হোম > শিক্ষা

নভেম্বরেই শুরু হচ্ছে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম

সপ্তাহে পাঁচদিন খাবার পাবে ৩১ লাখ শিশু

সরদার আনিছ

সব ধরনের জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে ‘মিড ডে মিল’কর্মসূচির আওতায় আগামী নভেম্বর থেকেই দেশের ১৬৫ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের পুষ্টিকর খাবার দেয়া শুরু হচ্ছে। এতে ১৬৫ উপজেলার প্রাইমারি স্কুলগুলোর ৩১ লাখ ৩০ হাজার শিশুকে দেশীয় ফলসহ ডিম, দুধ, কলা, পাউরুটি ও বিস্কিট দেয়া হবে। সপ্তাহে পাঁচ দিন তারা এই খাবার পাবে। নভেম্বর মাসের ১৭ তারিখে এ ফিডিং কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানা গেছে। এ কর্মসূচি চলবে ২০২৭ সাল পর্যন্ত।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে এ কর্মসূচি শুরুর কথা থাকলেও নানা জটিলতায় পিছিয়ে যায়। সর্বশেষ সেপ্টেম্বরে চালুর কথা বলা হলেও টেন্ডার জটিলতায় ঝুলে যায়।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের এই খাদ্যতালিকা শিক্ষার্থীদের পুষ্টি নিশ্চিত করবে এবং ক্ষুধার তাড়না থেকে মুক্তি দিয়ে শ্রেণিকক্ষে মনোযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়ার হার কমবে এবং বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে। প্রকল্পে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে পাঁচ হাজার ৪৫২ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে ৯৭ শতাংশ ব্যয়ই বরাদ্দ রাখা হয়েছে খাদ্য সরবরাহের জন্য। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয়েছে দুই হাজার ১৬৪ কোটি টাকার বেশি।

প্রকল্পটির আওতায় স্কুল চলাকালীন শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে পাঁচ দিন সরবরাহ করা হবে পুষ্টিকর খাবার। এর মধ্যে রয়েছে বনরুটি, সেদ্ধ ডিম, ইউএইচটি দুধ, ফরটিফাইড বিস্কুট এবং মৌসুমি ফল বা কলা। সপ্তাহের রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের পরিবেশন করা হবে বনরুটি ও সেদ্ধ ডিম। সোমবার বনরুটি ও দুধ এবং বুধবার মিলবে ফরটিফাইড বিস্কুট ও মৌসুমি ফল বা কলা। প্রতিটি বনরুটির ওজন নির্ধারণ করা হয়েছে ১২০ গ্রাম, প্রতিটি ডিম ৬০ গ্রাম, দুধ ২০০ গ্রাম, বিস্কুট ৭৫ গ্রাম ও ফল ১০০ গ্রাম।

এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে স্কুল ফিডিং মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে রয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা, নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকসহ প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা। প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রশিক্ষণও গুরুত্ব পাচ্ছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজন করা হয় ১৯২টি ব্যাচে ওরিয়েন্টেশন ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। এতে অংশগ্রহণকারী ১৯ হাজার ৭১৯ শিক্ষক ও কর্মকর্তা।

এ প্রসঙ্গে সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান সরকারি সংস্থা বাসসকে বলেন, আগামী নভেম্বর থেকে দেশের ১৬৫ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের পুষ্টিকর খাবার দেয়া শুরু হবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে দারিদ্র্যের হার অনুযায়ী প্রতিটি জেলায় একটি করে উপজেলাকে বেছে নেয়া হয়েছে। নির্ধারিত ওই উপজেলার প্রতিটি স্কুলে খাবার দেয়া হবে। তবে বান্দরবান এবং কক্সবাজারের সব উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী এই স্কুল ফিডিং কার্যক্রমের আওতায় থাকবে।

মহাপরিচালক বলেন, মানসম্মত খাবার পেলে বাচ্চারা স্কুলে আরো বেশি মনোযোগী হবে। পুষ্টির যে চাহিদা তা মিটবে। স্কুলে ঝরে পড়ার হার অনেক কমে যাবে।

তিনি আরো বলেন, সারাদেশে এ মুহূর্তে ১৩ হাজার ৫শ’ সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। আমরা শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালাটা হাতে পেলেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে যাব। আশা করি খুব অল্প সময়ে অর্থাৎ আগামী নভেম্বর মাসে আমরা বিজ্ঞপ্তি দিতে পারব।

প্রাথমিকের উপবৃত্তির টাকা বিতরণ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য বড় সুখবর

পে-স্কেলে সর্বনিম্ন বেতন ৩২,৫০০ টাকা করার প্রস্তাব

মানারাত ইউনিভার্সিটি ও ইন্টারন্যাশনাল ওপেন ইউনিভার্সিটি গাম্বিয়ার এমওইউ স্বাক্ষর

নয়টি নতুন জিন আবিষ্কার সম্ভাব্য তিন ওষুধ নির্ধারণ

বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস স্থাপন করতে চায় পাকিস্তান

সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি কার্যক্রমের সময় ফের বাড়লো

৪৯তম বিশেষ বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ২ নভেম্বর

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

অক্টোবর মাসের এমপিও বিল ২৭ তারিখের মধ্যে প্রদানের নির্দেশ