অস্কারজয়ী সুরকার ও গায়ক এ আর রহমান। শৈশবের কঠিন সংগ্রাম থেকে কীভাবে সফল এ আর রহমান হয়ে উঠেছেন, সেই গল্প বলেছেন। তবে এবার অতীতের ভয়ংকর ট্রমার কথা বলছেন। সম্প্রতি এক ইউটিউব চ্যানেলের পডকাস্টে উপস্থিত হন তিনি।
এ আর রহমান জানান, কীভাবে ছোটবেলায় প্রতিদিনই ট্রমার মুখোমুখি হতে হয়েছে এবং তার বাবাকে মাথার উপর ছাদ রাখার জন্য কতটা সংগ্রাম করতে হয়েছে। তিনি আরো জানান, সংগীতে এগিয়ে যেতে উৎসাহ দিয়েছিলেন তার মা। শিশু বয়সের বড় একটি সময় স্টুডিওতে ৪০-৫০ বছর বয়সি সংগীতশিল্পীদের সঙ্গে কাটান তিনি। স্কুল, বন্ধু, স্বাভাবিক শৈশবÑএসব তার কাছে ছিল দূরের জগৎ।
বাবার আর্থিক সংগ্রামের কথাও স্মরণ করে বলেন, বাবার পরিবারের লোকরা মা-বাবাকে রাস্তায় ফেলে দিয়েছিল। তারপর বাবা ভাড়া বাড়িতে উঠলেন এবং দিন-রাত এক করে বাড়ি কেনার জন্য কাজ শুরু করেন। একই সঙ্গে তিনটি কাজ করতেন। আর সেই চাপেই তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। প্রতিদিন এ রকম খারাপ পরিস্থিতি দেখা আমার শৈশবকে অন্ধকার করে তুলছিল। মাত্র ৯ বছর বয়সে এ আর রহমানকে পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হয় যখন তার বাবার মৃত্যু হয়।
এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যখন বড় হচ্ছিলাম, বাবার মৃত্যু ও দাদির মৃত্যু সবকিছু আমাকে ছোট বয়সেই বড় অনুভূতির মধ্য দিয়ে নিয়ে যায়। প্রতিদিনই ট্রমার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। মা ছিলেন একা, তবু ভীষণ আত্মবিশ্বাসী। আমাদের রক্ষা করতে গিয়ে তাকে অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে।’ বর্তমানে আনন্দ এল. রাইয়ের আসন্ন ছবি ‘তেরে ইশক মে’তে সংগীতের জন্য এ আর রহমান প্রশংসা কুড়িয়েছেন। ধনুশ ও কৃতি শ্যানন অভিনীত এই ছবি মুক্তি পাবে ২৮ নভেম্বর।