কোটি শিক্ষার্থীকে জিম্মি না করতে শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান ও সতর্ক করেছিল সরকার কিন্তু তাতে কর্ণপাত না করায় গণবদলি শুরু করেছে সরকার। তিন দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক খাইরুন নাহার লিপিসহ প্রায় অর্ধশত সহকারী শিক্ষককে ভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়েছে। প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে এ বদলি করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অফিস আদেশে এ বদলি করা হয়। এছাড়াও চলমান আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের নেতারাও ভিন্ন জেলায় বদলির এ তালিকায় রয়েছেন।
প্রাথমিক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক খাইরুন নাহার লিপিকে মানিকগঞ্জে বদলি করা হয়েছে। এছাড়াও মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মাছুদকেও নোয়াখালী থেকে লক্ষ্মীপুরে বদলি করা হয়েছে।
শামছুদ্দিন মাছুদ বলেন, সারা দেশে ৫০০ থেকে ৫৫০ জন শিক্ষককে ভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়েছে। শুধু আমার জেলা নোয়াখালীতেই ৪০ জনকে বলি করা হয়েছে।
সাধারণত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজ জেলায় পদায়ন পান। এক জেলা থেকে আরেক জেলায় বদলি করার রেওয়াজ নেই। তবে শাস্তিমূলক বদলির ক্ষেত্রে অনেক সময় ভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়। সেক্ষেত্রে ‘প্রশাসনিক কারণ’ দেখানো হয়।
এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পলিসি অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের সহকারী পরিচালক মাহফুজা খাতুন বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্রশাসনিক কারণে বদলি করা হয়েছে। তবে ঠিক কতজনকে বদলি করা হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।