ভয়াবহ ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন তিনজন। আহত চিকিৎসাধীনদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। হতাহতদের চিকিৎসায় দেশের সব হাসপাতালে জরুরি মেডিকেল টিম কাজ করছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একই সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মোহাম্মদ মঈনুল আহসান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ডা. মঈনুল আহসান বলেন, ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় ২০৮ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে ৩ জন মারা গেছেন। সব হাসপাতালে জরুরি বার্তা দেওয়ার হয়েছে। আহতদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় সব সহায়তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। টেলিফোনে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে—ঢাকাসহ গাজীপুর, নরসিংদী ও আশপাশের জেলাগুলোর বিভিন্ন হাসপাতালে আহত রোগীর চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভূমিকম্পে ৩ জন মারা গেছেন। নিহতদের একজন প্রতিষ্ঠানটির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাফিউল ইসলাম। আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরো ১০ জন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) ঢামেকে ১৮ জন আহত রোগী ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আরো রোগী আসতে পারে।
আহতদের চাপ বাড়ছে ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতেও। গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ৭২ জন আহত ব্যক্তি চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ৪৯ জন ভর্তি, রয়েছেন, ২৩ জন প্রাথমিক চিকিৎসা পেয়েছেন।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এখানে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫৩ জন। ৬ জনকে রেফার করা হয়েছে এবং ১৫ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। ঢাকার অদূরের নরসিংদী জেলা সদর হাসপাতালে আহত ৪৫ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর, তাদের ঢাকা মেডিকেলে রেফার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়োছে, বিভিন্ন জেলা থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে ভবন থেকে লাফ দেওয়া, সিঁড়ি দিয়ে দৌড়াদৌড়ি কিংবা ভিড়ের কারণে অনেকেই আঘাত পেয়েছেন। জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কতা ও সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে সরকারের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।