অ্যামনেস্টির বিবৃতি
মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় অভিযুক্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৫ কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
বুধবার সংস্থাটির বিবৃতিতে তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায়।
বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, এটি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের সামরিক কর্মকর্তাদের গুমের ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করার দৃষ্টান্ত, যা জবাবদিহিতা ও ভুক্তভোগীদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
সরকারের প্রতি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আহ্বান জানিয়েছে, বিচার প্রক্রিয়াটি যেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড অনুযায়ী পরিচালিত হয়—যেখানে যথাযথ বিচারপ্রক্রিয়ার নিশ্চয়তা, ন্যায়সঙ্গত বিচারের অধিকার এবং বেসামরিক আদালতে শুনানির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
একইসঙ্গে সংস্থাটি আরও আহ্বান জানিয়ে বলেছে, আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে বাংলাদেশের অঙ্গীকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিচারে যেন মৃত্যুদণ্ড প্রয়োগ থেকে বিরত থাকা হয়।
অ্যামনেস্টি উল্লেখ করেছে, মামলাটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে। কারণ এটি প্রথমবারের মতো সক্রিয়ভাবে দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের গুম ও নির্যাতনের মতো অপরাধের অভিযোগে বেসামরিক ট্রাইব্যুনালে হাজির করার ঘটনা।