হোম > ফিচার > তথ্য-প্রযুক্তি

কেন কিছু ভূমিকম্প সুনামি সৃষ্টি করে?

আমার দেশ অনলাইন

কম্পনজনিত বা তাড়নজনিত কারণে ফুলে উঠা পানি বিশাল এক বা একাধিক ঢেউয়ের সৃষ্টি করে, এবং তা চারিদিকে সমান মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ে। এই ঢেউ দ্রুততার সাথে পাড়ে বা পাড়গুলোতে এসে আছড়ে পড়ে। বিশাল সমুদ্রের ক্ষেত্রে, উত্থিত ঢেউ নিকটবর্তি ভূভাগের দিকে ধাবিত হয়।

ইতিহাসে অনেকগুলো সুনামিতেই মানুষের তীব্র করুণ পরিণতি হয়েছিল। সুনামি শব্দটি জাপানি ভাষা থেকে এসেছে, যার অর্থ হারবার ওয়েভ বা পোতাশ্রয়ের ঢেউ। এটি আসলে বিশাল আকারের শক্তিশালী জলোচ্ছ্বাস।

ইংরেজিতে বলে Tsunami। জাপানি শব্দ থেকে এই শব্দের উত্পত্তি। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি সুনামি হয় জাপানে। পৃথিবীর ৮০ শতাংশ সুনামি হয় প্রশান্তমহাসাগরে। আড়াই হাজার বছর আগে প্রাচীন গ্রিক ইতিহাসে মেডিটেরিনিয়ান সাগরে সুনামির কথা উল্লেখ করেছিলেন।

ভূমিকম্প কীভাবে সুনামি সৃষ্টি করে?

পৃথিবীর বাইরের স্তরটি অনেকগুলো ভাগে বিভক্ত। এগুলোকে বলা হয় টেকটোনিক প্লেট। দেখতে অনেকটা টুকরো মেলানো ধাঁধার মতো। এই প্লেটগুলো খুবই ধীরে নড়াচড়া করে। হয়তো বছরে মাত্র কয়েক সেন্টিমিটার, তুলনা করলে বলা যায় আমাদের নখ বাড়ার সমান।

এই প্লেটগুলো যখন একে অপরের দিকে বা পাশ দিয়ে সরে যায়, তখন কখনো কখনো তাদের কিছু অংশ 'আটকে' যায় আর সেখানে লম্বা সময় ধরে চাপ বা শক্তি জমতে থাকে।

একসময় এই চাপ অনেক বেড়ে যায় এবং প্লেটগুলো ঝাঁকুনি দেয় বা পিছলে যায়। এটি ভূমিকম্পের সময় অনুভূত বিপুল পরিমাণ শক্তি নির্গত করে।

এটাই যদি সমুদ্রের নিচে ঘটে, তাহলে সেই স্থানচ্যুতি চারপাশের পানিকে জোরে ঠেলে দেয়, যা পরে সুনামি হিসেবে উপকূলের দিকে ধেয়ে যায়।

হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূকম্পবিদ্যা ও টেকটোনিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হেলেন জানিশেভস্কি বিবিসিকে বলেন, "সাধারণত সুনামির ঢেউ জেট বিমানের গতিতে ছুটে চলে।"

"আপনি যদি ভাবেন, প্লেনে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে পৌঁছাতে কত সময় লাগে, বুঝতে পারবেন ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল থেকে সুনামির ঢেউ পৌঁছাতে সেই পরিমাণই সময় লাগে," যোগ করেন তিনি।

সব ভূমিকম্প সুনামি সৃষ্টি করে না

যুক্তরাষ্ট্রের ওশানিক এন্ড এটমোস্ফিয়ার এডমিনিস্ট্রেশনের (এনওএএ) তথ্য অনুযায়ী, সাধারণত কোনো ভূমিকম্পের মাত্রা ৮ -এর বেশি না হলে তা বিপজ্জনক দূরবর্তী সুনামি সৃষ্টি করতে পারে না।

সংস্থাটি বলছে, সমুদ্র তলের স্থানচ্যুতির পরিমাণ, ভূমিকম্প যে অঞ্চলে সংঘটিত হয়েছে তার আয়তন এবং ভূমিকম্পের ওপরের পানির গভীরতা এসবই সৃষ্ট সুনামির আকার নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

সাত মাত্রার বেশি ভূমিকম্পের ফলে বেশিরভাগ সুনামি সৃষ্টি হয়, যেগুলো সমুদ্রের নিচে বা খুব কাছাকাছি স্থানে ঘটে এবং পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিমি বা ৬২ মাইলের কম গভীরতায় হয়। গ্লোবাল হিস্টোরিকাল সুনামি ডেটাবেস অনুযায়ী, ৮৯ শতাংশ সুনামি সৃষ্টি হয়েছে বড় ভূমিকম্প বা ভূমিকম্প-সৃষ্ট ভূমিধসের মাধ্যমে।

বড় ট্র্যাজেডির অপেক্ষায় ঢাবি?

প্রকৃতিতে বিস্ময়কর যা ঘটে ভূমিকম্পের সময়

এবার নিষিদ্ধ হচ্ছে ১৬ বছরের কম বয়সিদের ফেসবুক

ব্রাকসুর ভোট গ্রহণ ৫ দিন এগিয়ে ২৪ ডিসেম্বর

সারা দেশে ৩৮ শতাংশ শিশুর শরীরে সিসা

হাবিপ্রবির ২য় সমাবর্তন, সম্মাননা স্মারক না পাওয়ায় ক্ষোভে প্রাক্তনরা

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের শীতবস্ত্র বিতরণ

ডাকসু নেত্রীর বাড়িতে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ

‘নবান্ন উৎসব’ নিয়ে ভিন্নধর্মী আয়োজন ঢাবি ছাত্রদলের

ভুয়া এআই কন্টেন্ট যেভাবে শনাক্ত করতে পারেন