মাস দুয়েক আগে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছিলেন, দেশের কিংবদন্তি শিল্পীদের স্মরণে রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। এবার কালজয়ী কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্মরণ করার কথা বললেন তিনি।
১৩ নভেম্বর হুমায়ূন আহমেদের ৭৭তম জন্মদিন। বিশেষ এই দিনটি বিস্তৃত পরিসরে উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
উদযাপনের বিষয়টি জানিয়ে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে সবচেয়ে প্রভাবশালী কালচারাল আইকন সম্ভবত তিনি। ‘সেলেব্রেটিং বাংলাদেশী লেজেন্ডস’ সিরিজে এবার আমরা উদযাপন করবো তাঁকে, এই ১৩ নভেম্বর। আরো বড়, আরো বিস্তৃত আয়োজনে হবে এবারের পর্ব। গান হবে, ছবি দেখানো হবে, আলাপ হবে। ভালো হতো ১৩ তারিখ যদি ভরা পূর্ণিমা হইতো। কিন্তু ক্যালেন্ডার বলছে ৫ তারিখ পূর্ণিমা। অসুবিধা নাই। ভালোবাসার পূর্ণিমা হবে সেইদিন।’
অনুষ্ঠান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আপাতত এইটুকু বলা, উনার ভক্তরা চোখ রাখতে পারেন শিল্পকলা একাডেমির পেইজে। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ ছাড়াও আরো নানান আয়োজনে আপনাদের আমন্ত্রণ।’
সংস্কৃতি উপদেষ্টার পোস্টকে ঘিরে অনেকেই জানতে চেয়েছে, ‘সেলিব্রেটিং বাংলাদেশী লেজেন্ডস’-এ হাছন রাজা, শাহ আব্দুল করিম, আব্বাসউদ্দীন আহমদরা থাকছেন কি-না। আজ মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে উপদেষ্টা ‘হ্যাঁ’ জানিয়ে বলেন, ‘অনেকেই জানতে চেয়েছেন হাছন রাজা, শাহ আব্দুল করিম, আব্বাসউদ্দীনরা কি আমাদের সেলিব্রেটিং বাংলাদেশী লেজেন্ডস ক্যালেন্ডারে আছেন কিনা। প্রথমেই ধন্যবাদ যে এই প্রশ্নগুলো আসছে। এবার প্রশ্নের উত্তর— ইয়েস।’
পাশাপাশি তিনি আরও জানান, শুধু তাঁরাই নয়, শিল্পের নানা শাখার বরেণ্য মানুষরা থাকছেন সেলিব্রেটিং বাংলাদেশী লেজেন্ডস ক্যালেন্ডারে। ইতোমধ্যে এ নিয়ে কাজ করছেন শিল্পকলা একাডেমির পরিচালকরা।