২০২৫ সালের একটি ডিস্টোপিয়ান অ্যাকশন থ্রিলার সিনেমা ‘দ্য রানিং ম্যান’। স্টিফেন কিংয়ের ১৯৮২ সালের একই নামের উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে এটি। এডগার রাইট পরিচালিত এই ছবিতে অভিনয় করেছেন গ্লেন পাওয়েল, উইলিয়াম এইচ. ম্যাসি, লি পেস, মাইকেল সেরা, এমিলিয়া জোন্স, ড্যানিয়েল এজরা, জেমি লসন, কোলম্যান ডোমিঙ্গো এবং জোশ ব্রোলিন।
প্যারামাউন্ট পিকচার্স-এর ব্যানারে আগামীকাল ১৪ নভেম্বর আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পেতে যাচ্ছে সিনেমাটি। একই দিনে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাবে এটি।
১৯৮৭ সালের ছবির থেকে এই ভার্সন মূল উপন্যাসের প্রতি অনেকটা আনুগত্য পূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। একটি নিকট ভবিষ্যতের ডিস্টোপিয়ান সমাজে পৃথিবী ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট, বেকারত্ব এবং সরকারি নিয়ন্ত্রণে পিষ্ট হয়ে পড়েছে। জনগণকে ব্যস্ত ও নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকার আয়োজন করে ভয়ংকর টেলিভিশন গেম শো ‘দ্য রানিং ম্যান’।
এই শো-তে অংশগ্রহণকারীদের বলা হয় রানার। সমাজের অবাঞ্ছিত, দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ, যাদের সামনে একটাই সুযোগ- ৩০ দিন বেঁচে থাকতে পারলে তারা জিতে নিতে পারবে বিপুল অর্থ ও স্বাধীনতা। কিন্তু তাদের পিছু নেয় সশস্ত্র হত্যাকারীদের একটি গ্রুপে, যারা রাষ্ট্রের হয়ে এই খেলা পরিচালনা করে।
ছবিতে গ্লেন পাওয়েল অভিনয় করেছেন ‘বেন রিচার্ডস’ নামক চরিত্রে, যিনি সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া একজন পিতা; যার মেয়ে অসুস্থ, তাই জীবনের আশা ধরে রাখতে এই বিপজ্জনক খেলায় অংশগ্রহণ করেন তিনি। বেন একজন সাধারণ কারখানার কর্মী, যার ছোট মেয়ে মারাত্মক অসুস্থ এবং চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে পারছে না।
অন্যায় রাষ্ট্রব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কারণে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। শেষমেষ পরিবারের জন্য মরিয়া হয়ে বেন অংশ নেয় এই শো-তে। খেলাটি গোটা দেশজুড়ে সম্প্রচারিত হয়। রিচার্ডসকে দেওয়া হয় ১২ ঘণ্টার আগাম সময়, এরপর পুরো শহর হয়ে ওঠে তার জন্য শিকার ক্ষেত্র। চারপাশের মানুষ তাকে ধরিয়ে দিলে পুরস্কার পায়। অর্থাৎ, পুরো সমাজই যেন তার শত্রু। রিচার্ডস ধীরে ধীরে বুঝতে পারে যে এই শো শুধু বিনোদন নয়, এটি সরকারের জনগণ নিয়ন্ত্রণ করার একটা অস্ত্র। কিন্তু রিচার্ডস পালাতে পালাতে একটি আন্ডারগ্রাউন্ড প্রতিরোধ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়, যারা এই শো-এর সত্য প্রকাশ করতে চায়। শেষে রিচার্ডস শুধু নিজের জীবনের জন্য নয়, পুরো দেশের মুক্তির জন্য লড়াই করে। টেলিভিশন সম্প্রচারের মাঝেই সরকারের মিথ্যা ফাঁস করে দেন তিনি। দেখিয়ে দেন ‘দ্য রানিং ম্যান’ কিভাবে মানুষের মনোযোগ সরিয়ে রাখার অস্ত্র।