সিলেটের কমলগঞ্জের ঘোড়ামারায় নটমণ্ডপে তিন দিনে পাঁচটি প্রদর্শনী নিয়ে আসছে মঞ্চনাটক ‘ধ্বজো মেস্তরীর মরণ’। মণিপুরি থিয়েটারের এই নাটকটি মণিপুরিদের ঐতিহ্যবাহী ঘর তৈরির কারিগর ধ্বজো মেস্তরীর জীবনের গল্প নিয়ে রচিত।
মণিপুরি থিয়েটার জানিয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার ‘ধ্বজো মেস্তরীর মরণ’র প্রদর্শনী হবে। প্রায় ২০ বছর আগে ২০০৫ সালে নাটকটির প্রদর্শনী হয়েছিল। এরপর দুই দশক মঞ্চে নাটকটি প্রদর্শনী আর হয়নি। কিছু জায়গায় পরিমার্জন-সংযোজনের মধ্য দিয়ে নতুন অবয়বে নাটকটি আবার মঞ্চে আনছে দলটি। এবার পুরোনোদের সঙ্গে একঝাঁক নতুন অভিনয়শিল্পী এই নাটকে অভিনয় করছেন। এর আগে ঢাকায় শিল্পকলা একাডেমি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে হয়েছে এই নাটকের প্রদর্শনী।
এবার তিন দিনব্যাপী বিভিন্ন সময় সিলেটের কমলগঞ্জে দেখা যাবে এটি। নাটকের গল্পে দেখা যাবে, মণিপুরিপাড়ার নামকরা মিস্ত্রি ধ্বজোর হাতের গড়া ঘরগুলো যখন কালের আবর্তে সব নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়, তখন তার হাতের মিস্ত্রিবিদ্যার একমাত্র চিহ্ন হয়ে ছিল তার নিজের বাড়িটি। আধুনিকতার হাতছানিতে তার ছেলেরাই একদিন নতুন ভবন তৈরির জন্য সেটিও ভেঙে ফেলে।
ধ্বজোর সব কর্ম, ঘরটিকে নিয়ে তার সব স্মৃতি লুপ্ত হয়ে গেল। পাড়ার লোকজন যখন পুরোনো সেই বাড়ির ভগ্নাবশেষ নিয়ে দূরে ফেলে দিতে যায়, ধ্বজোর মনে হয় তারই লাশ বহন করে চলেছে তারা। স্মৃতিকুমার সিংহের গল্প অবলম্বনে নাটকটির নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন শুভাশিস সিনহা। বাংলা ও বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি ভাষার সংমিশ্রিত এই নাটকে কথকের ভূমিকায় আছেন জ্যোতি সিনহা।
তরুণ ও বৃদ্ধ ধ্বজোর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সমরজিৎ সিংহ ও বিধান সিংহ। আরো আছেন স্বর্ণালী সিনহা, শিউলী সিনহা, সুবর্ণা সিনহা, রাজকান্ত সিংহ, দীপ্তাংশু সিংহ, রুহিত সিংহ, সীমান্ত সিংহ, অনন্যা সিনহা, স্বর্ণালী শর্মাসহ অনেকে। নাটকের সংগীতে আছেন শর্মিলা সিনহা, বাদ্যে রনি সিংহ ও অঞ্জনা সিনহা। আলোক পরিকল্পনায় আসলাম অরণ্য। পোস্টার করেছেন সজলকান্তি সিংহ। প্রযোজনা ব্যবস্থাপনায় আপন সিংহ ও দেবজিৎ সিংহ।