ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রথমবারের মতো আয়োজন হতে যাচ্ছে বছরব্যাপী ‘তারুণ্যের উৎসব’। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহযোগিতায় আগামী ১৬ নভেম্বর শুরু হওয়া এই দীর্ঘ আয়োজনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব, উদ্ভাবন, গবেষণা, সংস্কৃতি ও নৈতিকতা বিষয়ে নানা কর্মসূচি চলবে পুরো এক বছর।
শুক্রবার বিকেলে ঢাবির সিনেট ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উৎসবের বিস্তারিত তুলে ধরেন আয়োজক কমিটির সভাপতি ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জসিম উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের যুগ্মসচিব এবং ডাকসু’র ভিপি আবু সাদিক কায়েম।
আয়োজক কমিটি জানায়, বছরব্যাপী উৎসবের প্রতিটি মাসে নির্দিষ্ট থিম ধরে কার্যক্রম পরিচালিত হবে। নভেম্বর ও ডিসেম্বরকে যথাক্রমে ‘উদ্বোধন ও নেতৃত্ব’ এবং ‘উদ্ভাবন ও গবেষণা’ মাস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
এ ছাড়া আগামী মাসগুলোতে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সচেতনতা, সবুজ ক্যাম্পাস ও জীববৈচিত্র্য, নৈতিকতা ও সুশাসন, শিল্প ও সংস্কৃতি, ফিল্ম ও মিডিয়াসহ নানা বিষয়ভিত্তিক মাস উৎযাপিত হবে।
ঢাবির ইতিহাসে প্রথম এই বছরব্যাপী উৎসবকে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, নেতৃত্ব ও সামাজিক সচেতনতা বিকাশের বড় সুযোগ হিসেবে দেখছেন আয়োজকরা।