হোম > জাতীয়

নারীর প্রতি নির্যাতন দ্বিগুণ বেড়েছে সাইবার সহিংসতার কারণে

মতবিনিময় সভায় মহিলা পরিষদ

স্টাফ রিপোর্টার

বর্তমানে সাইবার সহিংসতার কারণে নারীর প্রতি নির্যাতনের মাত্রা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বে প্রতি তিনজনে একজন নারী সহিংসতার শিকার। আন্তর্জাতিক এবং জাতীয়ভাবে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে বিভিন্ন নীতিমালা গৃহীত হলেও বাস্তবে নারীর প্রতি সহিংসতা কমেছে এমনটি বলা যাবে না। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধের হাইকোর্টের আইনটি চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেও পাশ হয়নি। এ আইনটি পাশ হলে নারীর প্রতি সহিংসতার অনেকটাই কমে যাবে।

মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে সেগুনবাগিচার সুফিয়া কামাল ভবনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আনোয়ারা বেগম মুনিরা খান মিলনায়তনে বর্তমান প্রেক্ষিতে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ-২০২৫ বিষয়ক সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এসব বলেন।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, প্রচার ও গণমাধ্যম সম্পাদক এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার বার্তা সম্পাদক মাহফুজা জেসমিন।

সভায় মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন- দৈনিক সংবাদের সিনিয়র রিপোর্টার নাসরিন গীতি, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার এমরানা আহমেদ; উইমেন আই ২৪ ডটকমের রীতা ভৌমিক; আজকের পত্রিকার অর্চি হক; দৈনিক ইত্তেফাকের রাবেয়া বেবী; দেশ রূপান্তরের তাপসী রাবেয়া, প্রচার ও গণমাধ্যম উপপরিষদ সদস্য তাসকিনা ইয়াসমিন; খবরের কাগজের মারওয়া জান্নাত মাইশা এবং আবদুর রহমান মল্লিক।

স্বাগত বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা একটি গ্লোবাল ফেনোমেনা। ইউএন উইমেন এর জরিপ অনুযায়ী প্রতি তিনজনে একজন নারী সহিংসতার শিকার। আন্তর্জাতিক এবং জাতীয়ভাবে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে বিভিন্ন নীতিমালা গৃহীত হলেও বাস্তবে নারীর প্রতি সহিংসতা কমেছে এমন টি বলা যাবে না। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে বলেন জাতিসংঘের সিডও সনদে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে আলাদা অনুচ্ছেদ রয়েছে।

অন্যদিকে এই প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালনের একটি গুরুত্ব আছে। এই নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালনকালে সমগ্র বিশ্বের সাথে আমরা নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে যে বার্তা দেব, যে কথাগুলো বলব এবং যে কর্মসূচিগুলো নিব এবং বাস্তবায়ন করবো তা বৈশ্বিক পর্যায়ে প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হওয়ার মধ্য দিয়ে আগামীর জন্য আবারও প্রতিরোধ ও প্রতিকারমূলক কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে। এবারের পক্ষের বিষয়বস্তু হচ্ছে সাইবার সহিংসতা প্রতিরোধ করা। আমাদের চলমান কাজের ক্ষেত্রে দুই বছরের কাজের অভিজ্ঞতায়ও আমরা দেখছি নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে সাইবার সহিংসতাকে প্রতিরোধে আমাদের কাজ করতে হবে। কেননা সাইবার সহিংসতার কারণে নারীর প্রতি নির্যাতনের মাত্রা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আইনের বিষয়টি যেমন নারীর প্রতি নান সহিংসতা প্রতিরোধের হাইকোর্টের আইনটি চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেও পাশ হয়নি এ আইনটি পাশ হলে নারীর প্রতি সহিংসতার অনেকটাই কমে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতার ধরণ ও মাত্রা বর্তমানে বদলেছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ মনে করে নারীর প্রতি সহিংসতা নারীর মানবাধিকারকে লঙ্ঘন করে। তাই সহিংসতা প্রতিরোধে সংগঠন বহুমাত্রিক কর্মসূচি বাস্তবায়নের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে। তিনি এসময় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ মনে করে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে শক্তিশালী নারী আন্দোলন গড়ে তুলতে গণমাধ্যম সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে, সেজন্য গণমাধ্যমের সাথে আজকের কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। তিনি এ সময় বলেন নারীর প্রতি সাইবার সহিংসতাসহ সকল প্রকার সহিংসতা রোধে গণমাধ্যমকে সাথে নিয়ে আমাদের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে।

প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনে প্রচার ও গণমাধ্যম সম্পাদক এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার বার্তা সম্পাদক মাহফুজা জেসমিন বলেন নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিরোধে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ৫৫ বছর কাজ করছে। তিনি এসময় বাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতা বা নির্যাতনের ধরণ উল্লেখ করতে গিয়ে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সহিংসতা যেমন: শারীরিক সহিংসতা, মানসিক সহিংসতা, যৌন সহিংসতা; সাইবার সহিংসতা, বাল্য বিয়ে, পারিবারিক সহিংসতা, আর্থিক সহিংসতা, মানব পাচার এর বিষয়ে উল্লেখ করেন। তিনি এসময় সহিংসতা প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ এর উল্লেখ করে বলেন দেশে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে নানা আইনি ব্যবস্থা থাকলেও তা কার্যত নারীর প্রতি সহিংসতা কমাতে খুব বেশি কাজে আসছে না। এ পর্যায়ে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কেননা গণমাধ্যমই পারে অন্যায়ের প্রতিকারে সত্যকে সামনে নিয়ে আসতে।

সভাপতির বক্তব্যে ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, বর্তমানের নানা পশ্চাৎপদ অবস্থার মধ্যে মানুষের মধ্যে যে তার স্বাধীনতা ও মুক্তির আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে এটি আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন। পরিবারে নারী-পুরুষের প্রতি পারিবারিক আচরণ পরিবর্তিত হবে এটি স্বাভাবিক, তবে এই পরিবর্তন যেন মানুষকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি এসময় পারিবারিক ও সামাজিক পরিবর্তনের দিকগুলো গণমাধ্যমকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরার জন্য আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে আমাদের প্রতিবাদের রূপ ও ধরণ বদলাবে। প্রতিবাদ করেই নারীর অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হবে।

আগারগাঁওয়ে পার্কিং করা গাড়িতে আগুন

লুটকারীদের আগামী নির্বাচনে বর্জন করুন: শাকিল

বুধবার বিএনপি-জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে ইসির সংলাপ

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু কাল, কোন দেশে কখন

ট্রাইব্যুনালের রায়ে মাহমুদুর রহমান ও অন্যদের ওপর নিপীড়ন প্রসঙ্গ

২১ নভেম্বর যান চলাচল সীমিত থাকবে ঢাকা সেনানিবাসে

আ.লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না: প্রধান উপদেষ্টা

দেশে ভোটার ১২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৮৩

যারা ফাঁসি দিয়েছে, আজ তাদেরই ফাঁসির রায় হয়েছে : ধর্ম উপদেষ্টা

৫৩ জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল