ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর দুর্বৃত্তদের গুলিবর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলাই হামলার মদদদাতা শিক্ষক–কর্মকর্তাদের বিচারের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে অনির্দিষ্ট কালের জন্য তালা দেয় শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১২ই ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটায় মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে শুরু করে প্রশাসনিক ভবন, ট্রান্সপোর্ট চত্বর হয়ে উপাচার্যের বাসভবনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা হাদির ওপর গুলিবর্ষণের নিন্দা জানান। সেই সাথে হামালয় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান।
এ সময় জাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আজ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করা হয়েছে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং প্রশাসনের গড়িমসির ফলেই এমন ঘটনা ঘটেছে। আমরা হাদি ভাইয়ের সুস্থতা কামনার করি। এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি এবং দ্রুততম সময়ে অপরাধীকে শনাক্ত করে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।"
এদিকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জুলাই হামালয় মদদদাতা শিক্ষক–কর্মকর্তাদের বিচারের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় জাকসু ও বিভিন্ন হল সংসদের নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বারবার বিচার শেষ করার সময়সীমা ঘোষণা করলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। হামলায় জড়িত শিক্ষার্থীদের বিচারকার্য শেষ হলেও শিক্ষকদের বিচারকার্য এখনো চলমান। ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। মিছিল শেষে তারা উপাচার্যের কাছে দ্রুত বিচারের দাবি তোলেন। এ সময় উপাচার্য বিচারের কোনো সময়সীমা নির্দিষ্ট করে বলেননি। এরপরই প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়া হয়।
এ সময় জাকসুর সদস্য মোহাম্মদ আলী চিশতী বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় যে দাবি ছিল সেটি ছিল জুলাইয়ের মদদদাতা শিক্ষকদের বিচার হওয়া। কিন্তু প্রশাসন একই প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের বিচার করতে পারলে ও, কোনো একজনের রহস্যের কারণে সেই প্রমাণ দিয়ে শিক্ষকদের বিচার নিশ্চিত করতে পারেনি। প্রশাসন আমাদেরকে বারবার বিচারের কথা বলে সময় দীর্ঘায়িত করেছে।