জুম, গুগল মিট বা মাইক্রোসফট টিমস নয়, দেশের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ খাতের গণশুনানি সাফল্যের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশীয় অ্যাপ কনভেতে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) প্রথমবারের মতো পুরোপুরি অনলাইনে তাদের ষষ্ঠ বার্ষিক গণশুনানি আয়োজন করে। এই অ্যাপেই কিছুদিন আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় জি২০ এর সিডসসা ২০২৫ এর মতো বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। তার আগে দেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজিত কনভের ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে। আফ্রিকার আফ্রিমাসের অনলাইন প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটিও কনভের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে সারা বিশ্ব হতে অংশগ্রহণকারী ছিল। এছাড়া জাতীয়-আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ সভা-সেমিনার, ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে কনভেতে।
সম্প্রতি বিটিআরসি ভবন থেকে পরিচালিত ওই শুনানিতে কনভে অ্যাপের মাধ্যমে দেশে বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে অসংখ্য মানুষ অংশগ্রহণ করে। যেখানে তারা মোবাইল নেটওয়ার্কের মান, কলড্রপ, ইন্টারনেটের গতি স্থিতিশীলতা, ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস, অবাঞ্ছিত প্রচারণামূলক এসএমএস, ডেটার মূল্য কাঠামো, গ্রাহকসেবার জটিলতা এবং গ্রামীণ শহুরে নেটওয়ার্ক বৈষম্যসহ নানা অভিযোগ ও মতামত তুলে ধরেন। নীতি-নির্ধারণী ও খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশীয় প্ল্যাটফর্মে সাফল্যের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এই গণশুনানি বড় সরকারি সভা, জনপরামর্শ ও নীতি–সংলাপ নিরাপদ ও স্বচ্ছভাবে আয়োজনের নতুন এক মানদণ্ড। এর ফলে ডেটা সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত হয়েছে এবং নাগরিক অংশগ্রহণ ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
গণশুনানিতে সভাপতিত্ব করেন বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবু বকর ছিদ্দিক। পরিচালনা করেন লিগ্যাল ও লাইসেন্সিং এবং স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আমিনুল হক। ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিনিধি, মোবাইল অপারেটর, আইএসপিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা, কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।
অনুষ্ঠান শুরুর ৩০ মিনিট আগে কনভের লিংক উন্মুক্ত করা হয়। নিবন্ধন করলেই যে কেউ নির্ধারিত সময়ে সেশনে যোগ দিতে পেরেছেন। ফলে রাজধানীমুখী আয়োজনের বাইরে সারাদেশের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়।