হোম > জাতীয়

সিলেট বিমানবন্দর থেকে চালু হচ্ছে কার্গো ফ্লাইট

ভারতে ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল

কবিতা

ভারত হঠাৎ করে ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করায় বিকল্প হিসেবে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আগামী ২৭ এপ্রিল শুরু হচ্ছে এই বিকল্প কার্গো ফ্লাইট। এজন্য বিমানবন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থা উন্নত করাসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সিভিল অ্যাভিয়েশনের তত্ত্বাবধানে গ্যালিস্টার ইনফিনিট অ্যাভিয়েশনের মাধ্যমে শুরু হচ্ছে এই ফ্লাইট। যার প্রথম গন্তব্য হবে স্পেনের জারাগোজা শহর।

ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করায় কার্গোতে করে পণ্য রপ্তানির বিকল্প পথ খুঁজছেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সড়ক পথে দিল্লি হয়ে আকাশপথে রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

সুত্র জানায়, এ যুগান্তকারী কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য যে, পরিকাঠামো প্রয়োজন ছিল, তা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ সিভিল অ্যাভিয়েশন। বিশেষ করে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রপ্তানি কার্গো কমপ্লেক্সে একটি আন্তর্জাতিক মানের কার্গো ওয়্যারহাউজ নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে নিয়োজিত হয়েছে দক্ষ জনবল এবং সংস্থাপন করা হয়েছে সর্বাধুনিক নিরাপত্তা ও স্ক্যানিং মেশিন। এই ওয়্যারহাউজটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইউকে কর্তৃক সার্টিফায়েড, যা সক্ষমতার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এখানে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন কোল্ড চেইন সুবিধা, স্ক্যানিং, হ্যান্ডলিং এবং দ্রুত ক্লিয়ারেন্সের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। এর ফলে দেশে বসেই রপ্তানিকারকরা বিশ্বমানের সেবা পাবেন। পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকেও কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করবে সরকার।

ভারতের এমন সিদ্ধান্তে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে ঢাকা। সম্প্রতি বাণিজ্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন জানান, এ বাড়তি ব্যয় ঠেকাতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে পণ্য রপ্তানির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়েও কার্গো পরিবহনের জন্য সম্ভাব্য সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

সিলেট ও চট্টগ্রাম এই দুটি বিমানবন্দর দিয়ে কার্গো ফ্লাইট চালু হলে একদিকে ভোগান্তি কমবে, অন্যদিকে খরচ কমবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি আমদানিকারক দেশেও দ্রুত পণ্য পৌঁছাবে। ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ও অ্যারোনটিক্যাল চার্জসহ অন্যান্য ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ওপর জোর দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ ছাড়া এ সংক্রান্ত জটিলতা দূর করতে সব ধরনের চার্জ কমাবে বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ও। কার্গো ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, শুধু এয়ারপোর্টের চার্জ কমানো হলেই আগের মতো চাঙ্গা হয়ে যাবে আকাশপথে রপ্তানি।

সিভিল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া আমার দেশকে বলেন, ব্যয় কমিয়ে আকাশপথে কার্গোর চাকা সচল রাখতে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাই প্রথম দফায় সিলেট বিমানবন্দর থেকে কার্গো ফ্লাইট চালু করা হবে।

সড়কপথে দিল্লি হয়ে আকাশপথে কার্গো পরিবহনে যে প্রক্রিয়া ছিল, সেটার বিকল্প হিসেবে আগের মতোই হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সিলেটের পর পর্যায়ক্রমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকেও আন্তর্জাতিক গন্তব্যে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। এয়ারপোর্টের বিভিন্ন চার্জ কমিয়ে রপ্তানিকারকদের সুবিধা দেওয়ার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। যাতে ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারেন ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগীদের অভিযোগÑএক কেজি গার্মেন্টস পণ্য ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে ইউরোপ পাঠাতে খরচ পড়ে প্রায় তিন ডলার। অথচ সড়কপথে ওই পণ্য ঢাকা থেকে যশোর -কলকাতা হয়ে দিল্লি বিমানবন্দর পাঠিয়ে সেখান থেকে আকাশপথে গন্তব্যে পৌঁছাতে সম্ভব খরচ হয় এক ডলারেরও কম। খরচের হিসাবে বড় ধরনের পার্থক্য থাকায় এ পথটিই বেছে নিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। আর বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়ায় বিমানবন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন গার্মেন্টস মালিকরা । কিন্তু গত ৮ এপ্রিল এই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল ঘোষণা করে দিল্লি। এতে বিপাকে পড়েন ঢাকার ব্যবসায়ীরা। সেদিনই কয়েকটি পণ্যবাহী ট্রাক সীমান্ত থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এমন অবস্থায় টনক নড়ে অন্তর্বর্তী সরকারের।

এ বিষয়ে কার্গো ব্যবসায়ীরা জানান, ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির লকডাউনে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডে চরম ভাটা পড়ে ভারতের স্থল ও বিমানবন্দরগুলোতে। সেই অবস্থায় ভারত সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, প্রতিবেশী বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা চাইলে ভারতের বন্দরগুলো ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে তাদের পণ্য পাঠাতে পারবে, অর্থাৎ এই বন্দরগুলোকে ট্রান্সশিপমেন্ট হাব হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে। কেননা সে সময় ঢাকা ও ও চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানির ব্যয় ছিল অনেক বেশি। বিশ্বের অন্যান্য দেশ তো বটেই- এমনকি ভারতের তুলনায়ও এ ব্যয় ছিল বেশি। ফলে বাধ্য হয়ে কার্গো ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী বিশেষ করে গার্মেন্টস মালিকদের নজর পড়ে সড়কপথে দিল্লি হয়ে আকাশপথে বিশ্বব্যাপী পণ্য পাঠানোর বিষয়টি।

এ বিষয়ে ঢাকার ফ্রেইট ফরোয়ার্ড এজেন্সিগুলোর মালিকরা জানিয়েছেন, শুধু সিভিল অ্যাভিয়েশনের উচ্চমাত্রার বিভিন্ন চার্জের দিল্লির পথ বেছে নিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। শুধু খরচ কম হওয়ায় ঢাকা থেকে ১৯ শত কিলোমিটার দূরের দিল্লিকে বিদেশি ক্রেতারাও অগ্রাধিকার দিত। অন্যভাবে বলা যায়, শুধু ঢাকার পরিবর্তে দিল্লি এয়ারপোর্ট ব্যবহার করলেও কেজি প্রতি দুই ডলারের বেশি লাভ করা যায়। বাংলাদেশি রপ্তানিকারকরা উপলব্ধি করেন, দিল্লি বিমানবন্দর ব্যবহারের সুবিধা বেশি। কারণ পৃথিবীর প্রায় সব বড় বড় এয়ারলাইনসের দিল্লিতে উপস্থিতি আছে। খরচও ঢাকা বা চট্টগ্রামের তুলনায় অনেক কম। তাছাড়া তখন লোহিত সাগরে অস্থিরতা চলায় সমুদ্রপথে পণ্য পাঠাতে ‘কেপ অব গুড হোপ’ হয়ে অনেক বেশি সময় লাগছিল, কাজেই আকাশপথে রপ্তানির চাহিদাও বাড়ছিল।

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের আদ্যোপান্ত আমরা বের করেছি

বিজয়ের মাস ডিসেম্বর শুরু

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কিছুটা ভালোর দিকে: উপদেষ্টা মাহফুজ

সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিক হত্যায় আসকের উদ্বেগ

সমুদ্রে অবৈধ আহরণে মাছের সংস্থান কমে যাচ্ছে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

বুথ না বাড়ালে ভোটে দেখা দেবে বিশৃঙ্খলা

সেনা অভিযান হলে ভারতের হামলার হুমকি ছিলো

বঙ্গোপসাগরে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে নৌবাহিনীর বাৎসরিক মহড়া সমাপ্ত

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে দোয়া মাহফিল

বঞ্চিত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যের ন‍্যায়বিচার নিশ্চিত করবে সরকার: প্রধান উপদেষ্টা