার গ্রামীণ ফোনে যাওয়ার পর উনারা এগ্রিমেন্টে স্বাক্ষর করার কথা বলে। পাওনা টাকা পরিশোধের কথাও জানায়। কিন্তু উনার সরল বিশ্বাসের সঙ্গে প্রতারণা করে তারা তাকে টাকা দেয়নি। পরে গ্রামীণ ফোনের ট্রাস্টি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফজলুল হকের কাছে গেলে তিনি বলেন, ও আপনার টাকা দেয়নি? আমি দেখছি। এ কথা বলে আজ পর্যন্ত তারা ঘোরাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের পাঁচ হাজার টাকার মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ ফোন কোম্পানি লিমিটেডে ২০০৬ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত চাকুরি করেন মামলার বাদী রাকিবুল আজম। বাদী চাকরিরত অবস্থায় ২০১০ সাল থেকে ২০১২ পর্যন্ত আউটসোর্সিং এর রক্ষিত টাকা কর্মচারীদের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। বাদী ওই আউটসোর্সিং এর কাজের জন্য কোম্পানির কাছে ৮ লাখ ২৮ হাজার ৯৯৮ টাকা পাওনা হয়। পরবর্তীতে গত ১০ নভেম্বর বাদীকে তার পাওনা টাকা দেওয়ার জন্য ডাকা হয়। বাদী তার পাওনা আনতে গেলে আসামিরা তার কাছে তিনশত টাকার স্টাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে ফেরত পাঠায়। এরপর আসামিরা ওই টাকা ফেরত না দিয়ে ভিন্নভাবে টালবাহানা করতে থাকে। ওই ঘটনায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর প্রতারণা ও অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট আদালতে মামলাটি দায়ের রাকিবুল আজম।

আদালত ওইদিন বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির হতে (২৬ অক্টোবর) সমন জারি করেন।

বিস্ফোরক মামলায় অব্যাহতি পেলেন মির্জা ফখরুলসহ ১৬৩ নেতা

প্রতারণার মামলায় আজহারুল ইসলাম ফিরোজ ও রিজভী আহমেদ গ্রেপ্তার

অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করার তারিখ পেছাল

অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত নাকি কর্মরত?

মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় সম্রাটের জামিন বাতিল, গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি

ফের বসুন্ধরার পক্ষে বিএনপির একাধিক আইনজীবী

সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে জামিন দিতে হাইকোর্টের রুল

গুমের মামলায় জিয়াউলের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ১১ ডিসেম্বর

জুলাইয়ের প্রতিটি শহীদের ঘটনা তুলে আনতে হবে: চিফ প্রসিকিউটর

বার কাউন্সিল লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ