ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ পেয়েছে আরও সাতটি পণ্য। পণ্যগুলো হলো-মেহেরপুরের সাবিত্রী মিষ্টি, কালিগঞ্জের তোয়ালে, ফরিদপুরের পাট, মেহেরপুরের হিমসাগর, ফুলবাড়িয়ার লালচিনি, মেহেরপুরের মেহেরসাগর কলা ও নেত্রকোণার বালিশ মিষ্টি।
মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এসএমই মেলা উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্টদের হাতে জিআই সনদ তুলে দেন শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এ নিয়ে বাংলাদেশে জিআই পণ্যের সংখ্যা ৬২টিতে দাঁড়ালো। এছাড়া অনুষ্ঠানে জিআই পণ্যে ব্যবহারে ‘জি আই ট্যাগের লোগো উন্মোচন করা হয়। জিআই হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়া পণ্যের গায়ে এই ট্যাগ ব্যবহার করতে পারবেন উৎপদনকারী প্রতিষ্ঠান।
গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর আগারগাঁয় অবস্থিত চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী এসএমই মেলা। শিল্পমন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এসএমই ফাউন্ডেশন আয়োজিত এ মেলায় ক্ষুদ্র, মাঝারি উদ্যোক্তারা তাদের পণ্য নিয়ে এ মেলায় অংশ নিয়েছেন। এ মেলা উপলক্ষ্যে আজ ‘এসএমই শিল্প বিকাশে মেধাসম্পদের গুরুত্ব ও বাণিজ্যিক সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। শিল্পমন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাকসুদা নূর এতে সভাপতিত্ব করেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিল্প সচিব ওবায়দুর রহমান। এতে উপস্থিত ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন মো. মুসফিকুর রহমান, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেড মার্ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
মূল প্রবন্ধে শিল্প সচিব বলেন, আমাদের এসএমই খাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। মেধাসম্পদ সৃষ্টি ছাড়া এসএমই খাতে উন্নয়ন সম্ভব নয়। মেধাসম্পদের সুরক্ষার বিষয়টিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। উদ্যোক্তাদের মেধাসম্পদের বাণিজ্যিকীকরণ করতে হবে তা না হলে লাভবান হওয়ার সুযোগ থাকবে না। এলডিসি উত্তরণে বাংলাদেশকে বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ নিয়ে আমাদের খুব বেশি গবেষণা নেই। যদিও অনেক মিছিল মিটিং হচ্ছে কিন্তু আসলে কি হচ্ছে আমরা তা জানি না।