বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান ভক্তদের কাছে তার বিলাসবহুল বাংলো ‘মন্নত’ অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান। তবে কয়েক মাস ধরেই ‘মন্নত’-এ সংস্কার কাজ চলছে। নিজেরা অন্যত্র উঠে গিয়ে বাংলো রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু করেছেন বলিউডের এ বাদশাহ। কিন্তু এর মধ্যেই শোনা গেল অন্য একটি অভিযোগ।
মন্নতে নাকি চলছে অবৈধ নির্মাণ, বাংলো সংস্কারের সময় উপকূলীয় অঞ্চলের নিয়ম মানা হয়নি। এই অভিযোগ শোনার পরেই অভিনেতার বাড়িতে আসেন বিএমসি এবং বনবিভাগের কর্মকর্তারা। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তারা।
এ প্রসঙ্গে বনবিভাগের এক উচ্চপদস্থ কর্তা পরে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, বেআইনি সংস্কারের অভিযোগ পেয়েই দুই বিভাগ এক যোগে শাহরুখের বাংলোয় হানা দিয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে শীঘ্রই প্রতিবেদন তৈরি করে জমা দেবেন তাঁরা।
তবে এই ব্যাপারে কর্মকর্তাদের আশ্বস্ত করে অভিনেতার ম্যানেজার পূজা দাদলানি জানিয়েছেন, যে সংস্কার করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ অনুমতি মেনেই করা হচ্ছে। বাড়ি সম্পর্কিত সমস্ত নথি যথাযথভাবে জমা দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে পূজা বলেন, সমস্ত নির্দেশিকা মেনেই কাজ করা হয়েছে। কোনও অভিযোগ নেই। অন্যদিকে বন বিভাগের একজন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সংস্কার অনুমতি সম্পর্কে একটি অভিযোগ পাওয়ার পর আমাদের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রয়োজনীয় তথ্য, নথি জমা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং আইনজীবী ওয়াইপি সিং অভিযোগ করার পরেই শাহরুখের বাড়িতে হানা দেন বনদপ্তরের কর্মকর্তারা। অভিযোগকারীর অভিযোগ অনুযায়ী, ২০০৫ সালে নগর ভূমি সীমা আইন কার্যকর থাকায় বড় অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি করা সম্ভব ছিল না। কিন্তু এই আইনি বাধা অতিক্রম করার জন্য শাহরুখ এবং গৌরী বিএনসির কাছ থেকে ১২ টি ছোট ছোট ফ্ল্যাটের অনুমোদন চেয়েছিলেন।
অনুমোদন পাওয়ার পর ১২টি ছোট ছোট ফ্ল্যাট, যা মূলত নগর ভূমি সীমা আইনের অধীনে গণ আবাসনের জন্য তৈরি ছিল, সেটি পরে অভিনেতার পরিবারের জন্য একটি বিলাসবহুল আবাসনে পরিণত হয়। অভিযোগকারীর অভিযোগ যদি সত্য প্রমাণিত হয়, তাহলে ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়তে হতে পারে কিং খানকে।