হোম > জাতীয়

মাধবদীতে ফাটল সৃষ্টির স্থানগুলো একসময় জলাশয় ছিল

ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ

স্টাফ রিপোর্টার

ছবি: সংগৃহীত

ভূমিকম্পের পর ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ভূতত্ত্ব) মোহাম্মদ আনিসুর রহমানসহ তিন সদস্যের একটি দল নরসিংদীর মাধবদী এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

আজ সোমবার সকালে তিনি আমার দেশকে বলেন, ভূমিকম্পের ফলে যেসব জায়গায় মাটিতে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে, এমন তিনটি স্থান আমরা সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। সেখানে আমরা দেখতে পেয়েছি, ফাটল সৃষ্টি হওয়া স্থানগুলো একসময় জলাশয় কিংবা পুকুর ছিল, তা ভরাট করা হয়েছে। ফলে সেখানে কোথাও ফাটল বা কোথাও মাটি দেবে গেছে। তবে দেবে যাওয়া স্থানগুলোতে কোনো বিল্ডিং দেখতে পাইনি। ফলে এ নিয়ে দুশ্চিন্তা কিংবা আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো কারণ নেই।

আনিসুর রহমান বলেন, তবে যেসব জায়গায় ভরাট করে বড় বিল্ডিং তৈরি করা হয়েছে, সেখানে ঝুঁকি থাকতে পারে। মাধবদীর ওই সব ফাটলের অন্যতম কারণ লিকুইফ্যাকশন বা ভূমি তরলীকরণ। ভূমিকম্পের তরঙ্গ যখন জলাশয়ের নিকটবর্তী ভরাট করা আলগা ও শুষ্ক বালুর স্তরে আঘাত করে, তখন কম্পনের কারণে পার্শ্ববর্তী পুকুর বা খালের পানি তীব্র বেগে আনুভূমিকভাবে ওই বালুর স্তরে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে মাটি তার ভার বহনক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং সাময়িকভাবে ঘন তরলের মতো আচরণ শুরু করে। ভার বহনক্ষমতা হারানো এই তরলীকৃত মাটির ওপর থাকা ভূপৃষ্ঠের স্তর তখন ধসে পড়ে বা ফেটে যায়।

তার ভাষ্য, মাধবদীতে দেখা গেছে জলাশয়ের পাড়ের সমান্তরালে ফাটলগুলো তৈরি হয়েছে। তবে এ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। অগভীর এসব ফাটল মাটি ফেলে বন্ধ করে দেওয়া যাবে।

ভূমিকম্পের ধরন সম্পর্কে আনিসুর রহমান বলেন, কোনটা ফোরশক আর কোনটা আফটারশক, তা এখনি বলা কঠিন। তবে ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পের পর সঞ্চিত শক্তি রিলিজ হয়েছে অনেক কম সময়ে। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে এগুলো আফটারশক। একটা ৫ দশমিক ৫ মাত্রার হলে কিছু জায়গায় আরও এনার্জি রিলিজ করার সুযোগ আছে। ভূমিকম্পের জোনে আরও কয়েকটি হতে পারে । এটা ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে হলে আফটারশক হিসেবেই বিবেচিত হবে।

অধিদপ্তরের পরিবেশ ভূতত্ত্ব ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ অ্যাসেসমেন্ট শাখার দায়িত্বে থাকা উপপরিচালক (ভূতত্ত্ব) সোহেল রানা মাধবদীর ভূমিকম্প সম্পর্কে এক প্রবন্ধে লিখেছেন, বাংলাদেশের টেকটনিক বিন্যাস পৃথিবীর অন্যতম জটিল ভূগাঠনিক অঞ্চলের মধ্যে পড়ে।

তিনি লিখেছেন,‘ভারতীয় প্লেটের পূর্বদিকে সাবডাকশান প্রক্রিয়া চালু থাকলেও এটি অস্বাভাবিক, স্থলভাগে ও সাধারণ সাবডাকশান বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ফলে ভূমিকম্পের ধরন পূর্বাভাস করা কঠিন। তবে এটি বলা যায়, বাংলাদেশে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প সক্রিয় থাকবে আর বড় ভূমিকম্পের ঝুঁকিও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।’

সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী মোশাররফের এপিএস ফুয়াদের সম্পত্তি ক্রোক

ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

রাজনীতি এখন ব্যবসায় পরিণত হয়েছে: বদিউল আলম

মঙ্গলবার বিটিআরসির গণশুনানি

মধ্যরাত থেকে ১৬ দেশে ভোটার নিবন্ধন শুরু

খেলোয়াড়দের নির্বাচনি প্রচারে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা

বাংলাদেশের জন্য চাল সংগ্রহ করছে পাকিস্তান

পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বিশ্বাসই হবে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের মূলভিত্তি

সুখবর পেলেন ১০৩ চিকিৎসক

রাজউক-সিটি করপোরেশনকে কঠোর হওয়ার আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার