নতুন পে-স্কেল প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় বেতন কমিশনের সদস্যরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। গতকাল সোমবার বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত জাতীয় বেতন কমিশনের সম্মেলন কক্ষে বৈঠকটি হয়।
সভা শেষে কমিশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। তবে সব সচিব সভায় উপস্থিত হননি। পরে সচিবদের নিয়ে আবারও আলোচনা হবে।’
সুপারিশ কবে হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আলোচনা শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যেই রিপোর্ট জমা দিতে পারব বলে আশা করছি।
গত ২৭ জুলাই জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাধীন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সময়োপযোগী ও যথোপযুক্ত বেতন কাঠামো নির্ধারণের জন্য বেতন কমিশন গঠন করে সরকার।
এরই মধ্যে গত ১ থেকে ১৫ অক্টোবর সাধারণ নাগরিক, সরকারি চাকরিজীবী, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং অ্যাসোসিয়েশন বা সমিতি এই চার শ্রেণিতে প্রশ্নমালার মাধ্যমে কমিশন অনলাইনে সর্বসাধারণের মতামত সংগ্রহ করেছে।
এদিকে পে কমিশনের জন্য আলাদা কমিশন কাজ করছে জানিয়ে সম্প্রতি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, তিনটি রিপোর্ট পাওয়ার পর সেগুলো যাচাই-বাছাই করে তারপরই কমিশন দিতে হবে। বর্তমান সরকার একটি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করবে, আর পরবর্তী সরকার সেটি বাস্তবায়ন করবে।
এদিকে পে কমিশনকে সুপারিশ দাখিলের জন্য ৩০ নভেম্বর আলটিমেটাম দিয়েছেন কর্মচারী নেতারা। এ সময়ের মধ্যে সুপারিশ না দিলে কঠোর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে আগামী ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশও করবেন কর্মচারীরা।