হোম > জাতীয়

পরীক্ষা নিলেও মানসিকভাবে, ভেঙে পড়েছেন শিক্ষকরা

সরদার আনিছ

ছবি: সংগৃহীত।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আন্দোলন স্থগিত করে রোববার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে হঠাৎ প্রাথমিকের শিক্ষক নেতাদের বদলি আদেশ হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শিক্ষক নেতা মাহবুর রহমান বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আমাদেরই সন্তান। তাই তাদের ক্ষতি না করে রোববার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা চলবে। দুই দিন পিছিয়ে গেছে; কিন্তু এতে কোনো সমস্যা হবে না। প্রয়োজনে আমরা ছুটির দিনে পরীক্ষা নিব।

প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মাহবুবর রহমান বলেন, নিয়োগ ও চাকরি বিধি উপেক্ষা করে আমাদের ৪২ শিক্ষককে ১০০ থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে শিক্ষকরা মানসিকভাবে অনেকটাই ভেঙে পড়েছেন।

মাহবুবর রহমান বলেন, শিক্ষকরা রোববার থেকে পরীক্ষা নিবেন, তবে তারা খুবই মানসিক কষ্টে রয়েছেন। সরকার আমাদের ন্যায্য দাবিকে ভিন্নদিকে প্রবাহিত করে হয়রানি করছে।

এর আগে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবির আন্দোলন চলমান অবস্থায় ভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়েছে আন্দোলনে যুক্ত ৪২ শিক্ষককে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৪ ডিসেম্বরের আদেশে এ বদলি অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই তালিকায় আন্দোলনের পাঁচ শীর্ষ নেতা খায়রুন নাহার লিপি, শামছুদ্দিন মাসুদ, আবুল কাশেম, মাহবুবর রহমান ও মো. মনিরুজ্জামান রয়েছেন। সহকারী এই শিক্ষকদের ভিন্ন জেলায় বদলি করায় নিজ জেলায় থেকে চাকরি করার আর সুযোগ থাকছে না।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের সঙ্গে দশম গ্রেডের দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ যৌথ বিবৃতি দেয়। বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ন্যায্য তিন দফা দাবি আদায়ে বাস্তবায়ন পরিষদ এবং বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

আমাদের নৈতিকতা, মানবিকতা এবং সন্তানতুল্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে রোববার থেকে তৃতীয় প্রান্তিক বা বার্ষিক পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সারাদেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন বা তালাবদ্ধ কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ ও বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের আলোচনার ভিত্তিতে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

তিন দফা দাবি আদায়ে গত ২৭ নভেম্বর থেকে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। এরপর ১ ডিসেম্বর শুরু হওয়া বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন তারা। ২ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি শুরু করেন।

শিক্ষকদের এমন কর্মসূচিতে সারাদেশের অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষায় বিঘ্ন ঘটে। কোথাও কোথাও উপজেলা প্রশাসন ও অভিভাবকদের সহযোগিতায় প্রধান শিক্ষকরা পরীক্ষা নিলেও তাতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি চাকরিবিধি ও ফৌজদারি আইনে আন্দোলনরত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে কয়েক দফা হুঁশিয়ারি দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এর পরও শিক্ষকরা কর্মসূচি অব্যাহত রাখায় শাস্তিমূলক বদলির পথে হাঁটে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার শিক্ষকদের আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া চার নেতাসহ ৪২ শিক্ষককে রীতি ভেঙে ভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়। এর পরই শিক্ষকদের পক্ষ থেকে কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা আসে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, সারাদেশে বর্তমানে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে তিন লাখ ৮৪ হাজারের বেশি শিক্ষক কর্মরত। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই সহকারী শিক্ষক। প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বর্তমানে দশম গ্রেডে উন্নীত হয়েছেন। তবে সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। তারা এ নিয়ে অসন্তুষ্ট। গ্রেড উন্নীতকরণের দাবিতে তারা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন।

মঙ্গলবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসলে বুধবার খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেয়া হতে পারে

নির্বাচনে জটিলতা সৃষ্টি হলে সরকার সামাল দিতে পারবে না

নতুন পেঁয়াজে বাজারের চিত্র উল্টো দিকে

পুশইন ইস্যুতে বিএসএফকে যে বার্তা দিল বিজিবি

স্বৈরাচারের পতন হলেও গণতন্ত্র এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি : সুশীল ফোরাম

সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিবে সরকার

টেকনাফে নৌবাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

নির্বাচনে ডিস্টার্ব করলে ব‍্যবসা নিয়ে লেজ গুটিয়ে পালাতে হবে

রায়েরবাজারে দাফন করা অজ্ঞাত ১৮২ শহীদের লাশ উত্তোলন শুরু রোববার

টিসিবির মাধ্যমে চিনি বিক্রি চলমান থাকবে: শিল্প উপদেষ্টা