সাদিক কায়েমের পোস্ট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) আবু সাদিক কায়েম বলেছেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও দিল্লির তাবেদারদের লালিতপালিত সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে গুপ্তহত্যার পথ বেছে নেয়। সম্প্রতি যার শিকার হয়েছেন আমাদের ভাই শহীদ শরীফ ওসমান হাদি (রাহিমাহুল্লাহ)।
বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন তিনি।
ডাকসুর ভিপি তার পোস্টে বলেন, আগামীকাল বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন।
সম্মেলনে অংশ নিতে সারা দেশ থেকে সদস্যরা ঢাকায় এসেছেন, অনেকে এখনো পথে রয়েছেন। মহান রবের কাছে দোয়া, তারা যেন সহীহ সালামতে পৌঁছাতে পারেন।
তিনি বলেন, খুনি হাসিনা তার দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনকালে প্রকাশ্যে সদস্য সম্মেলন করতে দেয়নি। তবে গঠনতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে নেতৃত্ব নির্বাচন হয়েছে এবং অনলাইনে সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহে চব্বিশের ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে হাসিনাশাহীর পতন নিশ্চিত করে, উন্মোচিত হয় নতুন সম্ভাবনার দ্বার। বিপ্লবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ২০২৪ সালের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজন করে। ২০২৫ সালে কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন আয়োজিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ফ্যাসিবাদের দ্বারা সবচেয়ে বেশি জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছে ছাত্রশিবিরের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।
হত্যা, গুম, পঙ্গুত্ব এবং হামলা-মামলাসহ অসহ্য যন্ত্রণা,অশ্রু ও শাহাদাতের পথ মাড়িয়ে নতুন ইতিহাসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ছাত্রশিবির।
বাংলাদেশ নিঃসন্দেহে এক সংকটকাল অতিক্রম করছে বলে উল্লেখ করে সাদিক কায়েম বলেন, চব্বিশের ছাত্র-জনতার বিপ্লবে যারা রক্ত ঢেলেছে, নেতৃত্ব দিয়েছে এবং হাসিনাশাহীর পতনের ব্যাপারে অবিচল থেকেছে, তাদের জীবনের নিরাপত্তা আজ প্রশ্নের মুখে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও দিল্লির তাবেদারদের লালিতপালিত সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে গুপ্তহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। সম্প্রতি যার শিকার হয়েছেন আমাদের ভাই শহীদ শরীফ ওসমান হাদি (রাহিমাহুল্লাহ)। ইনকিলাব ও ইনসাফের এই স্বপ্নদ্রষ্টার স্বপ্নকে এগিয়ে নিতে লক্ষ-কোটি ছাত্র-জনতা আজ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
তিনি বলেন, সেই প্রতিজ্ঞাকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ২০২৫ সালের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই সম্মেলনে কেবল ইনকিলাব ও ইনসাফের অভিযাত্রার সিপাহসালারই ঘোষিত হবেন না, এই ভূমির অপূর্ণ আকাঙ্ক্ষা পূরণের দায়িত্ব তার কাছে অর্পিত হবে। আমাদের সহস্র শহীদ, আহত ও অঙ্গ হারানো বীর গাজীর ভাইদের চাওয়া, গুমের শিকার হয়ে ফিরে না আসা আমাদের প্রিয় ওয়ালিউল্লাহ ও মুকাদ্দাস ভাই এবং মহান শহীদ শরীফ ওসমান হাদি (রাহিমাহুল্লাহ) — সবার স্বপ্নের বাংলাদেশ আমরা গড়েই ছাড়ব।